শাহবাগীদের নতুন চক্রান্ত
সরকার ও জনগণকে সতর্ক হতে হবে

সম্পাদকীয়
প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

প্রতীকী ছবি।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান সংঘটিত হওয়ার পর দেশে নানা ধরনের অপতৎপরতা লক্ষ করা যাচ্ছে। এসব অপতৎপরতার অন্যতম লক্ষ্য হলো, দেশকে অস্থিতিশীল করে সরকাকে বেকায়দায় ফেলা। পতিত স্বৈরাচারের দোসররাও এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে বলে প্রমাণ মিলেছে। সম্প্রতি আরেকটি বড় অপতৎপরতা সংঘটিত হয়েছে এবং হয়ে চলেছে। নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী দোসররা রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করার যে অপচেষ্টা করছে, সেই চেষ্টার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে শাহবাগ গণজাগরণ মঞ্চের চক্রান্তকারী ও আওয়ামী সুবিধাভোগী কিছু বামপন্থি। আমাদের মনে থাকার কথা, শাহবাগী নামে যারা পরিচিত, তারা গত সরকারের শাসনামলে যুদ্ধাপরাধের বিচারিক প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে আইনবিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত ছিল। তাদেরই চাপে একজন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তকে ফাঁসিতে ঝোলানোর জন্য সরকার আইন পরিবর্তন পর্যন্ত করে তাকে ফাঁসি দিয়েছিল। তাদেরই প্ররোচনায় সরকার মতিঝিলের শাপলা চত্বরে আলেম-ওলামাদের নির্বিচারে হত্যা করেছিল। এই শাহবাগীদের অন্যতম লাকী আক্তার হঠাৎ করেই শিক্ষার্থীদের ভুল পথে পরিচালনা করার পরিকল্পনা করছেন। শাহবাগে নারী নির্যাতন ও ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনের নামে তিনি এমনসব স্লোগান দিতে থাকেন এবং ছাত্রসমাজকে উত্তেজিত করার চেষ্টা করেন, যা স্পষ্টতই সরকারকে বিব্রত করার অপচেষ্টা। এই নারী মূলত ছদ্মবেশে ৫ আগস্টের একজন অভ্যুত্থানকারী। তার চেহারা ক্রমেই স্পষ্ট থেকে স্পটতর হচ্ছে।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে সরকার অবশ্য নড়েচড়ে বসেছে। কথিত শাহবাগীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং দুর্বৃত্তদের শনাক্ত করা হচ্ছে। আমাদের কথা হলো, সাম্প্রতিককালে ধর্ষণের যেসব ঘটনা ঘটছে, তা নিতান্তই সামাজিক অপঘটনা, এর সঙ্গে সরকার কিংবা রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই। সরকার এ ধরনের ঘটনা রোধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে এবং এমনকি ধর্ষণবিরোধী আইনও সংশোধন করছে। সরকারের এ চেষ্টার প্রতি জনগণের উচিত সহযোগিতার হাত বাড়ানো। তা না করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের যে চেষ্টা চলছে তা রুখতে হবে। এটা করতে হবে সরকার ও জনগণের সম্মিলিত চেষ্টায়। সরকার নির্বিঘ্নে তার অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করবে, এটাই সবার প্রত্যাশা হওয়া উচিত। এক্ষেত্রে কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা দেখা দিলে তা রোধ করতে হবে।