বিবিএস’র জরিপ
প্রতি পাঁচজনে একজন খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায়
বেশি ভুগছেন রংপুর বিভাগের মানুষ
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০১ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
দেশের প্রায় প্রতি পাঁচজন মানুষের মধ্যে একজন খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। মোট জনসংখ্যার ২১ দশমিক ৯১ শতাংশ মানুষ মাঝারি ধরনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এর মধ্যে শহরে ২০ দশমিক ৭৭ শতাংশ, গ্রামে ২৪ দশমিক ১২ শতাংশ এবং সিটি করপোরেশন এলাকায় ১১ দশমিক ৪৫ শতাংশ। আর অতি নিরাপত্তাহীনতায় আছেন শূন্য দশমিক ৮৩ শতাংশ মানুষ। এর মধ্যে শহরে শূন্য দশমিক ৬৭ শতাংশ, গ্রামে শূন্য দশমিক ৯৫ শতাংশ এবং সিটি করপোরেশন এলাকায় শূন্য দশমিক ৪১ শতাংশ। রোববার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ‘ফুড সিকিউরিটি স্টাটিসটিকস প্রজেক্ট-২০২২’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়। এ উপলক্ষ্যে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সংস্থাটির সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রংপুর বিভাগের মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় বেশি ভুগছেন। এই বিভাগে প্রতি ১০০ জনে ২৯ দশমিক ৯৮ জন খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। আর সিলেটে ১০০ জনে ১ দশমিক ৪২ জন তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। বরিশালে ২২ দশমিক ৮৩ শতাংশ পরিবার খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় আছেন। এছাড়া চট্টগ্রামে ১৯ দশমিক ৬৬, ঢাকায় ১৬ দশমিক ৪০, ময়মনসিংহে ২৬, রাজশাহীতে ২৫ দশমিক ০১ ও সিলেটে ২৬ দশমিক ৪৮ শতাংশ পরিবার খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে। দেশে গড় অতি খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার হার শূন্য দশমিক ৮৩ শতাংশ। এর মধ্যে বরিশালে ০ দশমিক ৬৭ পরিবার, চট্টগ্রামে ১ দশমিক ১৬, ঢাকায় ০ দশমিক ৬৪, খুলনায় ১ দশমিক ০৯, ময়মনসিংহে ০ দশমিক ৫৩, রাজশাহীতে ০ দশমিক ৫১ ও সিলেটে ১ দশমিক ৪২ শতাংশ মানুষ তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে।
বিবিএসের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ফুড প্ল্যানিং অ্যান্ড মনিটরিং ইউনিট) শাহিদুল আলম এবং সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) প্রধান খান মো. নুরুল আলম।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা বাড়লেও দেশের মানুষের ক্যালোরি গ্রহণের হার বেড়েছে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অপুষ্টিতে থাকা ১০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ একটি। এই দেশের ৭৮ দশমিক ৮৯ শতাংশ মানুষের খাদ্য নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা নেই। অর্থাৎ ১০০ জনের মধ্যে প্রায় ৭৯ জনেরই খাদ্য গ্রহণ নিয়ে কোনো শঙ্কায় নেই। দেশের অধিকাংশ খাবার উৎপাদন হয় গ্রামে। অথচ গ্রামের মানুষের মধ্যেই খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা সবচেয়ে বেশি।