পীরগঞ্জ ওসির ঘুস নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল
কাগজ-কলমে ক্লোজড, তবু স্বপদে বহাল
রংপুর ব্যুরো
প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ঘুস নেওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় রংপুরের পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেনকে গত সোমবার ক্লোজড (প্রত্যাহার) করা হয়েছে। তবুও পীরগঞ্জ থানার ওসি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন জাকির হোসেন।
এ ঘটনায় ২৪ এপ্রিল গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান রংপুর পুলিশের ডি-সার্কেল এএসপি কামরুজ্জামান ঘুস দাতাদের লিখিত স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বালু ব্যবসায়ী রাসেল মিয়া, আরিফুল ইসলাম, উজ্জল মিয়া ও রুপম মিয়া।
তবে ওসি জাকির হোসেন তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছেন। রংপুরের পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরী বলেন, পীরগঞ্জ উপজেলার সানেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের একটি ওয়ার্ডে আগামী ১৪ মে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তাই অভিযুক্ত ওসি নির্বাচন কমিশনের অধীনে আছেন। আমরা তার ঘুস গ্রহণের ভিডিও ভাইরালের বিষয়টি প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে জানিয়েছি। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছি। এরপর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঘুস গ্রহণের ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গেছে, রংপুর-ঢাকা মহাসড়ক চার লেনে সম্প্রসারণ কাজে ওই ৪ বালু ব্যবসায়ী পীরগঞ্জের করতোয়া নদীপারের জমি থেকে বালু সরবরাহ করে আসছিলেন। বালু ড্রাম ট্রাকে করে মহাসড়কের পীরগঞ্জ ও মিঠাপুকুর উপজেলা এলাকায় পরিবহণ করছিল। পীরগঞ্জ থানার ওসি জাকির হোসেন ড্রাম ট্রাকগুলো আটক করে বালু ব্যবসায়ীদের কাছে প্রতি সিএফটি’র জন্য ৫০ পয়সা করে ঘুস দাবি করেন। চার ব্যবসায়ী ওসিকে প্রতি সিএফটি বালুর জন্য ২০ পয়সা করে ঘুস দেওয়ার মৌখিক সমঝোতা করেন। পরে তারা চুক্তিমোতাবেক ৬১ হাজার টাকায় দুটি খাট, লেপ, তোশক, বালিশ ও নগদ ১৫ হাজার টাকা ওসিকে দেন। এই ঘুস দেওয়ার ঘটনায় সম্প্রতি রাসেল মিয়া থানায় ঢুকে তার প্যান্টের পকেট থেকে ৬০ হাজার টাকার একটি বান্ডেল ওসিকে দেন। এ সময় ভিডিও চলাকালীন কথোপকথনে ওসিকে টাকার হিসাব দিতে শোনা যায়।
ওসি জাকির হোসেন এখনো পীরগঞ্জ থানার ওসির দায়িত্বে থাকার সুযোগে ঘুস গ্রহণের ভিডিও ধারণকারীদের নানাভাবে হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।