
প্রিন্ট: ০২ মার্চ ২০২৫, ০৬:০৫ এএম

বিলাস দাস, পটুয়াখালী
প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

আরও পড়ুন
‘পটুয়াখালী-১ (সদর, মির্জাগঞ্জ, দুমকি) আসনের প্রবীণ সংসদ-সদস্য অ্যাডভোকেট শাহজাহান মিয়ার প্রয়াণে উপনির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে দলীয় মনোনয়ন দেন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি হই। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ আমাকে পুনরায় মনোনয়ন দিয়েছে’, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেনের এমন বক্তব্যে আবেগাপ্লুুত দলের নেতাকর্মীরা। আফজালের বিপরীতে মাঠে বিএনপিসহ শক্তিশালী প্রার্থী না থাকায় তার বিজয় ছিল দ্বারপ্রান্তে। কিন্তু মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির প্রভাবশালী নেতা এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারের আবির্ভাব আফজালের স্বপ্নে হানা দিয়েছে। যাচাই-বাছাইয়ের ঝঞ্ঝাট পেরিয়ে রুহুল আমিনের মনোনয়নটি বৈধ হয়েছে। মহাজোটের গ্রিন সিগন্যাল রুহুল আমিনের পক্ষে হলে আফজাল হোসেনের নিজেকে গুটিয়ে নেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তৎকালীন নৌকার প্রার্থী অ্যাডভোকেট শাহজাহান মিয়াকে নির্বাচনি মাঠ থেকে সরে যেতে হয়েছিল জাতীয় পার্টির রুহুল আমিন হাওলাদারের কারণেই। নির্বাচনে বিজয় নিশ্চিত করতে জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে রুহুল আমিনের নিয়মিতই চলছে আলোচনা-বৈঠক।
আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের জেরে রুহুল আমিন হাওলাদারের সঙ্গে অনেকেই সমঝোতার বৈঠক করছেন বলে শোনা যাচ্ছে।
আওয়ামী লীগের গ্রিন সিগন্যালে পটুয়াখালী-১ আসনে রুহুল আমিনের আর্বিভাব ঘটেছে-এমন আলোচনা সর্বস্তরে। সেক্ষেত্রে মহাজোটের সিদ্ধান্তে নৌকার প্রার্থী আফজাল নিজেকে গুটিয়ে নেবেন-এমনটাই স্বাভাবিক বলে মনে করছে স্থানীয় রাজনৈতিক মহল। রোববার রাতে পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট সুলতান আহম্মেদ মৃধার সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন রুহুল আমিনসহ জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা। এমন তথ্য নিশ্চিত করে জাতীয় পার্টির পটুয়াখালী জেলার যুগ্মসম্পাদক জাকির মাহমুদ বলেন, জোট হলে জোটের সিদ্ধান্তে আমরা নির্বাচন করব। জোট না হলে লাঙ্গল প্রতীকে নির্বাচন করব। হাইকমান্ড থেকে গ্রিন সিগন্যাল এসেছে কি না-এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত সমানে-সমান। তবে আমরা নির্বাচনমুখী কাজ করছি।
এ প্রসঙ্গে সুলতান আহম্মেদ মৃধা বলেন, রুহুল আমিন এর আগেও এমপি ছিলেন। নির্বাচন নিয়ে তিনি সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। প্রার্থী হিসাবে তিনি সহযোগিতা চাইতে পারেন। আমি ছাড়াও তিনি অনেকের সঙ্গেই সাক্ষাৎ করেছেন। যাই হোক, দলের বাইরে আমার যাওয়ার সুযোগ নেই।
এসব প্রসঙ্গে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন।
তবে এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, জোটের সিদ্ধান্ত না এলে আমি জনগণের কাছে গিয়ে তাদের ভালোবাসা অর্জন করব এবং নির্বাচনি মাঠে থাকব। মহাজোট থেকে গ্রিন সিগন্যাল পেয়েছেন কি না-এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আগাম কিছু না বলাই ভালো। কাজের মাধ্যমে সব পরিষ্কার হবে। আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলোচনা-বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যেহেতু নির্বাচন করছি, সবার সঙ্গেই সখ্য রেখে কাজ করতে হবে।