
প্রিন্ট: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:০৩ এএম
কৃষিতে বরাদ্দ ৩৮ হাজার ২৫৯ কোটি টাকা

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৭ জুন ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
আরও পড়ুন
আগামী অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে কৃষি, খাদ্য এবং মৎস্য খাতে ৩৮ হাজার ২৫৯ কোটি টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। চলতি অর্থবছরে যা ছিল ৩৫ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা। বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মোহাম্মদ মাহমুদ আলী জাতীয় বাজেট বক্তৃতায় এসব কথা জানান।
অর্থমন্ত্রী বলেন, কৃষি খাতে ভর্তুকি অব্যাহত থাকবে। কৃষি খাতে গবেষণার মাধ্যমে নতুন নতুন জাতের ফসল উদ্ভাবন, সুলভ মূল্যে সার ও বীজসহ কৃষি উপকরণ সরবরাহ, সেচ কার্যক্রম এলাকা সম্প্রসারণ, কৃষি যান্ত্রিকীকরণে অর্থায়ন করতে হচ্ছে। কৃষক এবং কৃষিকে দেওয়া সহায়তায় উৎপাদন বেড়েছে, আমদানি নির্ভরতা কমে রপ্তানি সম্প্রসারণ করা হয়েছে। ২০১৩ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ ৩৩ হাজার কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়া হাওড় ও উপকূলীয় এলাকায় ৫১ হাজার ৩০০টি কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হয়েছে।
কৃষি ঋণ বিতরণ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ২৭ লাখ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাংক চলতি অর্থবছর ৩৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। ২০০৯ থেকে নিয়ে ২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ ২৯ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে। সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের ফলে কৃষি উৎপাদন ৪২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ভুট্টা উৎপাদন বেড়েছে ৭৮০ শতাংশ, আলু উৎপাদন বেড়েছে ৯৮ শতাংশ, সবজি উৎপাদন বেড়েছে ৬৭৫ শতাংশ। দেশে লবণাক্ততা সহিষ্ণুসহ বিভিন্ন জাতের ধানের চাষ হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ভাসমান কৃষি, ছাদ কৃষি, হাইড্রোপনিক ও অ্যারোপনিক কৃষিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। কৃষি স্মার্টকরণের আওতায় কৃষি কমিউনিটি রেডিও, কৃষক বন্ধু ফোন, অনলাইনে সার সুপারিশ, ই-সেচ সেবা, রাইস নলেজ ব্যাংক, কৃষি প্রযুক্তি ভান্ডার, ই-বালাই নাশক প্রেসক্রিপশন, কৃষকের জানালা, কৃষিকের ডিজিটাল ঠিকানাসহ বিভিন্ন ভাবে কৃষক ও কৃষিকে সেবা ও পরামর্শ দেওয়া অব্যাহত আছে এবং থাকবে। মুদ্রাস্ফীতির চাপ থেকে কৃষক ও নিম্ন আয়ের মানুষের চাপ কমাতে ৫০ লাখ পরিবারকে বছরে ৫ মাস ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হচ্ছে।