এইচএসসি পরীক্ষায় প্রথম দিন অনুপস্থিত ৫৫২২ জন
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৮ আগস্ট ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
এইচএসসি পরীক্ষার প্রথম দিন বৃহস্পতিবার ৮ শিক্ষা বোর্ডে অনুপস্থিত ছিল ৫ হাজার ৫২২ জন। এদিন বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করায় ৪ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কন্ট্রোল রুম থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সকালে তেজগাঁও কলেজ পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আগামী বছর এসএসসি পরীক্ষা নেওয়া হবে ফেব্রুয়ারিতে। এছাড়া এপ্রিলে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়ার চেষ্টাও থাকবে। এ সময় তিনি অভিভাবকদের পরীক্ষাকেন্দ্রের সামনে ভিড় না করার আহ্বান জানান।
সারা দেশের সাধারণ ও কারিগরি এবং মাদ্রাসা শিক্ষার ১১টি শিক্ষা বোর্ড আছে। কিন্তু দেশের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে সাম্প্রতিক বন্যার কারণে চট্টগ্রাম, মাদ্রাসা এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ২৭ আগস্ট পর্যন্ত নির্ধারিত পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। ফলে বৃহস্পতিবার শুধু ৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষা হয়।
সকাল ১০টায় শুরু হয়ে পরীক্ষা দুপুর ১টা পর্যন্ত চলে। এই তিন বোর্ডের পরীক্ষা ২৮ আগস্ট শুরু হবে। সেদিন থেকে পূর্ব ঘোষিত রুটিন অনুযায়ী অন্যান্য বোর্ডের সঙ্গে পরীক্ষা নেওয়া হবে। আর এই ১০ দিনে স্থগিত চার পরীক্ষা শেষের দিকে নেওয়া হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণকক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীন এইচএসসি পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী ছিল ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৮৪৪ জন। এর মধ্যে ৯ লাখ ৪১ হাজার ৩২২ জন অংশ নেয়। অনুপস্থিত ছিল ৫ হাজার ৫২২ জন। সবচেয়ে বেশি অনুপস্থিত ঢাকা বোর্ডে ১ হাজার ৪৩৬ জন।
এরপর রাজশাহীতে ৯৩১, বরিশালে ৩৮০, সিলেটে ৪০৭, দিনাজপুরে ৭৩৩, কুমিল্লায় ৬৫৫, ময়মনসিংহে ৩৫৬ এবং যশোর শিক্ষা বোর্ডে ৬২৪ জন অনুপস্থিত ছিল।
অন্যদিকে উপস্থিত পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ৪ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর মধ্যে দিনাজপুর বোর্ডে ২ জন এবং রাজশাহী ও বরিশাল বোর্ডে একজন করে। তবে পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা কোনো পরিদর্শক বহিষ্কার হননি।
পরীক্ষার্থীদের সহায়তায় পুলিশের সেবা ‘সাপোর্ট’ : ভুল কেন্দ্রে গেলে কিংবা যানজটে আটকা পড়লে শিক্ষার্থীদের পুলিশের মোটরসাইকেলে দ্রুত কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ‘সাপোর্ট’ সেবা চালু করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিরপুর মডেল থানা। বৃহস্পতিবার থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়।
মিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহসিন জানান, কার্যক্রমের প্রথম দিন একজন এইচএসসি পরীক্ষার্থী ভুল করে মিরপুর গার্লস আইডিয়াল কলেজে চলে আসে। কিন্তু তার পরীক্ষা কেন্দ্র ছিল ঢাকা মডেল কলেজ। মিরপুর মডেল থানা পুলিশ গাড়িতে ওই শিক্ষার্থীকে দ্রুত তার মূল পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে দেয়।
তিনি বলেন, প্রতি বছর এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার সময় অনেক শিক্ষার্থী ভুল করে অন্য কেন্দ্রে চলে যায়। যখন তারা বুঝতে পারে তখন তাদের হাতে পর্যাপ্ত সময় থাকে না মূল পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছানোর। এমন সমস্যার সম্মুখীন পরীক্ষার্থীদের বিগত সময়েও পুলিশ গাড়িতে মূল পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে দিয়েছে। এ বিষয়টি মাথায় রেখেই এবার মিরপুর মডেল থানা পুলিশ এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য পুলিশি সেবা ‘সাপোর্ট’ চালু করেছে।
তিনি বলেন, এই সেবার আওতায় ভুল কেন্দ্রে আসা শিক্ষার্থীদের পুলিশের গাড়িতে মূল কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া, যানজটে আটকা শিক্ষার্থীদের পুলিশের মোটরসাইকেলে কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া, ভুলে প্রবেশপত্র বাসায় রেখে এলে তা আনতে সহযোগিতা করাসহ বিভিন্ন সেবা প্রদান করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার বিভিন্ন কেন্দ্রের সামনে ফুল, কলম ও চকলেট দিয়ে পরীক্ষার্থীদের স্বাগত জানানো হয়।