Logo
Logo
×

নগর-মহানগর

পল্লী বিদ্যুতের রিমাল বাণিজ্যে জিম্মি গ্রাহক

বরিশালে দ্বিগুণ-তিনগুণ বিল

Icon

এসএন পলাশ, বরিশাল

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

পল্লী বিদ্যুতের রিমাল বাণিজ্যে জিম্মি গ্রাহক

বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার দাঁড়িয়াল ইউনিয়নের বালিয়ার বাজারের চায়ের দোকানদার সবুজ মোল্লা। বিগত এক বছর ধরে বিদ্যুৎ বিল ১৬০ টাকা থেকে ২০০ টাকার মধ্যে পরিশোধ করে আসছেন। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় রিমালের পরই মে মাসের বিদ্যুৎ বিল এসেছে ৯৮০ টাকা-তা দেখে হতবাক সবুজ। একই এলাকার মোকলেছুর রহমান পালোয়ান বলেন, বিগত দুই বছর ধরে বিদ্যুৎ বিল এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ টাকার মধ্যে এসেছে। এবার ঘূর্ণিঝড়ের পরেই বিদ্যুৎ বিল এসেছে দুই হাজার ৮০০ টাকা। এমন একই অবস্থা বরিশাল জেলার ১০টি উপজেলার সব বাড়িতেই। ওই ভূতুড়ে বিল পরিশোধ না করলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কায় তা পরিশোধ করছেন গ্রাহকরা।

ঘূর্ণিঝড় রিমালের এক সপ্তাহ পার হলেও এখন পর্যন্ত বিদ্যুৎ পায়নি কয়েকশ গ্রামের বাসিন্দা। আর যারা উৎকোচ বাবদ ৫০০ করে টাকা দিচ্ছেন কেবল তাদের লাইনে কাজ করে বিদ্যুৎ সংযোগ সচল করে দেওয়া হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে পল্লী বিদ্যুতের মাঠপর্যায়ে কর্মরতদের টাকা দিলেই চালু হচ্ছে সংযোগ। ঘূর্ণিঝড় রিমালের সপ্তাহ পার হলেও বিদ্যুৎ সংযোগ সচল হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন না গ্রাহকরা। একদিকে তীব্র গরম অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা করতে নানান সমস্যা হচ্ছে বলে জানান একাধিক শিক্ষার্থী।

গৌরনদী উপজেলার আশোকাঠি গ্রামের বাসিন্দা বাবুল মুন্সি বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালের সপ্তাহের বেশি পার হলেও বিদ্যুৎ সংযোগ আসেনি। অথচ এ মাসেই বিল এসেছে অতীতের চেয়ে তিনগুণ। আর এই বিল না দিলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে। এ তো আমাদের মতো গরিবের সঙ্গে মশকরা করা।

আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা গ্রামের রহিম খান বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে বিদ্যুতের কারণে ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। তাছাড়া গরমে বাসাবাড়িতে থাকার কোনো উপায় নেই। এমনকি মোবাইলে চার্জ দিতে যেতে হয় বাজারে। এ মাসে বিদ্যুৎ বিল এসেছে অতীতের চেয়ে দ্বিগুণ। তাছাড়া যাদের বিদ্যুৎ সংযোগ সচল হয়েছে তাদের ঘরপ্রতি ৫০০ টাকা করে গুনতে হয়েছে বলে জানান তিনি।

মুলাদি উপজেলার গাছুয়া, চরকালেখা ও ছবিপুর ইউনিয়নের বেশির ভাগ গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ আসেনি সাত দিনেও। অথচ বাড়তি বিল আসার কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না তারা।

এসব বিষয়ে জানতে বরিশাল রূপাতলী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (১) জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মো. হুমায়ুন কবীরের মোবাইলে ফোনে কল ও এসএমএস দিয়ে পাওয়া যায়নি। তার কার্যালয়ে গিয়ে অবস্থান নিশ্চিত হয়ে প্রতিবেদক দেখা করতে চাইলেও তিনি সাক্ষাৎ দেননি।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম