তামাবিল বন্দরে দুদকের হানা
লেবার হ্যান্ডলিংয়ে বছরে ১১ কোটি টাকার অনিয়ম
যুগান্তরে সংবাদ প্রকাশের পর
সিলেট ব্যুরো
প্রকাশ: ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দরের নানা অনিয়ম নিয়ে যুগান্তরে সংবাদ প্রকাশের পর বন্দরে হানা দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার সকালে দুদক সিলেটের সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জুয়েল মজুমদারের নেতৃত্বে একটি দল বন্দরে অভিযানে যান। এ সময় তারা লেবার হ্যান্ডলিং বিষয়ে নানা নথিপত্র ও সরেজমিন তদন্ত করেন। তদন্তকালীন তারা লেবার হ্যান্ডলিংয়ে অনিয়মসহ আমদানিকৃত পণ্যে শুল্ক ফাঁকি দেওয়ার তথ্য পান।
মঙ্গলবার যুগান্তরে ‘সেবা না দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে বছরে ২২ কোটি টাকা’ শিরোনামে তামাবিল স্থলবন্দরের অনিয়ম নিয়ে প্রতিবেদন ছাপা হয়। এর দুদিন পরই বন্দরে অভিযান চালানো হলো। অভিযান শেষে দুদক সিলেট জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জুয়েল মজুমদার বলেন, যুগান্তরে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি প্রধান কার্যালয়ের দৃষ্টিগোচর হয়। এরপর বন্দরে অভিযানে আসি। নথিপত্র ঘেঁটে যা পাওয়া গেছে তা হলো, গত অর্থবছরে ঠিকাদার কোনো কাজ না করেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স হোসনেআরা এন্টারপ্রাইজ লেবার হ্যান্ডলিং বিল বাবদ ১০ কোটি ৮৭ লাখ ৬ হাজার ৪৬৯ টাকা নিয়েছেন। এছাড়া আরও একটি বিষয় ধরা পড়েছে। তা হলো আমদানির ঘোষণা দেওয়া পণ্য যে পরিমাণ উল্লেখ আছে তার চেয়ে প্রায় দিগুণ পণ্য আনা হচ্ছে। তিনি বলেন, তারা দেখতে পেয়েছেন ৫ টন পণ্যের শুল্ক দিয়েছেন কিন্তু ট্রাকে এনেছেন ১১ থেকে ১২ টন। প্রতিটি ট্রাকে ৫ থেকে ৬ টন পণ্য বেশি আনা হচ্ছে। এখন দেখা যাচ্ছে, ৫ টন এলসির জন্য শুল্ক দিয়েছেন ২৮শ টাকা। সেই ২৮শ টাকা শুল্ক দিয়ে তারা অতিরিক্ত পণ্য আনছেন ৬ টন। সেখানে শুল্ক ফাঁকি হচ্ছে ৩ হাজার ৩৬০ টাকা। বন্দরের তথ্যমতে, প্রতিদিন গড়ে ট্রাক আসে ৪শ থেকে সাড়ে ৪শ। সেই হিসাবে প্রতিদিন শুল্ক ফাঁকি হয় ১৫ লাখ ১২ হাজার টাকা। তাহলে প্রতি মাসে ৩ কোটি ৩২ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। সবশেষ এসব বিষয় পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান দুদক কর্মকর্তা।