উত্তেজনার মধ্যে বাঞ্ছারামপুর বিএনপির সম্মেলন
সভাপতি পলাশ সাধারণ সম্পাদক মুসা
যুগান্তর প্রতিবেদন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
প্রকাশ: ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
উত্তেজনা, নেতাকর্মীদের একাংশের বিরোধিতা ও প্রশাসনের ১৪৪ ধারা জারির মধ্যে দিয়েই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির সম্মেলন বুধবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের রাধানগর মাদ্রাসা মাঠে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন দলটির কুমিল্লা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম ভূঁইয়া। সম্মেলন শেষে কেন্দ্রীয় কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান পলাশকে সভাপতি ও বর্তমান কমিটির সদস্য সচিব একেএম মুসাকে সাধারণ সম্পাদক করে আগামী দুই বছরের জন্য নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।
এদিকে সম্মেলনের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ করেছে দলটির একাংশের নেতাকর্মীরা। উজানচর ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর এলাকায় সড়ক অবরোধ করে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। এতে সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিক্ষুব্ধরা একটি মাইক্রোবাসও ভাঙচুর করে। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করায় সম্মেলনস্থল ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করে ১৪৪ ধারা জারি করে উপজেলা প্রশাসন। যা আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত বহাল থাকবে।
জানা গেছে, সকালে বাঞ্ছারামপুর সদরের এসএম মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সম্মেলনের আয়োজন করে উপজেলা বিএনপির একাংশ। তবে সম্মেলনে আওয়ামী লীগের লোকজনকে ভোটার করা হয়েছে-এমন অভিযোগ তোলে বিরোধিতা করে বিএনপির অপর একটি অংশ। এ নিয়ে দলটির নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুল খালেক ও কেন্দ্রীয় কৃষক দলের নেতা পলাশের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। বেলা পৌনে ১১টার দিকে সম্মেলনের বিরোধিতা করে কৃষ্ণনগর এলাকার বাঞ্ছারামপুর-হোমনা সড়কে বিক্ষোভ করেন খালেকের সমর্থকরা। তারা সড়কে গাছ ফেলে অবরোধ ও আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। এতে ওই সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এসএম মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে তাদের সম্মেলন উজানচর ইউনিয়নের রাধানগর মাদ্রাসা মাঠে স্থানান্তর করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসেন জানান, বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, কাউকে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা করতে দেওয়া হবে না। সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য মোতায়েন রয়েছে।