উন্নয়ন প্রকল্প মূল্যায়ন প্রক্রিয়া
নীতিমালাটির দ্রুত বাস্তবায়ন কাম্য
সম্পাদকীয়
প্রকাশ: ০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
উন্নয়ন প্রকল্পের মূল্যায়ন প্রক্রিয়া নীতিমালার আওতায় আনার উদ্যোগটি ইতিবাচক। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) ইতোমধ্যেই নীতিমালাটির খসড়া তৈরি করেছে বলে জানা গেছে।
এ নীতিমালা বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রকল্পের কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এটি জরুরিও বটে। উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে আমাদের অভিজ্ঞতা সুখকর নয়। বিভিন্ন প্রকল্পের মেয়াদকাল ও অগ্রগতি খতিয়ে দেখা গেছে, অধিকাংশ প্রকল্পই চলছে ধীরগতিতে।
কোনো কোনো প্রকল্পের বাস্তব অগ্রগতি শূন্য শতাংশ। নির্ধারিত সময়ে প্রকল্প বাস্তবায়িত না হওয়ায় বারবার বাড়াতে হয় প্রকল্পের সময়। এতে অর্থের অপচয় হয়, বাড়ে দুর্নীতির সুযোগ। কাজেই এ অবস্থার পরিবর্তন জরুরি।
বস্তুত দেশে ধীরগতির কারণে নির্ধারিত সময়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন না হওয়ার বিষয়টি যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। সরকারের নানা উদ্যোগ সত্ত্বেও এ সমস্যার সমাধান হয়নি। প্রকল্প বাস্তবায়ন নানা কারণেই বিলম্বিত হয়। অভিযোগ আছে, নির্ধারিত সময়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন না হওয়ার জন্য বিভিন্ন কারসাজিও দায়ী।
অনেক ক্ষেত্রে দুর্নীতির সুযোগ সৃষ্টি করার জন্যই প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর উদ্দেশ্যে বাস্তবায়ন ধীরগতিতে করা হয়। এসব কারসাজি রোধে কোনো প্রকল্প অনুমোদনের আগে যথাযথ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পাশাপাশি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে জবাবদিহিতার বিষয়টি নিশ্চিত করা জরুরি। তাছাড়া অনিয়ম, সমন্বয়হীনতা, অদক্ষতা নিরসনেও প্রকল্পের কাজের যথাযথ মূল্যায়ন হওয়া প্রয়োজন। মূল্যায়ন ব্যবস্থা নীতিমালার আওতায় এলে এক্ষেত্রে সুফল মিলতে পারে।
আমাদের মতো সীমিত সম্পদের দেশে সবকিছু খুবই পরিকল্পিতভাবে সম্পন্ন করা দরকার। জনস্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে দ্রুত প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া উচিত। জানা যায়, বর্তমানে ‘জাতীয় প্রকল্প ও কর্মসূচি মূল্যায়ন নীতিমালা-২০২৩’-এর খসড়ার ওপর মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মতামত নেওয়ার কাজ চলছে।
৮ জানুয়ারির মধ্যে মতামত দিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। নীতিমালাটি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে প্রকল্পের কাজে অধিকতর স্বচ্ছতা আসবে এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে, এটাই কাম্য।