Logo
Logo
×

প্রথম পাতা

ছন্নছাড়া ব্যাটিং যাচ্ছেতাই হার

সুপার ফোরে হেরে শুরু বাংলাদেশের

Icon

ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

ছন্নছাড়া ব্যাটিং যাচ্ছেতাই হার

দুদিনের ব্যবধানে মুদ্রার দুই পিঠ দেখলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ওপেনিংয়ে নেমে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরির পর পাকিস্তানের বিপক্ষে গোল্ডেন ডাক। লড়াকু ফিফটিতে শুরুর ধাক্কা সামাল দিলেও শেষ পর্যন্ত আগের ম্যাচের মিরাজ-নাজমুল হয়ে উঠতে পারলেন না সাকিব-মুশফিক। বুধবার লাহোরে স্বাগতিক পাকিস্তানের বিপক্ষে এশিয়া কাপ সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে পেসে নাকাল হয়ে ৩৮.৪ ওভারে ১৯৩ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। 

সাকিব ও মুশফিকের পঞ্চম উইকেট জুটিতে আসে ১০০ রান। জবাবে পাকিস্তান ৬৩ বল বাকি থাকতে সাত উইকেটের জয়ী হয়। পাকিস্তানের ওপেনার ইমাম-উল-হক (৭৮) ও মোহাম্মদ রিজওয়ান (৬৩*) হাফ সেঞ্চুরি করেন। বাংলাদেশের পরের ম্যাচ শনিবার শ্রীলংকার বিপক্ষে।

ফখর জামানকে দারুণ একটি ডেলিভারিতে ফিরিয়ে দেন শরীফুল ইসলাম। পাকিস্তানের এই ওপেনার ৩১ বলে করেন ২০ রান। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা অধিনায়ক বাবর আজমকে বেশিক্ষণ উইকেটে টিকতে দেননি তাসকিন আহমেদ। নেপালের বিপক্ষে ১৫১ করা বাবর ১৭ রান করে বোল্ড হন। তবে একপাশ আগলে রেখে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ইমাম। ৮৪ বলে পাঁচ চার ও চার ছক্কায় ৭৮ করা ইমামকে ফেরান মিরাজ। রিজওয়ান অপরাজিত ৬৩ রান করেন ৭৯ বলে, আঘা সালমান করেন ১২* রান। ছয় ওভারে ১৯ রানে চার উইকেট নেওয়া পেসার হারিস রউফ হন ম্যাচসেরা।

লোয়ার মিডল অর্ডার ব্যাটার মিরাজ ওপেনিংয়ে সুযোগ পেয়ে নিয়মিত ভালো শুরু এনে দেবেন, এমনটা আশা করাও ভুল। পাকিস্তানের বিপক্ষে গোল্ডেন ডাক মারলেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান মিরাজ। নাসিম শাহর স্লোয়ার ডেলিভারিতে বিভ্রান্ত হয়ে মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। বাকিদের ব্যাটিং ছিল ভুলে ভরা। সাকিব (৫৩) ও মুশফিক (৬৪) হাফ সেঞ্চুরি করলেও গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আউট হয়ে দলকে ডুবিয়েছেন। মাত্র তিন রানের ব্যবধানে শেষ চার উইকেট হারিয়ে ১৯৩তে অলআউট বাংলাদেশ। উইকেটে বোলারদের জন্য তেমন কিছু ছিল না। তারপরও ৪৭ রানে প্রথম চার উইকেট হারানো বাংলাদেশ শেষ ছয় উইকেট হারায় মাত্র ৪৬ রানে! 

আগের ম্যাচে একই মাঠে জোড়া সেঞ্চুরি উপহার দিয়েছিলেন মিরাজ ও নাজমুল। হ্যামস্ট্রিং চোট নিয়ে নাজমুল দেশে ফিরেছেন। পাকিস্তানের বিপক্ষে অন্যদের দায়িত্ব নেওয়ার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু সেটি হয়নি। মিরাজের বিদায়ের পর মোহাম্মদ নাঈম শেখ ও লিটন দাসের ব্যাটিংয়ে ভালো কিছুর সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছিল। নাজমুলের জায়গায় দলে আসা লিটনের শুরুটা ছিল চোখ ধাঁধানো। দারুণ চারটি চারে আশার আলো দেখিয়েছিলেন। কিন্তু পুরোনো রোগে ধরে তাকেও। শাহিন শাহ আফ্রিদির একটু সুইং করা বলে খোঁচা মারতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লিটন (১৬)। 

উইকেটে থিতু হওয়ার পর আউটের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে নাঈম করলেন ২৫ বলে ২০ রান। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শুরুটা দুর্দান্ত হলেও এশিয়া কাপে টানা তিন ম্যাচে ব্যর্থ তাওহিদ হৃদয় (২)। ৪৭ রানে চার উইকেট হারানো দলকে টেনেছেন দুই বুড়ো সাকিব ও মুশফিক। যতক্ষণ উইকেটে ছিলেন, স্বপ্ন দেখিয়েছেন। সাকিব ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৫৪তম ফিফটি পূরণ করে একবার জীবনও পান। কিন্তু তা কাজে লাগাতে পারেননি। আউট হয়েছেন ৫৭ বলে ৫৩ করে ছক্কার চেষ্টায়। তার আউটে মুশফিকের সঙ্গে একশ রানের জুটিও ভাঙে। বাংলাদেশের স্কোর তখন ১৪৭। সেখান থেকেও অনেক দূর যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল শামীম হোসেন ও আফিফ হোসেন থাকায়। 

৪৬তম ওয়ানডে হাফ সেঞ্চুরিতে পৌঁছানোর পর কোনো উল্লাসই করেননি মুশফিক। হয়তো সেঞ্চুরির জন্য উচ্ছ্বাস তুলে রেখেছিলেন। কিন্তু তিনিও পারেননি ফিফটিকে সেঞ্চুরিতে রূপ দিতে। হারিস রউফের বলে সোজা মারতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। তার ৮৭ বলে ৬৪ রানের ইনিংসটি ছিল পাঁচ চারে সাজানো। দুই তরুণ শামীম ও আফিফের ওপর আস্থা রেখেছে টিম ম্যানেজমেন্ট। কাল তাদের দুজনেরই দায়িত্ব নেওয়ার সুযোগ ছিল। একটি করে ছক্কা হাঁকিয়ে আশাও দেখিয়েছিলেন। এরপর হতাশ করেছেন। শামীম ১৬ ও আফিফ ১১ করে ফেরেন। তিন রান তুলে বাংলাদেশ হারায় শেষ চার উইকেট। হারিস রউফ চার ও নাসিম তিন উইকেট নেন।
 

 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম