Logo
Logo
×

নগর-মহানগর

দাউদকান্দিতে নির্মিত মৎস্য কেন্দ্রটি কাজে আসছে না

Icon

আবুল খায়ের, কুমিল্লা

প্রকাশ: ১০ জুন ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

দাউদকান্দিতে নির্মিত মৎস্য কেন্দ্রটি কাজে আসছে না

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে নির্মাণের তিন বছরেও চালু হয়নি মৎস্য পরিচর্যা ও আহরণ কেন্দ্র। মৎস্যজীবী ও মৎস্য ব্যবসায়ীদের আধুনিক সুবিধা নিশ্চিত করতে ৬৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ভবনটি নির্মাণ করা হলেও কেন্দ্রটি কোনো কাজে আসছে না। স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, মৎস্য পরিচর্যা কেন্দ্রটি সঠিক ও সুবিধাজনক স্থানে নির্মাণ করা হয়নি। তাছাড়া ছোট আকারের এ ভবনে সব ব্যবসায়ীর জায়গা হবে না। তাই মৎস্যজীবী এবং সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা ভবনটি নিয়ে কোনো আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। ফলে নির্মাণের তিন বছর পেরিয়ে গেলেও ভবনটি কোনোভাবেই চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। এদিকে ভবনটি নির্মাণের সময় স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী আড়তদার এবং জেলেদের কোনো পরামর্শ না নেওয়ায় স্থান নির্বাচনে ত্রুটি হয়েছে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।

দাউদকান্দি উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, উপজেলাটি একটি নদীবেষ্টিত এলাকা। এখানে হাজার হাজার জেলে মাছ আহরণের মাধ্যমে তাদের জীবিকা নির্বাহ করেন। ২০১৯ সালে উপজেলার দোনারচর এলাকায় ৬৪ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি মৎস্য পরিচর্যা কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়। আট শতাংশ ভূমির ওপর নির্মিত ভবনটি ২০২০ সালের শুরুতে উদ্বোধন করা হয়।

ভবনের চারদিকে সীমানা প্রাচীর, অকশন শেড, প্যাকিং শেড, আটটি আড়ত ঘর, কোয়ালিটি কন্ট্রোলার, গভীর নলকূপ, আইস ক্রাশারসহ আধুনিক সুযোগ-সুবিধায় নির্মিত হয় মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র। কিন্তু তিন বছর অতিবাহিত হলেও এখনো কোনো ব্যবসায়ী অবতরণ কেন্দ্রে ব্যবসা করতে আসছেন না। নিরাপত্তার অভাব এবং স্থান সঙ্কুলান না হওয়ার অভিযোগ এনে ভবনটিতে ব্যবসা করতে নারাজ স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ীরা।

এদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দির মেঘনা-গোমতী সেতুর দক্ষিণ পাশে নতুন ফেরিঘাট নামে পরিচিত পুরোনো নৈশকালীন মৎস্য বাজারে আড়ত রয়েছে প্রায় ৪০টি। প্রতিটি আড়তে মাছ রাখার পর্যাপ্ত জায়গা ও প্রসেসিং করার মতো নানাবিধ সুবিধা রয়েছে।

আলী মৎস্য আড়তের মালিক মো. ওমর আলী বলেন, নবনির্মিত মৎস্য আহরণোত্তর পরিচর্যা কেন্দ্রে মাছ রাখা বা প্রক্রিয়াজাত করার মতো পর্যাপ্ত জায়গা নেই। বর্তমানে আমরা যেখানে আছি সেটি পুরোনো মৎস্য আড়ত। প্রায় ৫০ বছর ধরে আমরা এখানে আড়তদারি ব্যবসা করছি। আমরা সেখানেই ভালো আছি।

দাউদকান্দি উপজেলা মৎস্য আড়ত সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মাসুম মিয়া বলেন, সরকার নির্মিত ভবনে সব ব্যবসায়ীর জায়গা হবে না। তাছাড়া আমাদের আড়তে মাছের ক্রেতা-বিক্রেতা সবাই রাতে আসেন। তাদের সঙ্গে টাকা-পয়সা থাকে বিধায় তারা মহাসড়কের পাশে ছাড়া অন্য কোথাও মাছ কিনতে বা বেচতে যান না। এটি নির্মাণের সময় আমাদের সমিতির নেতারা মহাসড়কের পাশে যে জায়গাটি দেখিয়েছিলেন, সেখানে নির্মাণ করা হলে হয়তো এটি আমরা ব্যবহার করতে পারতাম। মৎস্য অধিদপ্তরের উপবিভাগীয় পরিচালক আব্দুস সাত্তার বলেন, পরিচর্যা কেন্দ্রটি দ্রুত চালু করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং মৎস্য কর্মকর্তাকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোসা. সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, মৎস্য পরিচর্যা কেন্দ্রে ব্যবসায়ীদের নেওয়ার জন্য কয়েক দফা বৈঠক করেছি। যেহেতু কোনো ব্যবসায়ী এখানে আসেননি, তাই তালাবদ্ধ রয়েছে। দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিনুল হাসান বলেন, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে কীভাবে নতুন পরিচর্যা কেন্দ্রে এসে ব্যবসা করবেন সে বিষয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম