Logo
Logo
×

সম্পাদকীয়

খাদ্যে উচ্চ মূল্যস্ফীতি: সঠিক পদক্ষেপ নিয়ে মানুষকে স্বস্তি দিন

Icon

সম্পাদকীয়

প্রকাশ: ১১ মে ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

খাদ্যে উচ্চ মূল্যস্ফীতি: সঠিক পদক্ষেপ নিয়ে মানুষকে স্বস্তি দিন

গত কয়েক বছর ধরে মূল্যস্ফীতি শব্দটি যেন আমাদের প্রাত্যহিক জীবনযাপনের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশে একের পর এক মূল্যস্ফীতির রেকর্ড হচ্ছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সবশেষ হিসাব অনুযায়ী, মার্চে দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৮ শতাংশ। খাদ্য মূল্যস্ফীতি আরও বেশি-৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ। তবে বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেন যে তথ্য দিয়েছেন, তা মূল্যস্ফীতির সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। তিনি বলেছেন, দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১৫ শতাংশ। এ তথ্যের সূত্র হিসাবে তিনি জানিয়েছেন, সম্প্রতি বিআইডিএসের পক্ষ থেকে দেশের সব জেলার তথ্য নিয়ে একটি পদ্ধতিতে মূল্যস্ফীতির হিসাব করা হয়েছে। তার এ বক্তব্যের পর স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে, দেশে প্রকৃত খাদ্য মূল্যস্ফীতি কোনটি-বিবিএসের, নাকি বিআইডিএসের পরিসংখ্যান?

সত্য যেটাই হোক, বাস্তবতা হলো দেশে মূল্যস্ফীতির হার অনেক উচ্চ এবং তা ক্রমাগত ঊর্ধ্বমুখী। উদ্বেগের বিষয় এটাই। উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে দ্রব্যমূল্য চড়া। সাধারণ মানুষ, বিশেষত স্বল্প ও নির্দিষ্ট আয়ের মানুষ বাজারে খাদ্যদ্রব্য কিনতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। মধ্যবিত্তও ভালো নেই। উচ্চ মূল্যস্ফীতির দায় কেবল বৈশ্বিক পরিস্থিতির ওপর চাপিয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই। সঠিকভাবে অর্থনীতি পরিচালনায় ব্যর্থতা, দুর্নীতি ও বাজার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে অব্যবস্থাপনাও উচ্চ মূল্যস্ফীতির জন্য দায়ী। সন্দেহ নেই, ডলারের উচ্চমূল্যও মূল্যস্ফীতিতে প্রভাব ফেলছে। বিশেষ করে আমদানিকৃত পণ্যের দাম বাড়ছে এ কারণে। মূল্যস্ফীতির হার কমাতে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। দৃষ্টি দিতে হবে বাজারের দিকেও। আমরা জানি, সাধারণত পণ্যের সংকট থাকলে দাম বাড়ে। কিন্তু দেশে খাদ্যপণ্যের কোনো সংকট না থাকলেও সব নিত্যপণ্যের দামই বেশি। এর পেছনে বাজার সিন্ডিকেটের জড়িত থাকার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। অতি মুনাফার জন্য অনৈতিক ও বেআইনিভাবে দাম বাড়িয়ে মানুষের পকেট কাটা স্পষ্টতই অপরাধ। যারা এ অপরাধ করছে, তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের আইন আছে। অনিয়ম হলে লাইসেন্স বাতিলের এখতিয়ারও সরকারের রয়েছে। আমরা মনে করি, বাজার নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে কালক্ষেপণের সুযোগ নেই। খাদ্যপণ্যের দামের কারসাজি রোধে সরকারকে তাই কঠোর হতেই হবে। যেসব অসাধু ব্যবসায়ী পণ্যের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে, বাজারে প্রকৃত তদারকির মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে সরকার উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে, এটাই প্রত্যাশা।

 

Jamuna Electronics
wholesaleclub

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম