Logo
Logo
×

সম্পাদকীয়

শীতে অগ্নিদুর্ঘটনার ঝুঁকি, জনসচেতনতা ও সতর্কতার বিকল্প নেই

Icon

সম্পাদকীয়

প্রকাশ: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

শীতে অগ্নিদুর্ঘটনার ঝুঁকি, জনসচেতনতা ও সতর্কতার বিকল্প নেই

দেশে শুষ্ক মৌসুমে অগ্নিদুর্ঘটনা বেড়ে যায়। এসব দুর্ঘটনা কখনো কখনো ভয়াবহ আকার ধারণ করে। ঘটে হতাহতের ঘটনাও।

মূলত অসতর্কতা ও অবহেলার কারণে প্রতিবছর অগ্নিদুর্ঘটনার শিকার হয় মানুষ, সম্পদেরও ক্ষতি হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে শর্টসার্কিট, গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ, রান্নাঘরের ক্রুটিপূর্ণ চুলা, বিড়ি-সিগারেটের ফেলে দেওয়া জ্বলন্ত অংশ এবং মশার কয়েল থেকে ঘটে অগ্নিদুর্ঘটনা। পরিধেয় বস্ত্রে সরাসরি আগুন লেগেও অনেকে অগ্নিদুর্ঘটনার শিকার হয়ে থাকেন। পরিসংখ্যান বলছে, দেশে প্রতিবছর প্রায় আট লাখ মানুষ নানাভাবে অগ্নিদুর্ঘটনার শিকার হন।

জানা গেছে, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি ও বহির্বিভাগে যারা চিকিৎসা নিতে আসছেন, তাদের প্রায় ৭০ শতাংশই শিশু ও নারী। তাদের অধিকাংশই ঢাকার আশপাশের বাসিন্দা। দগ্ধ রোগীদের অনেকেই দরজা জানালা বন্ধ রেখেই গ্যাসের চুলা জ্বালাতে গিয়ে অগ্নিদুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। অনেকে আবার পানি ও খাবার গরম করতে গিয়ে শরীরে ফেলেছেন। বাসার গ্যাস সরবরাহ লাইনে লিকেজ বা সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়েও আসছেন অনেকে। এছাড়া অনেকে গায়ের পোশাকে আগুন লেগেও দগ্ধ হচ্ছেন। সূত্র বলছে, গত বছরের এ সময়ে রোগীর চাপ বেশি থাকলেও এবার হরতাল-অবরোধের কারণে রোগীর সংখ্যা কমে গেছে।

চিকিৎসকদের মতে, অধিকাংশ পোড়া রোগীর শারীরিক সমস্যা জীবনভর বয়ে বেড়াতে হয়। ক্ষতস্থানের ধরন ও মাত্রাভেদে কখনো টানা দুই বছরও চিকিৎসা নেওয়ার প্রয়োজন হয়। তাই অগ্নিদুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিকে যত দ্রুত সম্ভব সেবাকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া বাঞ্ছনীয়। তা না হলে রোগীর শারীরিক ও আর্থিক ক্ষতি বেড়ে যায়।

অগ্নিদুর্ঘটনা রোধে সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। শুধু শুষ্ক মৌসুমেই নয়, সব সময়েই আগুন, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের ব্যবহারে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। বাসাবাড়িতে রান্না করার পর গ্যাসের চুলা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রাখতে হবে। নিয়মিত গ্যাস সংযোগ ও লাইন পরীক্ষা করতে হবে। যত্রতত্র ধূমপান করা থেকে বিরত থাকতে হবে। আগুন পোহানোর সময় নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। বিশেষ করে শীত মৌসুমে গরম পানি, গ্যাসের চুলা ব্যবহার ও আগুন পোহাতে নিতে হবে বাড়তি সতর্কতা। সর্বোপরি জনসচেতনতা বৃদ্ধির বিষয়ে সরকার, গণমাধ্যম, চিকিৎসক এবং গ্যাস ও বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলো আরও বেশি গুরুত্ব দেবে, এটাই প্রত্যাশা।

 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম