Logo
Logo
×

সম্পাদকীয়

অসম্পন্ন প্রকল্প সমাপ্তির প্রস্তুতি

দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে হবে

Icon

সম্পাদকীয়

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

অসম্পন্ন প্রকল্প সমাপ্তির প্রস্তুতি

প্রকল্পের অর্ধেক কাজ বাকি রেখেই সমাপ্তি ঘোষণার প্রস্তুতি চলছে ‘বঙ্গবন্ধু চত্বর’ নামে রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (আরডিএ) একটি প্রকল্প। দুই বছরের এ প্রকল্পে সাত বছরে কাজ হয়েছে অর্ধেকেরও কম। কিন্তু ইতোমধ্যেই শেষ হয়ে গেছে বরাদ্দের ৬০ কোটি টাকা। বারবার নকশা বদলের কারণে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১২৫ কোটি টাকায়। প্রকল্প শেষ করতে সংশোধিত ডিপিপিতে অতিরিক্ত ৬০ কোটি টাকা চাওয়া হয়। কিন্তু অর্থ মন্ত্রণালয় আর কোনো টাকা দিতে রাজি নয় বলে জানিয়ে দিয়েছে। জানা যায়, আরডিএ ২০১৪ সালে রাজশাহী নগরীর তালাইমারীতে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কাজ হাতে নেয়। টেন্ডার হয় ২০১৯ সালে। তিন দফা সময় বাড়িয়ে প্রকল্প শেষ হওয়ার সময় নির্ধারিত হয় ২০২২ সালের ৩০ জুন। কিন্তু অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দ না পাওয়ায় প্রকল্পের কাজ ছয় মাস ধরে বন্ধ আছে। প্রশ্ন হলো, প্রকল্পটির এ পরিস্থিতির জন্য দায়ী কে? অভিযোগ আছে, কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা না করেই বারবার প্রকল্পের নকশা বদল করে ব্যয় বাড়িয়েছেন পরামর্শক। এর উদ্দেশ্য হতে পারে দুর্নীতি। কারণ, নকশা বদলের কারণে বেড়েছে পরামর্শক ফিও। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

বস্তুত প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয় বাড়িয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া যেন এক নিয়মে পরিণত হয়েছে। বলার অপেক্ষা রাখে না, কোনো প্রকল্প যদি ৫০ ভাগ সম্পন্ন হওয়ার পর সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়, তাহলে সেটি কোনো কাজে লাগে না। ফলে অর্থের অপচয় হয়। অন্যদিকে বাকি ৫০ ভাগ কাজ শেষ করতে হলে পুনরায় অর্থ বরাদ্দের প্রয়োজন হয়। নতুন করে শুরু হওয়া কাজ শেষ হতে না হতেই দেখা যায়, আগে যেসব কাজ করা হয়েছিল, তা নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় দ্বিতীয়বার অপচয়ের ঘটনা ঘটে। বস্তুত অপচয়ের দুষ্টচক্রে পড়ে যায় এসব প্রকল্প। এ প্রবণতা বন্ধ করা জরুরি। উদ্বেগের বিষয় হলো, প্রতিবছর বহু প্রকল্পের লক্ষ্যমাত্রা ভুল প্রমাণিত হচ্ছে এবং এ কারণে নষ্ট হচ্ছে এডিপির বিশ্বাসযোগ্যতা। কাজেই কোনো প্রকল্পের লক্ষ্যমাত্রা এমনভাবে নির্ধারণ করা উচিত, যাতে সেগুলো পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়। এর ব্যত্যয় ঘটলে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালককে জবাবদিহির আওতায় আনা উচিত। এর কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করি আমরা।

 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম