Logo
Logo
×

প্রথম পাতা

দোহার নবাবগঞ্জের ভোটাররা

সালমা ইসলাম অতিথি পাখি নন সব সময় পাশে পাই

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

সালমা ইসলাম অতিথি পাখি নন সব সময় পাশে পাই

অতিথি পাখির মতো বছরে একবার আসেন না, সালমা ইসলামকে সব সময় পাশে পাই। বেশির ভাগ সময়ই এলাকায় চলে আসেন। তার সঙ্গে দেখা করতে টিকিট লাগে না। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের চেয়েও সহজে তাকে পাওয়া যায়। যে কারও ফোন রিসিভ করেন।

গত ২৫ বছরে নবাবগঞ্জ-দোহারের কেউ সালমা ইসলামের সহায়তা চেয়ে খালি হাতে ফিরেছেন এমন নজির নেই। নির্বাচন নিরপেক্ষ হলে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জিতবেন তিনি। ঢাকা-১ আসনে (দোহার-নবাবগঞ্জ) জাতীয় পার্টির প্রার্থী সালমা ইসলামের পক্ষে এভাবেই কথা বলছিলেন এলাকার ভোটাররা।

দোহারের ডালিমপুর ইউনিয়নের আন্দারকোটা বাজারের চায়ের দোকানদার তাছের উদ্দিন (৬২) যুগান্তরকে বলেন, এলাকায় ১৫ বছরে ব্যাপক কাজ করেছেন সালমা ইসলাম। নিয়মিত এলাকায় আসেন, মানুষের কথা শোনেন, সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেন। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিপুল ভোটে পাশ করবেন তিনি।

শোল্লা ইউনিয়নের ভোটার তানযিলা আক্তার (৫৭) বলেন, মহিলাদের নিয়ে সালমা ইসলাম ছাড়া অন্য কেউ কথা বলে না। তার কাছে কিছু চেয়ে খালি হাতে ফেরত আসিনি। তিনি (সালমা ইসলাম) যে কারও ফোন রিসিভ করেন এবং এলাকায় এলে সাধারণ মানুষের সঙ্গে খাবার খান। তার সঙ্গে দেখা করতে টিকিট লাগে না। ওনার মতো মানুষ হয় না। ওনাকে আমরা সবাই ভালোবাসি এবং ওনার জন্যই ভোট দিতে যাব।

জানতে চাইলে লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী সালমা ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, আমার স্বামী এবং পুরো পরিবার আজীবন মানুষের জন্য কাজ করেছেন। ফলে মানবসেবা আমার রক্ত ও চিন্তার সঙ্গে মিশে আছে। তিনি বলেন, আল্লাহ আমাকে অনেক দিয়েছেন। সাধারণ মানুষের জন্য সরকারি বরাদ্দের অর্থ চুরি করে আমাকে চলতে হয় না। আমি নিজের তহবিলের অর্থ মানুষের জন্য খরচ করি। তিনি বলেন, গত ১৫ বছরের মধ্যে ৫ বছর আমি জনগণের ভোটে নির্বাচিত এমপি। বাকি ১০ বছর সংরক্ষিত মহিলা আসনে এমপি ছিলাম। কিন্তু মানুষ সমস্যায় পড়লে আমার কাছেই আসে। তারা আমাকে ভালোবাসে। আমার জন্য দোয়া করে। এবার আমি নির্বাচিত হতে পারলে তাদের জীবনমান বদলে দেব। বঞ্চিত শিশুদের জন্য স্কুল, পদ্মা নদীর করাল গ্রাস থেকে রক্ষায় বেড়িবাঁধের বাকি অংশ সম্পূর্ণ করা, সন্ত্রাস দমন, মাদকমুক্ত করা এবং কর্মসংস্থানের জন্য গড়ে তুলব পরিকল্পিত কুটির শিল্প।

নবাবগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি জুয়েল আহমেদ বলেন, এই এলাকার মানুষ দল-মত নির্বিশেষে সালমা ইসলামকে ভালোবাসে। সব সময় মানুষ ওনাকে কাছে পায়। নবাবগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে এই আসনে সালমা ইসলাম বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হবে ইনশাআল্লাহ। দোহার উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি হায়দার ব্যাপারী বলেন, সালমা ইসলামের সঙ্গে দেখা করতে টিকিট লাগে না। গত ১৫ বছরে সালমা ইসলামের কারণে এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। সাধারণ মানুষ অবশ্যই এর মূল্যায়ন করবে। সাধারণ সম্পাদক জানে আলম বলেন, সালমা ইসলামকে সবাই ভালোবাসে। আগামী ৭ জানুয়ারি এই আসনের মানুষ তাকে ভোট দিয়ে বিজয়ের মালা পড়াবে ইনশাআল্লাহ।

নবাবগঞ্জের গালিমপুর ইউনিয়নের ভোটার মাকছুদা বেগম বলেন, উনি আমাদের মায়ের মতো। সবাইকে আগলে রাখেন। ওনার কাছে সহায়তা চেয়ে কখনো খালি হাতে ফিরে আসিনি। আমার মেয়ের বিয়ের জন্য সালমা ইসলাম টাকা দিয়েছেন। এছাড়া প্রতিবছর শীতে প্রতিটি এলাকার মানুষকে কম্বল দেন। রমজানে সহায়তা দেন। ঈদে নতুন কাপড়, চিনি, সেমাই এবং অনেক জিনিস দেন। কুরবানিতে পৌঁছে মাংস। ওনার তুলনা হয় না। মানুষ ওনার জন্য দোয়া করে।

আগলা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড জাতীয় পার্টির নেতা আজহার উদ্দিন বলেন, আমার মতো একজন মানুষও ওনার কাছে অনায়াসে যেতে পারে। বাসায় গেলে খাওয়া-দাওয়া এবং আপ্যায়ন নিজে তদারকি করেন। কোনো সহায়তার জন্য গেলে কাউকে খালি হাতে ফিরিয়ে দেন না।

নারী নেত্রী ফরিদা ইয়াসমিন লিলি বলেন, ব্যক্তিগতভাবে সালমা ইসলামের সরকারি অর্থের দরকার নেই। উনি আমাদের সেবা করতে এলাকার মানুষের টানে ছুটে এসেছেন। মানুষ ওনাকে চায়। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিশাল ব্যবধানে জয়ী হবেন। আরেকজন নারী নেত্রী আইরিন গমেজ বলেন। আমি খ্রিষ্টান। সালমা ইসলাম আমাকে অনেক ভালোবাসেন। ওনার কাছে জাতি-ধর্ম-বর্ণ আলাদা কোনো গুরুত্ব নেই। সবাই ওনার কাছে সমান।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম