যমুনা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শামীম ইসলাম বলেছেন, আমার বার্তা একটাই-দোহার ও নবাবগঞ্জের দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। আমার বাবা যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আমার মা অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম প্রার্থী হয়েছেন। তাই আমি আপনাদের কাছে লাঙ্গল প্রতীকে ভোট চাইতে এসেছি। 

দোহার ও নবাবগঞ্জের উন্নয়নে কাজ করতে আমরা বদ্ধপরিকর। বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী নবাবগঞ্জের বর্ধনপাড়া, বক্সনগর, শুরগঞ্জ, বাগমাড়া এলাকায় লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান, সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলামের পক্ষে শুভেচ্ছা বিনিময় ও গণসংযোগকালে শামীম ইসলাম এসব কথা বলেন। শুভেচ্ছা বিনিময় সভায় ব্যবসায়ী, শ্রমিক, কৃষকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। 

শামীম ইসলাম আরও বলেন, আমার বাবা আপনাদের প্রিয় মানুষ বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম প্রতিদিন দোহার-নবাবগঞ্জের মানুষের খোঁজখবর নিতেন। তিনি স্বপ্ন দেখতেন এ অঞ্চলের মানুষ যেন দরিদ্র না থাকে। তারা যেন অর্ধাহারে-অনাহারে না থাকে। দোহার-নবাবগঞ্জের শিক্ষিত যুবক, যুবতীরা যেন বেকার না থাকে-এজন্য তিনি দেশে অসংখ্য শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। বেকার শিক্ষিত যুবক-যুবতী ও স্বশিক্ষিতদের চাকরির ব্যবস্থা করে গেছেন। 

এ অঞ্চলের মানুষের পাশে থেকে তাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে আমার বাবা সব সময় কাজ করে গেছেন। তাই আমার বাবার মতো আমার মা সালমা ইসলামও আপনাদের উন্নয়নে কাজ করতে দিন-রাত আপনাদের পাশে রয়েছেন। যে কোনো সমস্যায় তাকে আপনারা কাছে পেয়েছেন, আগামী দিনেও পাশে পাবেন-ইনশাআল্লাহ। 

যমুনা গ্রুপের এমডি শামীম ইসলাম বলেন, নারী শিক্ষার উন্নয়ন, কৃষির আধুনিকীকরণ, নতুন নতুন সড়ক ও সেতু তৈরি, গ্যাসলাইন স্থাপন এবং সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত এলাকা গড়তে আমাদের পাশে অবশ্যই আপনারা থাকবেন। আপনারা ভয় পাবেন না। 

বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি অংশগ্রহণমূলক, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এবারের নির্বাচন কারও জন্য প্রশ্নবিদ্ধ হলে তাকে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে-এমন কথাও তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেছেন। তাই ৭ জানুয়ারি অবশ্যই আপনারা ভোটাধিকার প্রয়োগ করে দোহার-নবাবগঞ্জের অসমাপ্ত উন্নয়ন কাজ এগিয়ে নিতে লাঙ্গল প্রতীকে ভোট দেবেন। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন নবাবগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি জুয়েল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক বোরহান হোসেন ও এমএ মজিদসহ জাতীয় পার্টি ও এর সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা। ঢাকা-১ আসনের অন্যতম প্রার্থী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম ২০১৪ সালে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন। এবার শুরু থেকেই তিনি নির্বাচনি এলাকায় সক্রিয় রয়েছেন। 

জনপদে তিনি প্রচার-প্রচারণা-গণসংযোগ চালাচ্ছেন। অবহেলিত আর পিছিয়েপড়া গ্রামগুলোর মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তিনি তাদের দাবি-দাওয়া শুনছেন। সালমা ইসলামকে কাছে পেয়ে ভোটাররাও উচ্ছ্বসিত। লাঙ্গলে ভোট দেওয়ার আশ্বাস দিচ্ছেন তারা। সালমা ইসলামের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা প্রতিদিন ইউনিয়ন থেকে ইউনিয়ন চষে বেড়াচ্ছেন।