Logo
Logo
×

প্রথম পাতা

বিএনপিসহ মিত্রদের লিফলেট বিতরণ

ডামি নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে যাবে না

সরকারের পদত্যাগের একদফা ও ভোট বর্জনের লক্ষ্যে অসহযোগ আন্দোলন ডাক

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

ডামি নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে যাবে না

সরকারের পদত্যাগের একদফা ও ভোট বর্জনের লক্ষ্যে অসহযোগ আন্দোলন ডেকেছে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো। তিন দিনের গণসংযোগ কর্মসূচি ও রোববার সকাল-সন্ধ্যা অবরোধ কর্মসূচি দিয়েছে তারা।

অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থনে জনমত তৈরিতে বৃহস্পতিবার গণসংযোগের প্রথম দিনে সারা দেশে লিফলেট বিতরণ করেছে দলগুলো। রাজধানীতে গণসংযোগকালে নেতারা বলেন, এবারের নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণ নেই। দেশের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি। জনগণ ভোট বর্জন করবে। প্রধানমন্ত্রী হুঙ্কার দিলেও কেউ ভোটকেন্দ্রে যাবে না।

সকালে এলিফ্যান্ট রোড ও বেইলি রোড এলাকায় লিফলেট বিতরণ করেন বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এ সময় সাত জানুয়ারির নির্বাচনকে ‘ডামি নির্বাচন’ উল্লেখ করে তা বর্জন করে অসহযোগ আন্দোলন সফল করতে উদাত্ত আহ্বান জানান। অসহযোগ আন্দোলন সফলের পক্ষে বিভিন্ন এলাকায় লিফলেট বিতরণ করেন সসমনা রাজনৈতিক দলগুলো।

রিজভী বলেন, ‘একতরফা ডামি’ নির্বাচনের প্রচারণায় নেমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেটে যে ভাষায় কথা বলেছেন, তা হলো সন্ত্রাসীদের ভাষা। তিনি সন্ত্রাসীদের ভাষায় হুঙ্কার দিচ্ছেন। এভাবে হুঙ্কার দিলেও ৭ জানুয়ারি জনগণ ভোট দিতে যাবে না।

জনগণের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই ডামি নির্বাচন বর্জন করুন। কেউ ৭ জানুয়ারি ভোটকেন্দ্রে যাবেন না। আপনি নিজেও যাবেন না, অন্যকে যেতে বারণ করুন।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, ছাত্রনেতা মাহবুব, ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়াল, আজিজুল হক জিয়ন, সাদেক মিয়া, জান্নাতুল নওরিন ঊর্মি, সৈয়দা সুমাইয়া পারভীন, শাহাবুদ্দীন ইমন, মিরাজ হোসেন, ডা. মুনতাসির, রাজ, রাফসান হোসেন প্রমুখ। পরে নেতাকর্মী নিয়ে বিভিন্ন স্থানে দোকানে, ফুটপাতে পথচারীদের এবং রিকশা-সিএনজিচালক ও যাত্রীদের হাতে ৭ জানুয়ারির ভোট বর্জনের লিফলেট তুলে দেন।

গণসংযোগপূর্ব সমাবেশে দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ করে গণতন্ত্র মঞ্চ। ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জনের পাশাপাশি সরকারকে অসহযোগিতার কথা জানান মঞ্চের নেতারা। পরে তারা মতিঝিল অভিমুখে মিছিল করে। মঞ্চের সমন্বয়কারী ও গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ এক ভয়ংকর পরিস্থিতিতে আছি। এই দেশ রক্ষা করতে হলে আজকে সব মানুষকে রাজপথে নামতে হবে। বৃহত্তর ঐক্যে আসতে হবে।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেএসডির শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, কামাল উদ্দীন পাটোয়ারী, নাগরিক ঐক্যের শহীদুল্লাহ কায়সার, ভাসানী অনুসারী পরিষদের হাবিবুর রহমান রিজু, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির আকবর খান ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের ইমরান ইমন। অসহযোগ আন্দোলন সফলে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করেছে এলডিপি।

বৃহস্পতিবার বিকালে রামপুরা, বাড্ডা, গুলশান, নতুনবাজার, মগবাজার, মালিবাগ, কাকরাইল, পল্টন, প্রেস ক্লাব এলাকায় গণসংযোগ করেন দলটির নেতাকর্মীরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য ডক্টর আওরঙ্গজেব বেলাল এবং নূরুল আলম তালুকদারের নেতৃত্বে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের নেতাকর্মীরা।

বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে সকালে পল্টন, প্রেস ক্লাব এলাকায় গণসংযোগ এবং লিফলেট বিতরণ করেছে ১২ দলীয় জোট। এ সময় বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব ও ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ‘আওয়ামী লীগের বাঁচার এখন একমাত্র পথ পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ক্ষমতা হস্তান্তর করা।

এছাড়া সরকারের বাঁচার কোনো রাস্তা নেই। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য নওয়াব আলী আব্বাস খান, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সহসভাপতি ও ১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক রাশেদ প্রধান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী বাংলাদেশের মুফতি মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের শামসুল আহাদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির মো. ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির শামসুদ্দীন পারভেজ।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে বিজয়নগর মোড় পর্যন্ত দোকানপাট, রিকশাচালক এবং সাধারণ মানুষের কাছে নির্বাচন বর্জন এবং অসহযোগ আন্দোলনে শরিক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে লিফলেট বিতরণ করে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট।

এ সময় জোটপ্রধান সমন্বয়ক ও এনপিপি চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ গণধিকৃত দলে পরিণত হয়েছে। এরা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।’ এ সময় উপস্থিত ছিলেন এনপিপি মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, জাগপা সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এসএম শাহাদাত, গণদলের চেয়ারম্যান এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী, এনডিপি চেয়ারম্যান ক্বারি আবু তাহের, মহাসচিব আব্দুল্লাহ আল হারুন সোহেল, বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান শাওন সাদেকী প্রমুখ।

বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে পথসভা করে নুরুল হক নুর নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদ। এতে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি নুরুল হক নুর, সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান প্রমুখ। দুপুরে বিজয়নগর এলাকায় লিফলেট বিতরণ করে গণফোরাম (মন্টু) ও বাংলাদেশ পিপলস পার্টি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন গণফোরামের অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, বাংলাদেশ পিপলস পার্টির বাবুল সরদার চাখারী, মো. আবদুল কাদের, মুহাম্মদ উল্লাহ মধু, আইয়ুব খান ফারুক, কামাল উদ্দিন সুমন, আনোয়ার ইব্রাহীম, সোলায়মান অয়ন, সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

এদিকে নির্বাচন বর্জন ও সরকারের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে প্রতিবাদী পদযাত্রা, উদ্বুদ্ধ করণ প্রচারণা, মানববন্ধন ও বিক্ষোভসহ লাগাতার কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)। বৃহস্পতিবার এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক ও সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব আনোয়ার সাদাত টুটুল, যুব পার্টির আহ্বায়ক এবিএম খালিদ হাসান ও মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসাইন প্রমুখ।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম