সেমিনারে রাষ্ট্রদূত ওয়েন
সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশে নির্বাচন চায় চীন
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, সংবিধান ও আইন অনুযায়ী বাংলাদেশে নির্বাচন চায় চীন। বাংলাদেশের জনগণই তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে। তাই নির্বাচন নিয়ে বাইরের কোনো দেশের হস্তক্ষেপ আমরা চাই না।
বৃহস্পতিবার রাজধানী বনানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। চীনের সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক উদ্যোগ ‘বিআরআইয়ের’ ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে সেমিনারের আয়োজন করে কূটনৈতিক রিপোর্টারদের সংগঠন ডিক্যাব ও চীনা দূতাবাস। অনুষ্ঠানে চীনা উদ্যোক্তাদের সংগঠন সিইএবির প্রেসিডেন্ট কে চেংলিয়াং বাংলাদেশে তাদের বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরেন।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন আরও বলেন, ‘নির্বাচন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। সংবিধান ও আইন অনুযায়ী বাংলাদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেখতে চায় চীন।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের নীতি খুবই পরিষ্কার। কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আমরা হস্তক্ষেপ করি না। আমরা আশা করি আগামী নির্বাচনের পরও বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা থাকবে এবং আমাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।’ রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপের বিষয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো বলতে পারবে। তবে চীন বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা চায়। নির্বাচনের সময় সম্মিলিত প্রচেষ্টায় রাজনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা জরুরি। চীনের প্রত্যাশা সব অংশীদার মিলে স্থিতিশীলতা বজায় রাখবে।’
রাষ্ট্রদূতের কাছে প্রশ্ন ছিল বাংলাদেশের রিজার্ভ কমছে; এটি ধরে রাখতে চীন সহযোগিতা করবে কীনা? জবাবে তিনি বলেন, ‘রিজার্ভ নিয়ে এখনো কোনো সহযোগিতা চায়নি বাংলাদেশ। সহযোগিতা চাইলে বন্ধু দেশ হিসাবে পাশে থাকবে চীন।’
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরে যাওয়া নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘চীন, বাংলাদেশ, মিয়ানমার মিলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর চেষ্টা করছে। রোহিঙ্গারা এ দেশে অতিথি হিসাবে এসেছে। তাদের প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সমর্থনও প্রয়োজন। চীন দেখতে পাচ্ছে, অনেকেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন চায় না।’
অনুষ্ঠানে সিইএবি সভাপতি কে চ্যাংলিয়াং বলেন, ‘বাংলাদেশের অনেক বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে চীন। আগামী দিনে আরও প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে পাশে থাকবে চীন।’
ডিক্যাব সভাপতি রেজাউল করিম লোটাসের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইমরুল কায়েস।