Logo
Logo
×

নগর-মহানগর

খলিলের গরুর মাংসে স্বস্তি ক্রেতাদের

৫৯৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি

Icon

আনোয়ার হোসেন নবীন, মতিঝিল (ঢাকা)

প্রকাশ: ১৭ মার্চ ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

খলিলের গরুর মাংসে স্বস্তি ক্রেতাদের

রাজধানীর শাহজাহানপুরে মাংস বিক্রেতা খলিল ইতোমধ্যে সবার কাছে কম দামে গরুর মাংস বিক্রির কারণে পরিচিত হয়ে উঠেছেন। কুড়িয়েছেন গ্রাহকের আস্থা। তার দোকান থেকে কম দামে মাংস কিনতে পেরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ছাড়ছেন ক্রেতারা। তবে মাংসে অতিরিক্ত হাড় ও চর্বি দেওয়ার অভিযোগ করেছেন অনেক ক্রেতা। খলিলের দোকানের পাশেই বিক্রি হচ্ছে খাসির মাংস তবে সেখানে ভিড় কম। শনিবার ৩০টি গরু জবাই করে ৬১ লাখ টাকার মাংস বিক্রি করেছে খলিল গোস্ত বিতান। খলিল গোস্ত বিতানে শনিবার দুপুরে সরেজমিন দেখা গেছে-দোকানে ব্যানার টানিয়ে ৫৯৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। এ মাংস কিনতে দীর্ঘ লাইন ধরেছেন ক্রেতারা। দোকানের দুপাশে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে মাংস কিনছেন তারা। দোকানের কর্মচারীরা একটার পর একটা গরু এনে জবাই করে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করছেন।

খলিলের ভাতিজা মনজু যুগান্তরকে জানান, ৩ মাস আগে এই খলিলের মাংসের দোকানে ৭০০ টাকার উপরে কেজি দরে মাংস বিক্রি হতো। তবে ২ মাস ধরে ডিসকাউন্টে ৫৯৫ টাকা কেজি দরে মাংস বিক্রি হচ্ছে।

দোকানের কর্মচারীরা বলেন-এখানে দিনে ৩০-৩৫টি গরু বিক্রি হচ্ছে। কেউ ২ কেজি, ৫ কেজি, ১০ কেজি মাংস চাইলেও নিতে পারেন। আবার কেউ ১ কেজি মাংসও নিতে পারেন। মূলত এ অফারটি দেওয়া হয়েছে সাধারণ মানুষের জন্য। তারা যেন তাদের সাধ্যের মধ্যে মাংস কিনে খেতে পারেন। অন্য সময় ভিড় থাকলেও বর্তমানে রমজান মাস উপলক্ষ্যে অনেক বেশি ভিড় হচ্ছে। অনেকেই দূর-দূরান্ত থেকে মাংস কিনতে আসছেন।

বনশ্রী থেকে মাংস কিনতে এসেছেন মাসুম। তিনি বলেন, মাংস তো ৭৮০ টাকা কেজি কিনতে হয়। এখানে দাম কম তাই কিনতে এসেছি। তবে লাইনে থাকতে হয়েছে ১ ঘণ্টারও বেশি। মাংস ফ্রেশ। সরাসরি জবাই করেই মাংস বিক্রি হচ্ছে। আমি ৫ কেজি মাংস কিনেছি। এর মধ্যে দেড় কেজির উপরে হাড় আর চর্বি মেশানো মাংস পেয়েছি।

খিলগাঁওয়ের বাসিন্দা নাজমা যুগান্তরকে বলেন, এখানে মাংস কম দামে বিক্রি হচ্ছে তাই এলাম। লাইনে দাঁড়িয়েছি দেখি এখন কতক্ষণ লাগে। মাংসও ভালো দেখা যাচ্ছে। তুলনামূলক কম দামের কারণে মানুষ কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছে বলে জানান তিনি।

আগে তো ৭৫০ টাকা বিক্রি করতেন এখন কম দামে বিক্রি করায় লস হচ্ছে না জানতে চাইলে খলিলের ভাতিজা মনজু যুগান্তরকে বলেন-লস হবে কেন! লস হলে বিক্রি করব না। রমজান মাস উপলক্ষ্যে সাধারণ মানুষের জন্য কম দামে মাংস বিক্রি করা হচ্ছে। রহমতের মাসে মানুষ যেন কম দামে মাংস খেতে পারে সেই চেষ্টা।

বাসাবো সবুজবাগ থেকে আসা সুমন যুগান্তরকে বলেন-গণমাধ্যমে সংবাদ শুনেছি কম দামে মাংস বিক্রি হচ্ছে তাই মাংস নিতে এসেছি। লাইনে দাঁড়িয়ে আছি দেড় ঘণ্টা হয়েছে। খলিল যুগান্তরকে বলেন, শনিবার ৩০টি গরু জবাই করে ৬১ লাখ টাকার মাংস বিক্রি করেছি। শুক্রবার কোটি টাকার উপরে মাংস বিক্রি হয়েছে। এতে আমার ১৭ লাখ টাকা লস হয়েছে।

আগে ৭৫০ টাকা দরে বিক্রি করতেন এখন কম দামে বিক্রি করায় লস হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে যুগান্তরকে খলিল আরও জানান, রমজান মাস উপলক্ষ্যে সাধারণ মানুষের জন্য কম দামে মাংস বিক্রি করা হচ্ছে। আমি ২০-২৫ রোজা পর্যন্ত এভাবে মাংস বিক্রি করব লস হলেও। রহমতের মাসে সাধারণ মানুষ যেন কম দামে মাংস কিনে খেতে পারেন এটা আমার ইচ্ছা।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম