Logo
Logo
×

প্রথম পাতা

নির্বাচনি বছরে সর্বোচ্চ গুরুত্ব

১৪ মেগা প্রকল্পে বরাদ্দ ৬৫ হাজার কোটি টাকা

Icon

হামিদ-উজ-জামান

প্রকাশ: ৩১ মে ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

১৪ মেগা প্রকল্পে বরাদ্দ ৬৫ হাজার কোটি টাকা

আসন্ন জাতীয় বাজেটে বরাদ্দের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বড় উন্নয়ন প্রকল্পে। এমন ১৪টি মেগা প্রকল্প ও কর্মসূচির জন্য ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে ৬৫ হাজার ৭৬০ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত এডিপিতে এ খাতে বরাদ্দ আছে ৫৪ হাজার ১৫ কোটি টাকা। বাড়ছে প্রায় ১১ হাজার ৭৪৫ কোটি টাকা। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আওতায় এ অর্থ বরাদ্দ ধরা হয়েছে। তবে সব প্রকল্পেই বরাদ্দ বাড়ছে না।

বরাদ্দ বাড়বে নয়টির এবং কমেছে পাঁচটি প্রকল্পের। ১১ মে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) বৈঠকে অনুমোদন দেওয়া হয় নতুন এডিপি। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বছর হওয়ায় মেগা প্রকল্পে বরাদ্দ বেশি দেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান সোমবার যুগান্তরকে বলেন, বড় প্রকল্পের প্রতি জনগণের আগ্রহ আছে। সাধারণ মানুষ এগুলো পছন্দ করছে। তাই এসব প্রকল্প ও কর্মসূচির গতি বাড়াতে পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এখানে একেবারেই যে নির্বাচনি প্রভাব নেই তা বলা যায় না। কারণ সরকার তো জনগণের জন্য এবং তাদের খুশি করতেই কাজ করছে। সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দিলে ক্ষতি কি? এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বরাদ্দ নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে প্রকল্পসংশ্লিষ্টদের চাহিদাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এরপর চলতি অর্থবছরে তাদের অর্থ ব্যয়ের অবস্থা এবং আইএমইডির প্রতিবেদন সবকিছু মিলেই পারফরম্যান্স বিবেচনায় আগামী অর্থবছরের বরাদ্দ নির্ধারণ করা হয়।

চলতি অর্থবছরের সংশোধিত এডিপিতে বরাদ্দের তুলনায় আগামী অর্থবছরের এ ধরনের প্রকল্পের বরাদ্দ বেড়েছে। মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে চলতি অর্থবছরের সংশোধিত এডিপিতে (আরএডিপি) বরাদ্দ আছে ৭৭৫০ কোটি টাকা। গত বছরের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের আওতায় পুঞ্জিত (শুরু থেকে খরচ) ব্যয় হয়েছে ২৬ হাজার ৮১১ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। আগামী অর্থবছর বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে ৯২৫৬ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। এছাড়া মেট্রোরেল লাইন-৬ প্রকল্পে আরএডিপিতে আছে ৩০৪৯ কোটি টাকা। গত জুন পর্যন্ত এ প্রকল্পের আওতায় ক্রমপুঞ্জিত ব্যয় ১৭ হাজার ১২৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা। আগামী এডিপিতে বরাদ্দ পাচ্ছে ৩৪২৫ কোটি টাকা।

ঢাকা আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে চলতি বরাদ্দ ৩৩০০ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। ক্রমপুঞ্জিত ব্যয় হয়েছে ১৯৬০ কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরের বরাদ্দ পাচ্ছে ৫৮৭০ কোটি ২৩ লাখ টাকা। বঙ্গবন্ধু রেল সেতু নির্মাণে চলতি বরাদ্দ ২৬৯৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা। ক্রমপুঞ্জিত ব্যয় হয়েছে ৫৪২১ কোটি ২৮ লাখ টাকা। আগামী অর্থবছরের বরাদ্দ ৩৭৭৮ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার-ঘুনধুম পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণে চলতি বরাদ্দ আছে ১০২০ কোটি টাকা।

ক্রমপুঞ্জিত ব্যয় হয়েছে ৬১৯৮ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। আগামী অর্থবছরের বরাদ্দ ১৪০০ কোটি টাকা। মাতারবাড়ি বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পে চলতি বরাদ্দ আছে ১৮৭ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। গত জুন পর্যন্ত ক্রমপুঞ্জিত ব্যয় ৩০০ কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরে বরাদ্দ আসছে ৪৫৪৭ কোটি ১৭ লাখ টাকা। হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ (প্রথম পর্যায়) প্রকল্পে বরাদ্দ আছে ৪৪৬৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা। ক্রমপুঞ্জিত ব্যয় হয়েছে ৭০৪০ কোটি ৫২ লাখ টাকা।

আগামী অর্থবছরের বরাদ্দ ৫৪৯৮ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। চতুর্থ স্বাস্থ্য-জনসংখ্যা, পুষ্টি সেক্টর উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দ আছে ৫৮৯৭ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। ক্রমপুঞ্জিত ব্যয় ১১ হাজার ১৫৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। আগামী অর্থবছরে বরাদ্দ আসছে ৭০৮৯ কোটি টাকা। এছাড়া চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দ আছে ৬৩৬৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। ক্রমপুঞ্জিত ব্যয় হয়েছে ৪৬৯৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা। আগামী অর্থবছরের এডিপিতে বরাদ্দ থাকছে ৮৫৮৬ কোটি টাকা।

এদিকে রূপুপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে বরাদ্দ আছে ১১ হাজার ১৩৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা। গত বছরের জুন পর্যন্ত ক্রমপুঞ্জিত ব্যয় হয়েছে ৫৫ হাজার ৪৬৮ কোটি টাকা। আগামী অর্থবছর বরাদ্দ কমিয়ে ধরা হচ্ছে ৯৭০৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। এছাড়া সাপোর্ট টু ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (পিপিপি) প্রকল্পে বরাদ্দ আছে ২১৯ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। ক্রমপুঞ্জিত ব্যয় হয়েছে ৪৯১৭ কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরের বরাদ্দ কমে দাঁড়াচ্ছে ১১৮ কোটি টাকা।

কর্ণফুলী টানেল প্রকল্পে বরাদ্দ আছে ১৭২১ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। ক্রমপুঞ্জিত ব্যয় ৬৮০৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। নতুন বরাদ্দ পাচ্ছে ৭৩৫ কোটি ১৮ লাখ টাকা। পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ প্রকল্পে বরাদ্দ আছে ৫৯০৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। ক্রমপুঞ্জিত ব্যয় হয়েছে ২৩ হাজার ১৩৮ কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরের বরাদ্দ ৫৫০০ কোটি টাকা। এছাড়া পায়রা বন্দর উন্নয়ন আনুষাঙ্গিক কার্যক্রম প্রকল্পে বরাদ্দ আছে ২৮৬ কোটি টাকা। গত বছর জুন পর্যন্ত ক্রমপুঞ্জিত ব্যয় হয়েছে ৩৪৬০ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। আগামী অর্থবছর বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে ২৫০ কোটি টাকা।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম