
প্রিন্ট: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১৭ পিএম

ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
আরও পড়ুন
বিধ্বংসী উদ্বোধনী জুটিতে উড়ন্ত সূচনা করেন সাব্বির হোসেন ও মোহাম্মদ নাঈম। সাব্বির আউট হলেও দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরিতে প্রাইম ব্যাংকের স্কোর অন্য উচ্চতায় নিয়ে যান নাঈম। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রোববার ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে নাঈমের ১৭৬ রানের ইনিংসে আট উইকেটে ৪২২ রান করে প্রাইম ব্যাংক। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ তো বটেই, সব মিলিয়ে বাংলাদেশের মাঠে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এটিই সর্বোচ্চ দলীয় ইনিংস। প্রাইম ব্যাংক ম্যাচ জিতে নেয় ১৭৩ রানের বড় ব্যবধানে। প্রথম ম্যাচে হারের পর জয়ের ধারা ধরে রেখেছে আবাহনী ও মোহামেডান। বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে অধিনায়ক আল আমিন জুনিয়রের (১০৪) সেঞ্চুরির পরও আবাহনীর বিপক্ষে হেরেছে রূপগঞ্জ টাইগার্স। বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে তামিম ইকবালের সেঞ্চুরিতে (১২৫*) সাত উইকেটে জিতেছে মোহামেডান।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ইশান কিষানের ডাবল সেঞ্চুরির সৌজন্যে আট উইকেটে ৪০৯ রান করেছিল ভারত। বাংলাদেশের মাঠে এতদিন এটিই ছিল একমাত্র চারশছোঁয়া দলীয় সংগ্রহ। ঢাকা লিগে ২০১৮ সালে প্রাইম দোলেশ্বরের বিপক্ষে আবাহনী ৩৯৩/৪ রান ছিল ঘরোয়া ক্রিকেটের সর্বোচ্চ। নাঈম কাল ক্যারিয়ারসেরা ইনিংসে মাত্র ১২৫ বলে ১৭৬ রান করেন। ১৮ চারের সঙ্গে আটটি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান তিনি। বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আইস মোল্লার ৯৬ রানে ২৪৯ করতে পারে ব্রাদার্স ইউনিয়ন। আবাহনীর বিপক্ষে আল আমিনের সেঞ্চুরিতে রূপগঞ্জ টাইগার্স ২৬০ রান করতে পারে। জবাবে মোহাম্মদ মিঠুন (৫০) ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের (৪৭*) ব্যাটে ১৫ বল বাকি থাকতে চার উইকেটের জয় পায় আবাহনী। তিন ম্যাচে এটি তাদের দ্বিতীয় জয়।
এদিকে প্রথম দুই ম্যাচে বড় স্কোর করতে না পারলেও তৃতীয় ম্যাচে তিন অংকের দেখা পেয়েছেন তামিম ইকবাল। তার ১১২ বলের ইনিংসে ছিল ১১ চার ও পাঁচ ছক্কা।
তার সেঞ্চুরিতে পারটেক্সের বিপক্ষে ২১৯ রানের লক্ষ্যে তাড়ায় মোহামেডান জিতেছে ৫৮ বল বাকি থাকতে সাত উইকেটে।