রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
আজ রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী। তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর, রাজনীতিবিদ, ভাষাসৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক। দিনটি উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। দলীয় ও রাষ্ট্রীয়ভাবে আজ বনানী কবরস্থানে তার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা, দেশব্যাপী দোয়া মাহফিল, কুরআনখানি ও আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়েছে।
দলীয় সূত্র জানায়, আজ সকাল ৮টায় আওয়ামী লীগ নেতারা এবং তার পরিবারের সদস্যরা রাজধানীর বনানী কবরস্থানে সাবেক এ রাষ্ট্রপতির কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন। বাদ আসর গুলশানে মরহুমের বাসভবনে দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া তার জন্মস্থান ভৈরব উপজেলা আওয়ামী লীগ এবং তার পৈতৃক বাড়ি ভৈরবে আলোচনাসভা, দোয়া ও কুরআন খতমের আয়োজন করেছে।
১৯২৯ সালের ৯ মার্চ ভৈরব শহরের ভৈরবপুরে জন্মগ্রহণ করেন জিল্লুর রহমান। তার বাবা মেহের আলী মিয়া ছিলেন প্রখ্যাত আইনজীবী ও তৎকালীন ময়মনসিংহ লোকাল বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং জেলা বোর্ডের সদস্য।
জিল্লুর রহমান ১৯৪৫ সালে ভৈরবের কেবি হাইস্কুল থেকে মেট্রিক, ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজ থেকে আইএ এবং ১৯৫৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে অনার্সসহ এমএ ও এলএলবি ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। পরে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পাশে থেকে রাজনীতি শুরু করেন। ১৯৬২, ১৯৬৬, ১৯৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থান, ১৯৬৫তে পাকিস্তানের আইয়ুব খান এবং ১৯৬৮ সালে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আন্দোলন করেন।
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি অংশ নিয়ে স্বাধীনতাকালীন সরকারের সঙ্গে থেকে দেশ স্বাধীনতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। স্বাধীনতার পর তিনি আওয়ামী লীগের তিনবার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে তিনি স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন ৫ বছর। ২০০৭ সালে ওয়ান-ইলিভেনের সরকারের সময় শেখ হাসিনা জেলে থাকাকালীন তিনি দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এ সময় তিনি দলকে ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা করেন।
২০০৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি তিনি দেশের ১৯তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। পরে তিনি অসুস্থ অবস্থায় ২০১৩ সালের ২০ মার্চ সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে মারা যান। তার সহধর্মিণী ছিলেন মহিলা আওয়ামী লীগনেত্রী আইভি রহমান। তিনি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত হন। জিল্লুর রহমানের ছেলে বিসিবি সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ-সদস্য নাজমুল হাসান এবং দুই মেয়ে তানিয়া ও ময়না।