হৃদয় দিয়ে ব্যাট করেও তাওহিদের আক্ষেপ

ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
নয় ওভারের মধ্যে ৩৫ রানে নেই পাঁচ উইকেট। ওই ওভারেই অক্ষর প্যাটেলের হ্যাটট্রিক বলে জাকের আলীর ক্যাচ যদি রোহিত শর্মা ফেলে না দিতেন, তাহলে হয়তো ৩৫/৬ হয়ে যেত। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া সেই কোণঠাসা পরিস্থিতিতে কী করার ছিল বাংলাদেশের অবশিষ্ট ব্যাটারদের? একটাই পথ খোলা ছিল, লড়াই করে ইনিংস মেরামত করার একটা উপায় খুঁজে বের করা। সেই কাজটিই সুচারুভাবে সম্পন্ন করেন তাওহিদ হৃদয়। তার প্রথম ওডিআই সেঞ্চুরি (১১৮ বলে ১০০) এবং হাফ সেঞ্চুরিয়ান (৬৮) জাকের আলীর সঙ্গে ষষ্ঠ উইকেটে ১৫৪ রানের জুটি বাংলাদেশের ইনিংসে অক্সিজেন সরবরাহ করে। যদিও ২২৮ রানে থেমে শান্তরা শেষাবধি হেরেছেন ছয় উইকেটে।
গত পরশু দুবাইয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিজেদের প্রথম ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তাওহিদ হৃদয় বলেন, ‘টস জিতলে কী করতে হবে সে সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা ছিল আমাদের। শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে উঠে জাকের ও আমি যেভাবে ব্যাট করেছি, তাতে আমাদের ২৬০-২৭০ রান করা উচিত ছিল। ম্যাচ সিনারিও তখন বদলে যেত। ৩০-৪০ রান আমরা কম করেছি। ২২৯ তাড়া করতে ওদের ৪৬.৩ ওভার পর্যন্ত যেতে হয়েছে। তাই কাজটা সহজ ছিল না।’
হৃদয়ের সংযোজন, ‘উইকেট সহজ ছিল না ব্যাট করার জন্য। ওদের ইনিংসের দিকে তাকান। ওরাও খুব একটা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেনি। কিন্তু সেটা আমাদের হাতে ছিল না। সবখানেই কন্ডিশন ভিন্ন। তবে এটা কোনো অজুহাত নয়। যে উইকেটই পাই তাতেই আমাদের খেলতে হবে।’ পায়ের মাংসপেশিতে টান নিয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করা তাওহিদ ব্যাট করেছেন হৃদয় দিয়ে। তার কথায়, ‘দেখে মনে হতে পারে কাজটা সহজ ছিল। আসলে তা না। আমি ও জাকের নিজেদের মধ্যে কথা বলেছি। বলেছি, আমাদের লড়াই করতে হবে। খুঁজে বের করতে হবে একটা উপায়। আমাদের ইনিংসে বিঘ্ন ঘটিয়েছে আমার চোট। যদি তা না হতো, আমি হয়তো আরও ২০-৩০ রান বেশি করতে পারতাম।’