ভোক্তা অধিদপ্তরের সেবা
ডিজিটাল ব্যবস্থা দ্রুত কার্যকর করুন
সম্পাদকীয়
প্রকাশ: ০৫ এপ্রিল ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
উদ্বোধনের তিন বছর পরও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ‘ভোক্তা হটলাইন-১৬১২১’ পূর্ণাঙ্গভাবে কার্যকর না হওয়ার বিষয়টি দুর্ভাগ্যজনক। ভোক্তাদের অভিযোগ-ওই নম্বরে কল করে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পরও অপর প্রান্তে কাউকে পাওয়া যায় না। যদি কখনো কাউকে পাওয়া যায়ও, তখন বলা হয়-ভোক্তা অধিকার অফিসে এসে ফর্ম পূরণ করে আবেদন করতে হবে। প্রশ্ন হলো, এই যদি হয় হটলাইন সেবার হাল, তাহলে তা চালু করা হয়েছে কেন? শুধু হটলাইনের ক্ষেত্রেই যে এ নিষ্ক্রিয়তা তা নয়, অভিযোগ দেওয়ার জন্য যে সেন্ট্রাল কমপ্লেইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ওয়েবসাইট রয়েছে, সেটিও অচল। বস্তুত এ দুটি সেবা কাগজেকলমে থাকলেও কার্যত বাস্তবে নেই।
দেশে পণ্য ও সেবা ক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত নানাভাবে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন ভোক্তারা। মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য, ভেজাল বা নিম্নমানের পণ্য, ওজনে কারচুপি প্রভৃতি ঘটনা ঘটছে অহরহ। কেউ কোনো পণ্য বা সেবা ক্রয় বা ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রতারিত বা ক্ষতিগ্রস্ত হলে তার প্রতিকার বা ক্ষতিপূরণ পাওয়ার অধিকার আছে। পণ্য বা সেবা কিনে প্রতারিত হলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে অভিযোগ দায়ের করা যায়। আর এজন্য রয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। তবে তৎক্ষণাৎ অধিদপ্তরে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করা সবার পক্ষে সম্ভব হয় না। ফলে চাইলেও অনেকে আর অভিযোগ দায়ের করেন না।
হটলাইন ও ওয়েবসাইট সেবা কার্যকর থাকলে সহজেই অভিযোগ দায়ের সম্ভব হতো। ফলে অভিযোগের সংখ্যা অনেক বেশি হতো। এতে অভিযোগকারীরা প্রতিকার পাওয়ার পাশাপাশি অভিযুক্তরা শাস্তি পেত। এটি প্রতারক বা অসৎ বিক্রেতাদের জন্য একধরনের সতর্কবার্তা হিসাবে কাজ করত। তাছাড়া এই ডিজিটাল যুগে ভোক্তাদের শুধু অ্যানালগ পদ্ধতির ওপর নির্ভর করিয়ে রাখা সমীচীনও নয়। তাই জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ডিজিটাল সেবা অবিলম্বে কার্যকর করা উচিত বলে মনে করি আমরা।