অনুসন্ধানী প্রতিবেদন
গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন
প্রকল্পের অর্থছাড়ে অবৈধ লেনদেনের ছড়াছড়ি
সিরাজুল ইসলাম
প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ফাইল ছবি
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অধীনস্থ ‘গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে (২য় পর্যায়)’ বিভিন্ন কাজের বিপরীতে টাকা ছাড় নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সেখানে রীতিমতো অবৈধ অর্থ লেনদেনের ‘ছড়াছড়ি’ চলছে। এ যেন এক রকম ‘স্থায়ী সংস্কৃতি’তে পরিণত হয়েছে। যা চলছে বছরের পর বছর। আর এসব অনিয়ম বিরুদ্ধে একজন সহকারী প্রকৌশলী প্রতিবাদ করায় তাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে। পাশাপাশি অবৈধ লেনদেনের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। যুগান্তরের নিজস্ব অনুসন্ধান এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপে উঠে এসেছে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য।
জানতে চাইলে প্রকল্পের পিডি সুজায়েত হোসেন যুগান্তরকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে অন্তত ১০০ জন আমাকে ফোন দিয়েছেন। যারা ফোন করেছেন তারা বিনা কারণে ধান্ধা খুঁজছেন। প্রকল্প নিয়ে যেসব অভিযোগের কথা বলা হচ্ছে সেগুলো সঠিক হলে যথাযথ তদন্ত করে নিশ্চয়ই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবেন। তাছাড়া দুদক তো আছেই। তিনি আরও বলেন, নিজেদের মধ্যে রেষারেষির কারণেই এসব জিনিস বাইরে আসছে। যেসব অভিযোগ আসছে, সেগুলো সত্য হলে অভিযুক্তদের ফাঁসি হয়ে যাওয়া উচিত।
জানা গেছে, ২৮১টি পৌরসভা নিয়ে ২০১৮ সালের এপ্রিলে উল্লিখিত প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। এটি আগামী বছরের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা। শুরুতে প্রকল্পটিতে বরাদ্দ ছিল তিন হাজার ৪৬৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা। পরে আরও ৯৫২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রকল্পের শুরুতে প্রথম শ্রেণি পৌরসভার জন্য ১৪ কোটি টাকা, দ্বিতীয় শ্রেণি পৌরসভার জন্য ১০ কোটি এবং তৃতীয় শ্রেণি পৌরসভার জন্য বরাদ্দ ছিল ৮ কোটি টাকা।
এই প্রকল্প ঘিরে গত এক বছরে অবৈধ অর্থ লেনদেনের অন্তত ২০টি কল রেকর্ড যুগান্তরের হাতে এসেছে। কল রেকর্ড বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গাইবান্ধা পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউল ইসলাম দুই লাখ টাকার বিনিময়ে এক কোটি টাকার ফান্ড ছাড় করিয়েছেন। এক্ষেত্রে এলজিইডির একজন সহকারী প্রকৌশলী ফোন করেন পৌর নির্বাহী প্রকৌশলীকে। সহকারী প্রকৌশলী জিজ্ঞাস করেন, ফান্ড পেয়েছেন?
উত্তরে পৌর নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, ঈদের আগে এক কোটি টাকা পেয়েছি। তার কাছে প্রশ্ন ছিল-এ টাকা পাওয়ার বিনিময়ে কিছু খরচ করতে হয়েছে কিনা? উত্তর ছিল, হিসাবরক্ষক (হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা) তরিকুলকে দুই লাখ টাকা দিয়েছি। পরে সহকারী প্রকৌশলী বলেন, বিষয়গুলো নিয়ে দুদকে মামলা চলছে। তাই এবার তো টাকা নেওয়ার কথা ছিল না। উত্তরে পৌর নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, আমরা নিরুপায় হয়েই টাকা দিই।
আরেক ঘটনার বিষয়ে অনুসন্ধানে জানা যায়, বিয়ানীবাজার পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী (পাশাপাশি গোলাপগঞ্জ পৌরসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত) নিকুঞ্জ ব্যানার্জী পাঁচ লাখ টাকার বিনিময়ে দুটি পৌরসভার জন্য আড়াই কোটি টাকা ছাড় করেছেন। এ সংক্রান্ত কল রেকর্ডে সংশ্লিষ্ট সহকারী প্রকৌশলী বলেন, হিসাব ঠিক আছে তো? উত্তরে পৌর নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, একদম ঠিক আছে। দুই ভাগ হারে টাকা দিয়েছি। কন্ট্রাক্টরের কাছ থেকে টাকা নিয়ে প্রকল্প পরিচালকের অফিসে দিয়েছি। আপনারা বেশি নিচ্ছেন বলেই আমরা স্থানীয় কন্ট্রাক্টরদের কাছ থেকে বেশি টাকা আদায় করছি।
আরেকটি কল রেকর্ড থেকে জানা যায়, ৫০ লাখ টাকার বিল ছাড় করার আগেই বিকাশে রাকিবুল ইসলামের (সহকারী প্রকৌশলী, আউটসোর্সিং) মাধ্যমে হিসাবরক্ষক তরিকুলের কাছে ৫০ হাজার টাকা বিকাশে পাঠানো হয়। ছাড়কৃত টাকা ক্যাশ হওয়ার পর আরও টাকা পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় ফোনের অপর প্রাপ্ত থেকে।
অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, নাটোরের বনপাড়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী আতাউর রহমান ছয় লাখ টাকার বিনিময়ে পেয়েছেন তিন কোটি টাকা। এ সংক্রান্ত কথোপকথনে আতাউর বলেন, ‘বরাবরের মতোই দুই শতাংশ টাকা হিসাবরক্ষক তরিকুলকে দিয়েছি। আরও ফান্ড বাকি আছে।’
আরেক ঘটনায় এলজিইডির এক কর্মকর্তার সঙ্গে একই ধরনের কথোপকথন হয় রাজশাহী পুটিয়া পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী শহিদুল আলমের। শহিদুল আলম জানান, তিনি তিন কোটি টাকা ফান্ড পাওয়ার জন্য ছয় লাখ টাকা ঘুস দিয়েছেন। কিন্তু টাকা পেয়েছেন দুই কোটি।
বিভিন্ন কল রেকর্ড থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, পাঁচ কোটি টাকা বরাদ্দ পেতে ১০ লাখ টাকা ঘুস দিয়েছেন সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুর পৌরসভার হিসাবরক্ষক আনিছুর রহমান। প্রকল্প পরিচালক অফিসের উপসহকারী প্রকৌশলী আশরাফুল আলম ও হিসাবরক্ষক তরিকুলের কাছে তিনি এ টাকা দেন। বান্দরবানের লামা পৌরসভার মেয়র জহরিুল ইসলাম দুই কোটি টাকা ছাড় করেছেন চার লাখ টাকার বিনিময়ে। নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী সাফায়েত সাদী এক কোটি টাকা বরাদ্দ পেতে প্রকল্প পরিচালকের কার্যালয়ে দুই লাখ টাকা ঘুস দেন। জয়পুরহাট কালাই পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম সাইফুল ইসলাম দেড় কোটি টাকা পান তিন লাখ টাকার বিনিময়ে। নারায়ণগঞ্জ গোপালদি পৌরসভার মেয়র দুই লাখ টাকার বিনিময়ে পান এক কোটি টাকা। এ সংক্রান্ত ফোনালাপে প্রকল্প পরিচালক কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সহকারী প্রকৌশলী মেয়রকে জিজ্ঞাস করেন, টাকা-পয়সা পেয়েছেন? উত্তরে মেয়র বলেন, ‘যে টাকা দিয়েছেন তা তো শেষ। এক সপ্তাহের মধ্যে আরও অন্তত ৩০ লাখ টাকা দেন। টাকা ছাড়ের ব্যবস্থা করলে আপনার জন্য আলাদা কিছু করব ভাই।’ আগের টাকার খরচ দিয়েছেন কিনা তা জানতে চাইলে সহকারী প্রকৌশলীকে মেয়র বলেন, ‘আপনি যে হারে বলে দিয়েছেন, সেই হারেই দিয়েছি।’
অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রকল্পের কমিশনের টাকায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন। এদের মধ্যে হিসাবরক্ষক এবিএম তরিকুল ইসলাম অন্যতম। তিনি গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (দ্বিতীয় পর্যায়) ছাড়া একই নামের প্রথম পর্যায়ের প্রকল্প এবং উপজেলা শহর উন্নয়ন প্রকল্পে একই পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি ২০০৫ সাল থেকে বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করে এলজিইডিতে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট তৈরি করেছেন। প্রকল্পগুলো থেকে অন্তত তিন দফায় কমিশন নেওয়া হয়। প্রথমতম স্কিম অনুমোদনের সময় (দুই থেকে তিন ভাগ হারে), দ্বিতীয়ত, টেন্ডার অনুমোদনের সময় (এক থেকে দুই ভাগ হারে), তৃতীয়ত, ফান্ড বরাদ্দের সময় (কাজের অনুকূলে, কাজ চলাকালে এবং কাজ শেষে)। সব মিলিয়ে ১০ ভাগ পর্যন্ত কমিশন নেন প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
অভিযোগের বরাত দিয়ে দুদক সূত্র জানায়, কমিশনের টাকায় তরিকুলের নামে-বেনামে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা এবং ঢাকার বাইরে মূল্যবান সম্পদ রয়েছে।
সংশ্লিষ্টদের কথোপকথনের রেকর্ড পর্যালোচন করে জানা গেছে, তিন লাখ টাকা ঘুসের বিনিময়ে দেড় কোটি টাকা পান কুমিল্লার দাউদকান্দি পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী কামরুজ্জামান। এ টাকার হিসাব নিয়ে প্রকল্প পরিচালকের কার্যালয়ে গরমিল দেখা দেয়। পরে পরিচালক কার্যালয়ে একজন সহকারী প্রকৌশলী ফোন করেন পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলীকে। এ সময় পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী বলেন, ‘আমার লোক নাফিস (ঠিকাদার) প্রকল্প পরিচালকের (পিডি) কার্যালয়ে গিয়ে টাকা দিয়ে এসেছেন। টাকা দেওয়ার সময় আমার সঙ্গে ওই কার্যালয়ের রাকিবের সঙ্গে আমাকে কথা বলিয়ে দেয়।’ তখন প্রকল্প পরিচালক কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী বলেন, ‘রাকিব তো দুই নম্বর লোক।’ এরপর পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী বলেন, তিন লাখ টাকা দেওয়ার পর বিষয়টি হিসাবরক্ষক তরিকুলকেও জানিয়েছি। আপনাকেও ফোন দিয়েছিলাম। ফোনে না পেয়ে আমার লোককে পিডির কাছে পাঠিয়েছি। পিডিকেও মেয়রের রেফারেন্সে বিষয়টি জানিয়ে এসেছেন।
আরেক ঘটনায় জানা যায়, এক কোটি টাকা পাওয়ার জন্য অবৈধভাবে দুই লাখ টাকা দিয়েছেন নোয়াখালীর চাটখিল পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন। এ সংক্রান্ত কল রেকর্ডে দেলোয়ার হোসেন বলেন, ছয় কোটি টাকা বিল দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দিয়েছে এক কোটি টাকা। এ সময় পিডি কার্যালয়ের কর্মকর্তা বলেন, টাকা-পয়সা (ঘুস) ঠিকমতো দেননি? তখন পৌর প্রকৌশলী বলেন, তরিকুলের বাসায় গিয়ে টাকা দিয়ে এসেছি। এ নিয়ে কোনো সমস্যা হচ্ছে কী? উত্তরে বলেন, পিডিকে নিয়ে দুদকে মামলা চলছে। বিষয়টি নিয়ে তদবিরের দায়িত্ব নিয়েছেন আশরাফুল আলম। দুদকের বিষয়টি নিয়ে পিডি মহোদয় একটা সাবধানে থাকার চেষ্টা করছেন।
এদিকে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ জানায়, গত ২০ ডিসেম্বর এবিএম তরিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে এলজিইডি সদর দপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী কেএম নুরুল ইসলাম একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। এতে বলা হয়েছে, তরিকুল ইসলাম ইউসি ব্যাংক ধানমন্ডি শাখার মেসার্স রনি এন্টারপ্রাইজ ও মেসার্স রুনা এন্টারপ্রাইজের পৃথক দুটি হিসাব নম্বরের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের বিভিন্ন পৌরসভা থেকে অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকা সংগ্রহ করেছেন। এর প্রতিবাদ করায় তরিকুল তার ভাইয়ের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জিডির তদন্ত কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার এসআই ইমরুল হোসেন যুগান্তরকে বলেন, যে মোবাইল ফোন থেকে হুমকি দেওয়া হয়েছে, সেটি একটি বিদেশি নম্বর। তাই কল ডিটেইলস রেকর্ডে (সিডিআর) সেটি আসেনি। এ কারণে আমরা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে পারিনি। তাছাড়া অর্থ লেনদেন সংক্রান্ত অনুসন্ধান বা তদন্তের এখতিয়ার পুলিশের নেই। তাই এ বিষয়ে জিডির বাদীকে দুদকে অভিযোগ দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছি।
দুদক উপপরিচালক (জনসংযোগ কর্মকর্তা) আকতার হোসেন যুগান্তরকে বলেন, শুধু তরিকুল ইসলামই নন, এলজিইডির অনেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ রয়েছে। কোনো অভিযোগের তদন্ত চলছে। আবার কোনো অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি প্রতিরোধবিষয়ক টিমও এলজিইডিতে কাজ করছে। তদন্ত বা অনুসন্ধান শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলা যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের (২য় পর্যায়) হিসাবরক্ষক এবিএম তরিকুল ইসলামের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। এমনকি সাংবাদিক পরিচয়ে তার মোবাইল ফোনের হোয়াটসঅ্যাপে খুদে বার্তা পাঠানো হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। তরিকুলের বক্তব্য নিতে রোববার রাতে এই প্রতিবেদক তার ধানমন্ডির বাসায় যান। সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে নিরাপত্তাকর্মীর কাছে জানাতে চাওয়া হয়, এবিএম তরিকুল বাসায় আছেন কিনা। তখন একজন গাড়িচালক বাসার গ্যারেজে ঢাকা মেট্রো চ ২০-৫৪৮০ নম্বরের গাড়ি সাইড করছিলেন।
নিরাপত্তাকর্মী ওই গাড়িচালককে দেখিয়ে বলেন, ‘ওনি তরিকুল স্যারের গাড়ি চালক। তাকে জিজ্ঞাস করুন।’ ওই গাড়িচালক যুগান্তর প্রতিবেদককে দাঁড় করিয়ে রেখে ঢাকা মেট্রো গ ২০-০২৮৮ নম্বরের আরেকটি গাড়ি সাইড করেন। পরে বলেন, ‘স্যার বাসায় নেই।’ তাকে বলা হয়-‘দুটি গাড়িই তো আপনি গ্যারেজে প্রবেশ করালেন। আপনার স্যার বাইরে গেলে নিশ্চয়ই আপনাকে নিয়েই যান। যেহেতু গাড়ি গ্যারেজে। তাই নিশ্চয়ই উনি বাসায় আছেন। আপনি একটু ভালো করে খোঁজ নেন।’ এরপর নিরাপত্তাকর্মীকে তরিকুলের বাসার ইন্টারকমে ফোন করার অনুমতি দেন গাড়িচালক। নিরাপত্তাকর্মী ফোন করার পর বাসা থেকে তরিকুলের ভাই পরিচয়ে একজন জানান, তরিকুল বাসায় নেই।