কুসিক উপনির্বাচন
বিএনপি নেতাকর্মীরা মাঠে, আগ্রহ বেড়েছে ভোটারদের
আবুল খায়ের, কুমিল্লা
প্রকাশ: ০৫ মার্চ ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) মেয়র পদে উপনির্বাচনে বিএনপি নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত হয়ে উঠেছেন। নিজাম উদ্দিন কায়সারকে নিয়ে তারা নির্বাচনি মাঠে নেমে পড়েছেন। এ নির্বাচনে ইসির নিরপেক্ষতা যাচাই করতে চান তারা। বিএনপি নেতাকর্মীরা নির্বাচনি মাঠে নামায় ভোটারদের আগ্রহও বেড়েছে।
বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর কুমিল্লা মহানগর এবং দক্ষিণ জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা প্রাণ খুলে ভোট উৎসবে অংশ নিতে পারেননি। ২০১৭ সালের কুসিক ভোটে মনিরুল হক সাক্কু দলীয় মনোনয়ন লাভ করলেও নেতাকর্মীদের তিনি মূল্যায়ন করেননি বলে অভিযোগ অনেকের। ওই নির্বাচনে তারা সাক্কুর বিজয়ে সহায়ক ভূমিকা পালন করলেও বঞ্চিত ও নিগৃহীত হন। সাক্কুর দাম্ভিকতার কাছে মূল্যহীন ছিল তৃণমূল নেতাকর্মীরা। এতে তাদের মাঝে ক্ষোভের অন্ত ছিল না।
এদিকে ২০২২ সালের কুসিক নির্বাচনে দলের নেতাকর্মীরা সাক্কুর পক্ষে কাজ করে আবারও বঞ্চনার শিকার হন। এবারের উপনির্বাচনে বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা কর্মীবান্ধব নেতা কায়সারের পক্ষে নেমেছেন। এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুলিশি হয়রানি না থাকায় নেতাকর্মীদের প্রাণবন্ত দেখা গেছে। মুক্ত আবহে ভোট উৎসবে যোগ দিতে না পারায় নেতাকর্মীরা নিষ্ক্রিয় ছিলেন। দীর্ঘদিন পর বাধাহীন ভোটের মাঠে তারা অনেকটা উজ্জীবিত।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বিএনপি নেতা জানান, এ নির্বাচনে বিএনপি দলীয়ভাবে অংশ না নিলেও স্থানীয় বিএনপি নেতারা নিজেরাই দায়িত্ব নিয়ে কায়সারের পক্ষে মাঠে নেমেছেন। তাকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে তারা কাজ করছেন। তিনি আরও বলেন, এ নির্বাচনে ইসি কতটুকু নিরপেক্ষ থাকতে পারে-সেটাও দেখা হবে। ভোটনিরপেক্ষ না হলে সেটাও একটা ইস্যু হয়ে দাঁড়াতে পারে।
এ বিষয়ে মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক বিল্লাল হোসেন বলেন, কায়সার একজন কর্মীবান্ধব নেতা। তাকে বিজয়ী করতে মহানগর এবং দক্ষিণ জেলা বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা মাঠে নেমেছেন। তারা নিজ উদ্যোগে কায়সারের জন্য কাজ করছেন। এ নির্বাচন ঘিরে বিএনপি নেতাকর্মীরা চাঙা হয়ে উঠেছেন। তিনি আরও বলেন, আমরা শেষ পর্যন্ত দেখব নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ থাকে কি না?
মেয়রপ্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার বলেন, আমি এক নতুন কুমিল্লার স্বপ্নে বিভোর। নগরবাসীর প্রত্যাশা পূরণে ভোটে নেমেছি। এটাও আন্দোলনের একটা অংশ। নেতাকর্মীরা আমার পক্ষে কাজ করছেন। তবে তিনি বলেন, এখনো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হয়নি।
টেবিল ঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু বলেন, আমি একজন কর্মীবান্ধব বিএনপি নেতা। তৃণমূল নেতাকর্মীদের আমি যথার্থ মূল্যায়ন করি।