Logo
Logo
×

নগর-মহানগর

ভুয়া জামিননামায় কারামুক্ত মাদক মামলার ৪ আসামি

Icon

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

হবিগঞ্জে ভুয়া জামিননামা দিয়ে বুধবার কারাগার থেকে বের হয়ে পালিয়ে গেছেন মাদক মামলার চার আসামি। তারা হলেন- সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার সিমছাপৈর এলাকার আব্দুল কদ্দুছের ছেলে রুয়েল আহমেদ, একই উপজেলার কিরদা কাপন গ্রামের কিরন মিয়ার ছেলে আলী হোসেন ওরফে আফজাল হোসেন, শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাগলা গ্রামের শাজলু মিয়ার ছেলে আজাদ মিয়া ও বীরগাঁওয়ের লেবু মিয়ার ছেলে সোয়েব মিয়া।

জেলা কারাগারের জেলার মো. মনির হোসেন চৌধুরী বলেন, আদালত থেকে পিয়নের মাধ্যমে ছাড়পত্র এসেছে। যখন আদালতের লোকের মাধ্যমে কোনো অর্ডারের কপি আসে তখন আর কোনো আসামিকে আটকে রাখার আমার কোনো সুযোগ নেই। বুধবার বিকালে এ অর্ডার আসে। বিকালেই তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ভুয়া জামিননামার বিষয়টি আজ (বৃহস্পতিবার) বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি। তবে এ বিষয়ে আমি এখনও নিশ্চিত নই। আসামিপক্ষের আইনজীবী ফয়সল আহমেদ বলেন, বুধবার নিু আদালতে ওই মামলার ধার্য তারিখ ছিল। এর আগে ২৬ জানুয়ারি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে তাদের জামিন শুনানী করলে বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করেন। মামলাটি হাইকোর্টে পাঠানোর জন্য আমি প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। আজ (বৃহস্পতিবার) আসামির স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা জানায় বুধবারই আসামিরা জামিন নিয়ে বাড়ি চলে গেছেন। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি নিু আদালতে মামলার মূল নথিই ছিল না। ডেসপাস শাখায় গিয়ে জানতে পারি বুধবার তাদের জামিননামা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সেটি কিভাবে সম্ভব হলো তা আমি বলতে পারছি না। যেখানে আদালতে মামলার নথিই নেই সেখানে জামিন হয় কিভাবে। আর আমি মামলার আইনজীবী আমিই জানি না।

আদালত পরিদর্শক শেখ নাজমুল হোসেনের সঙ্গে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নাজির শাকিল আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। কিভাবে এ জামিননামা গেছে তা তিনি বলতে পারেননি।

৬ জানুয়ারি সকালে মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়া লেভেলক্রসিং মসজিদের সামনে একটি প্রাইভেট কার তল্লাশি করে র‌্যাব-৯ সিপিসি শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্প সদস্যরা। এ সময় ওই গাড়িতে দুটি বস্তায় ৩৫ কেজি গাঁজা পাওয়া যায়। যার বাজারমূল্য প্রায় ৭ লাখ টাকা। র‌্যাব গাঁজাসহ উল্লিখিত চারজনকে আটক করে মাধবপুর থানায় সোপর্দ করে। পরে তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়। ৮ জানুয়ারি আইনজীবী ফয়সল আহমেদ আসামিদের জামিনের জন্য আবেদন করলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফখরুল ইসলাম জামিন নামঞ্জুর করেন। ওই আদেশের বিরুদ্ধে ১৬ জানুয়ারি দায়রা জজ আদালতে মিস মামলা করেন ওই আইনজীবী। ২৬ জানুয়ারি মামলাটি শুনানি শেষে দায়রা জজ জেসমিন আরা বেগম আসামিদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন। মামলার সার্টিফাইট কপি সংগ্রহ করে হাইকোর্টে জামিন আবেদনের প্রস্তুতি নেন আইনজীবী ফয়সল। আসামিদের ওকালতনামায় স্বাক্ষর নেওয়ার জন্য আইনজীবীর সহকারী আসামিদের স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা জানান আসামিরা জামিন পেয়ে বাড়ি চলে গেছেন। বিষয়টি সন্দেহ হলে আইনজীবী ফয়সল আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় মূলনথি পর্যালোচনা করে দেখেন সেখানে কোনো জামিন নামার কপি সংরক্ষিত নেই। পরে তিনি আদালত পুলিশ অফিসে ডেসপাস রেজিস্ট্রার পরীক্ষা করে দেখতে পান উল্লিখিত আসামিদের জামিননামা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম