Logo
Logo
×

নগর-মহানগর

ঘোড়াশাল-পলাশ সার কারখানা রোববার উদ্বোধন

উৎপাদন হবে দেশের চাহিদার ৩৫ শতাংশ ইউরিয়া

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন ও নরসিংদী প্রতিনিধি 

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

উৎপাদন হবে দেশের চাহিদার ৩৫ শতাংশ ইউরিয়া

আগামী রোববার নরসিংদীতে ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা উদ্বোধন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর উদ্বোধন করবেন। বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) আওতাধীন নবনির্মিত এ প্রতিষ্ঠানটির মাধ্যমে প্রতিবছর প্রায় ৯ লাখ ২৪ হাজার টন ইউরিয়া সার উৎপাদন হবে। যা দেশের মোট ইউরিয়া চাহিদার ৩৫ শতাংশ। শিল্প মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বৃহস্পতিবার এসব কথা বলা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা, বিসিআইসির চেয়ারম্যান মো. সাইদুর রহমান প্রমুখ।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের দাবি, দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় ইউরিয়া সার কারখানা এটি। এর নির্মাণ ব্যয় ১৫ হাজার ৫শ কোটি টাকা। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, কয়েকটি উদ্দেশ্যে এই প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে-দেশের খাদ্য নিরাপত্তায় সারের চাহিদা মেটানো, সুলভ মূল্যে কৃষকদের কাছে সার সরবরাহ, আমদানি কমিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি। জ্বালানি সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব এ কারখানা। 

সংবাদ সম্মেলনে শিল্প সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত মেগা প্রকল্পের মধ্যে অন্যতম ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা। এর বাস্তবায়নে ব্যয় হয়েছে ১৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৪ হাজার ৫৮০ কোটি ও বাণিজ্যিক ঋণ ১০ হাজার ৯২০ কোটি টাকা। 

বর্তমানে দেশে সারের চাহিদা ২৬ লাখ মেট্রিক টন। মোট চাহিদার ৩৫ শতাংশ এখানে উৎপাদিত হবে। এর আগে ২০১৬ সালে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে শক্তিসাশ্রয়ী, পরিবেশবান্ধব ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির শাহজালাল সার কারখানা উদ্বোধন করা হয়। 

এটির উৎপাদন ক্ষমতা ৫ লাখ ৮০ হাজার ৮শ মেট্রিক টন। তিনি বলেন, ২০১৮ সালের অক্টোবরে নরসিংদী জেলায় ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানার কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু করোনার কারণে ২০২০ সালে এই কাজ সাময়িকভাবে বাধাপ্রাপ্ত হয়। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে বিসিআইসির আওতায় ৪টি ইউরিয়া কারখানা, ১টি টিএসপি এবং ১টি ডিএপি সার কারখানা রয়েছে। 

বিসিআইসি’র নিয়ন্ত্রণাধীন ৪টি ইউরিয়া সার কারখানায় প্রতিবছর প্রায় ১০ লাখ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার উৎপাদন করা যায়। চাহিদার অবশিষ্ট ইউরিয়া সার বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। এ কারণে নতুন এই উদ্যোগ। জাকিয়া সুলতানা বলেন, পুরাতন দুটি কারখানায় যে গ্যাস ব্যবহার হতো, সেই একই পরিমাণ গ্যাস দিয়েই তিনগুণ উৎপাদন সম্ভব। 

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, নতুন কারখানায় বিদ্যুৎ প্রয়োজন হবে দৈনিক ২৮ মেগাওয়াট। আর ৩২ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ২টি অত্যাধুনিক স্টিম গ্যাস জেনারেটর রয়েছে। সব সময় কারখানার জন্য দুটি জেনারেটর ৫০ শতাংশ লোডে চলবে। তাই এই কারখানাটির ২টি স্টিম গ্যাস জেনারেটর ১০০ শতাংশ লোডে চালিয়ে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা সম্ভব হবে।

এদিকে ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার প্রকল্প পরিচালক মো. রাজিউর রহমান মল্লিক বলেন, আমরা সার উৎপাদনে চলে গেছি। আমরা এখন ট্রায়াল রানে আছি, কোনোরকম সমস্যা হচ্ছে কি না সবকিছুই নজরদারিতে রাখা হচ্ছে।

বিসিআইসির চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান বলেন, এ কারখানা চালু হলে দেশের অন্য কারখানায় চাপ কমার পাশাপাশি বিদেশ থেকে আমদানিনির্ভরতা কমবে। 

শিল্পমন্ত্রী মো. নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বলেন, কৃষককে আর সারের পেছনে পেছনে দৌড়াতে হবে না। সার কৃষকের পেছনে দৌড়াবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষকদের কথা ভেবেই এই কারখানা স্থাপন করেছে।
 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম