
প্রিন্ট: ০২ মার্চ ২০২৫, ০৭:১৫ পিএম

ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

আরও পড়ুন
‘আগুন দিয়ে মানুষ পোড়ানো, বাস পোড়ানো, জনদুর্ভোগ তৈরি করা কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি হতে পারে না। পৃথিবীর কোথাও এমন অগ্নিসন্ত্রাসের রাজনীতি নেই।’ রোববার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে আয়োজিত মানববন্ধনে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এ কথা বলেন। এতে বিভিন্ন সময় আগুনে দগ্ধ হওয়া সাধারণ মানুষ, শ্রমিক ও তাদের স্বজনরা অংশ নেন।
এই কর্মসূচিতে তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘২০১৩, ১৪, ১৫ সালে যারা আগুন সন্ত্রাস করেছিল, তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা গেলে ২০২৩ সালে পুনরায় বিভিন্ন স্থানে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটত না। ২০১৩ সালে বিএনপি খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে মানুষের গায়ে আগুন দিয়েছে। ২০২৩ সালে তার ছেলে তারেক রহমানের নেতৃত্বে আগুন দিচ্ছে। পৃথিবীর কোথাও পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করা ও রাজনৈতিক স্বার্থে মানুষকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারার রাজনীতি নেই। তারা সাংবাদিকদের ওপর হামলা করে। ইসরাইলি বাহিনীর মতো হাসপাতালে প্রবেশ করে অ্যাম্বুলেন্সে আগুন দেয়। গত একমাসে তারা ৫৮০টি গাড়িতে আগুন দিয়েছে। এটা কী ধরনের রাজনীতি?’
তিনি বলেন, ‘এসবের পরও কেউ কেউ তাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য বিবৃতি দেন। সন্ত্রাসীদের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা হতে পারে না।’ এ
সময় তিনি বিএনপি-জামায়াতের ‘আগুন সন্ত্রাসের রাজনীতি’ প্রতিহত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। পুনরায় ক্ষমতায় এলে এদেরকে নির্মূল করার ঘোষণাও দেন তিনি। এতে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। তিনি বলেন, বিএনপি জামায়াতের ‘অগ্নিসন্ত্রাসীদের ’ বিচার আরও আগেই করা দরকার ছিল। কিন্তু বিচার করতে গেলে পিটার হাসের মতো ব্যক্তিরা ফুসে ওঠেন। মানবাধিকারের কথা বলেন। পিটার হাসকে বলব, আগুনে পুড়ে যাওয়া এসব মানুষকে নিজের অফিসে ডেকে কথা বলুন। দেখুন, কিভাবে বিএনপি-জামায়াত মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে।
এরা দেশকে তালেবানি রাষ্ট্র বানাতে চায়। বিচারহীনতার সংস্কৃতি তৈরি করতে চায়। এদের কঠোর হাতে দমন করতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘বিএনপির হামলার উদ্দেশ্য মানুষের মাঝে আতঙ্ক তৈরি করা এবং দেশের অর্থনীতিকে বাধাগ্রস্ত করা। তাদের কর্মসূচিতে প্রতিনিয়ত দেশের অর্থ নষ্ট হচ্ছে।’
মানববন্ধনে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, অগ্নিসন্ত্রাসের আর্তনাদ সংগঠনের আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন বাবুলসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।