Logo
Logo
×

সম্পাদকীয়

নতুন মুদ্রানীতি: মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে জোরালো পদক্ষেপ নিন

Icon

সম্পাদকীয়

প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

নতুন মুদ্রানীতি: মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে জোরালো পদক্ষেপ নিন

ছবি: সংগৃহীত

চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধে নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এবারের মুদ্রানীতিতে মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে নীতি সুদহার বাড়ানো হয়নি। বাজারে ব্যাংক ঋণের উচ্চ সুদের বিদ্যমান হার অপরিবর্তিত রাখার বার্তা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পাশাপাশি বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ বাড়ানোর আগের লক্ষ্যমাত্রা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। কমানো হয়েছে সরকারি খাতের ঋণপ্রবাহের লক্ষ্যমাত্রা। আশা করা হচ্ছে, এতে মূল্যস্ফীতিতে চাপ কিছুটা কমবে। বাজারে টাকার জোগান বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা আগের মতো অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। বস্তুত এসব পদক্ষেপের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আগের মতো মুদ্রানীতিতে সংকোচনমুখী ধারাই অনুসরণ করেছে। সোমবার বিকালে নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর।

এদিকে ঘোষিত মুদ্রানীতিতে ঋণের চড়া সুদ অব্যাহত রাখার কৌশলে উদ্বেগ প্রকাশ করে বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা বলেছেন, এ মুদ্রানীতি ব্যবসার পরিবেশকে বাধাগ্রস্ত করবে; অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে আরও সংকুচিত করবে; ব্যবসার বিকাশ বাধাগ্রস্ত হবে। ব্যবসায়ীরা বলেছেন, সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি বজায় রাখার বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্ত উদ্বেগজনক। বিদ্যমান উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে মুদ্রানীতির কঠোর অবস্থানের ফলে বেসরকারি খাতের ঋণপ্রবাহের পাশাপাশি সামগ্রিক অর্থনৈতিক সম্প্রসারণ বাধাগ্রস্ত হতে পারে। তাদের মতে, উচ্চ সুদের হার ঋণের গতি কমিয়ে দেবে; পাশাপাশি পণ্যের উৎপাদন খরচ বাড়িয়ে দেবে। ফলে পণ্যমূল্য বেড়ে গিয়ে মূল্যস্ফীতির হার আরও বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখতে পারে। তবে মুদ্রানীতি ঘোষণার সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর বলেছেন, তিনি আশা করছেন, জুনের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৭ থেকে ৮ শতাংশের মধ্যে নেমে আসবে। আমরা মনে করি, মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পাশাপাশি সরকারের পক্ষ থেকেও পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।

বস্তুত বাংলাদেশের মতো দেশে শুধু মুদ্রানীতি দিয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। এজন্য দরকার রাজস্ব নীতির পাশাপাশি বাজার ব্যবস্থাপনায় জোরালো তদারকি। এদিকে উচ্চ সুদহারের কারণে দেশীয় উদ্যোক্তারা প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়বেন। এ ধারা অব্যাহত থাকলে দেশে নতুন কর্মসংস্থান বাধাগ্রস্ত হবে। শিল্পোদ্যোক্তারা দেশের বিনিয়োগ পরিস্থিতি নিয়ে এখন বেশ চিন্তিত। তাদের অনেকে বলেছেন, বেঁচে থাকার জন্য এ মুহূর্তে সংগ্রাম করে যাচ্ছি। তারা ঋণের উচ্চ সুদহার নিয়ে বিশেষভাবে চিন্তিত। বর্তমানে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতিতে নানা সংকট রয়েছে। অর্থনীতিকে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় গতিশীল করতে হলে দেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি করার পদক্ষেপ নিতে হবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম