Logo
Logo
×

প্রথম পাতা

যুবদলের ইসহাক জাহাঙ্গীরসহ ১৯৯ নেতাকর্মীর সাজা

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

যুবদলের ইসহাক জাহাঙ্গীরসহ ১৯৯ নেতাকর্মীর সাজা

রাজধানীর উত্তরা পূর্ব, লালবাগ, কোতোয়ালি ও বংশাল থানার চার মামলায় ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম জাহাঙ্গীর, যুবদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকারসহ ১৯৯ জনের কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার চার আদালত।

বৃহস্পতিবার পৃথক রায়ে এ আদেশ দেওয়া হয়। এ চার মামলাসহ গত তিন মাসে ৩২ মামলায় বিএনপির ৬৩০ জনকে কারাদণ্ড দিলেন আদালত। এর মধ্যে নভেম্বর মাসে ২৫ মামলায় ৪৯৪ জনের কারাদণ্ড দেওয়া হলো।

যুবদলের জাহাঙ্গীরসহ ৭৫ জনের কারাদণ্ড : উত্তরা পূর্ব থানার মামলায় ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম জাহাঙ্গীরসহ ৭৫ জনকে পৃথক তিন ধারায় আড়াই বছর করে সাজা দিয়েছেন আদালত। ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুল হক এ সাজা দেন।

এদিন কারাগারে আটক জাহাঙ্গীরসহ তিনজনকে আদালতে হাজির করা হয়। তাদের উপস্থিতিতে আদালত এ সাজা দেন। তবে অপর ৭২ আসামি পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে সাজাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। পলাতক আসামিদের মধ্যে কেউ মারা গেলে তাদের বিরুদ্ধে সাজা কার্যকর হবে না বলে উল্লেখ করেন বিচারক।

নাশকতার অভিযোগে ২০১৩ সালের নভেম্বরে রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানায় মামলা করে পুলিশ। তদন্ত শেষে পুলিশ ৭৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়। এর আগে উত্তরা পূর্ব থানায় করা আরেক মামলায় বুধবার এসএম জাহাঙ্গীরের সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত

লালবাগ থানার মামলায় বিএনপির ৫০ জনের সাজা : লালবাগ থানার মামলায় পৃথক দুই ধারায় বিএনপির ৫০ নেতাকর্মীর ৩ বছর ৩ মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি ৫ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তিন মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম এ আদেশ দেন। দণ্ডপ্রাপ্তদের সবাই পলাতক। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-হাজী আলতাফ হোসেন, মোশারফ হোসেন ওরফে কালা খোকন, জামালুর রহমান চৌধুরী, শফিউদ্দিন আহমেদ সেন্টু, মো. সাইদুল ইসলাম, জিয়ার আলী তাইয়্যন, সাঈদ হোসেন সোহেল ওরফে ক্যাপ সোহেল, হাজী ফয়সাল, আরমান হোসেন বাদল, মো. জুম্মন, ফয়সাল আহম্মেদ, মো. তাজু, মো. রাসেল, রমজান আলী, মো. জিয়া, তাসাদ্দেক হোসেন বাবলু, মো. শামীম, মুজিবুর রহমান ওরফে মানজু, পলাশ চেীধুরী, জানে আলম, সজিব আহম্মেদ শিবলু, মো. রুবেল, হাসান উদ্দিন সোহেল, আবু নোমান, খলিলুর রহমান ওরফে রিপন, মো. শহিদুল ইসলাম, মাহফুজুর রহমান, মো. চান মিয়া, মাহবুব হোসেন পিচ্চি, কালা বাবু, মো. আনোয়ার হোসেন ওরফে মাহবুব, মো. সালাউদ্দিন, মোহাম্মদ মোস্তাফা, মো. সোহেল, আলমগীর কবির সেলিম, সোহাগ হোসেন বিপ্লব, ওহাব মিয়া, ওমর ফারুক, টিটু মিয়া, জাকির আহম্মেদ বাবু, আলমগীর হোসেন, মো. কামাল আকন, হারিছুল হক, তানজিরুল রহমান, মো. ইমরান হোসেন, মো. মামুন সোহেল, মো. আরমান হোসেন, ইমাম হোসেন ইমন, মো. সেলিম ও আকবর আহম্মদ আকবর।

নাশকতার অভিযোগে ২০১৩ সালের নভেম্বরে রাজধানীর লালবাগ থানায় মামলা করে পুলিশ। তদন্ত শেষে পুলিশ ৭৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়।

ইসহাক সরকারসহ ১২ জনের ৭ বছর করে কারাদণ্ড : কোতোয়ালি থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকারসহ ১২ জনের সাত বছর করে সাজা দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাস করে সাজা দেওয়া হয়েছে। তবে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ৮ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

ঢাকার মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১০ এর বিচারক মো. মামুনুর রহমান সিদ্দিকী এ রায় দেন।

এ মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত অপর উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন-ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন আনোয়ার, হায়দার আলী বাবলা, ইমরান, সেন্টু ও নাসুম।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৫ সালের ৮ মার্চ কোতোয়ালি থানাধীন বাবুবাজার ব্রিজ এলাকায় বিএনপির শীর্ষ নেতাদের নির্দেশে হরতাল সফল করতে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় তারা। এতে রিকশাচালক কামাল হোসেন গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক নাজিম উদ্দীন ২০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেন।

বংশাল থানার মামলায় ৬২ নেতাকর্মীর জেল : বংশাল থানায় নাশকতার মামলায় পৃথক দুই ধারায় বিএনপির ৬২ নেতাকর্মীর সাড়ে তিন বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি ৪ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে প্রত্যেকের ১৪ দিন করে কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।

ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শেখ সাদী এ আদেশ দেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

নাশকতার অভিযোগে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে বংশাল থানায় মামলাটি করা হয়।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম