Logo
Logo
×

সম্পাদকীয়

নিত্যপণ্যের দাম

তদারকি ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কাম্য

Icon

সম্পাদকীয়

প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

নিত্যপণ্যের দাম

নানা আলোচনা-সমালোচনার পরও নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। খোঁড়া যুক্তি দেখিয়ে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ানো হচ্ছে এখন। সরবরাহ ঠিক থাকলেও বৃষ্টি ও কোটাবিরোধী ‘বাংলা ব্লকেড’কে অজুহাত করে বাড়ানো হয়েছে ডাল, আলু ও ডিমের দাম। পরিস্থিতি এমন যে, এক কেজি আলু কিনতে ক্রেতাকে ৬৫-৭০ টাকা পর্যন্ত খরচ করতে হচ্ছে। মসুর ডালের কেজি ১৪০ টাকা এবং প্রতি ডজন ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৫৫ টাকায়। ফলে গরিবের খাবারের তালিকায় এখন ডাল, আলুভর্তা ও ডিমের জোগান দেওয়াটাও ক্রমেই কঠিন হয়ে পড়ছে। সবজির বেলাতেও একই অবস্থা, খুচরা বাজারে ৬০ টাকার নিচে মিলছে না সবজি। পেঁয়াজ কিনতেও গুনতে হচ্ছে সর্বোচ্চ ১২৫ টাকা। সব মিলে বাজার করতে এসে নাজেহাল হচ্ছেন সাধারণ ক্রেতারা।

সার্বিক মূল্যস্ফীতির কারণে নিুআয়ের মানুষ যে কষ্টে আছেন, তা বলাই বাহুল্য। বন্যা ও বৃষ্টির কারণে নিত্যপণ্যের বাজারে এর কিছুটা প্রভাব পড়ার কথা থাকলেও সিন্ডিকেটের কারসাজিতে যে হারে দাম বাড়ছে, তা মেনে নেওয়া যায় না। পণ্যের দাম হুহু করে বাড়ার ফলে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। সবচেয়ে কষ্টে আছেন নিুআয়ের মানুষ। পণ্যের দাম বেশি হওয়ায় অনেক সময় তারা পরিমাণে কম কিনতে বাধ্য হচ্ছেন, ফলে তাদের পুষ্টির চাহিদা ঠিকমতো পূরণ হচ্ছে না। পরিবারের সদস্য, বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা শিকার হচ্ছেন অপুষ্টির।

আমরা মনে করি, আইনের শাসনের সঠিক প্রতিফলন না থাকায় তথা বাজারে সঠিক তদারকির অভাবে অসাধু ব্যবসায়ীরা এর সুযোগ নিচ্ছে। এটা ঠিক, বৃষ্টি ও বন্যায় সরবরাহে কিছুটা প্রভাব পড়েছে, তবে তা কী পরিমাণে এবং এ সমস্যা সমাধানে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন, সেটি সরকারকে খুঁজে বের করতে হবে। সুযোগসন্ধানী ও অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের ব্যাপারে নিতে হবে কঠোর ব্যবস্থা। ডিজিটাল এই যুগে কৃষকদের কথা চিন্তা করে মাঠপর্যায় থেকে সবজিসহ নিত্যপণ্য কীভাবে সরাসরি খোলাবাজারে সরবরাহ করা যায়, সে পথও খুঁজে বের করতে হবে। পাশাপাশি সরকারের বাজার ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যারা জড়িত রয়েছেন, তাদের যথাযথ দায়িত্ব পালন এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, যাতে অন্যেরা কারসাজি বন্ধে আগাম সতর্ক হয়। বাজারে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে সরকার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে, এটাই প্রত্যাশা।

 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম