Logo
Logo
×

বাংলার মুখ

পাবনায় আশ্রয়ণের ৬০টি ঘর ভেঙে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা

মানবেতর জীবন ভুক্তভোগীদের

Icon

পাবনা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ৩০ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

পাবনা সদর উপজেলার ভাঁড়ারা ইউনিয়নে সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৬০টি ঘর ভেঙে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। এরপর সাইনবোর্ড টাঙিয়ে ওই জমি নিজেদের দাবি করে দখলে নিয়েছেন কয়েক ব্যক্তি। এদিকে ঘরগুলো ভেঙে নিয়ে যাওয়ায় সরকারি ওই প্রকল্পে আশ্রয় নেওয়া ৬০টি পরিবার বাসস্থান হারিয়ে এখন মানবেতর জীবনযাপন করছে।

এলাকাবাসী এবং ঘরহারা ব্যক্তিরা জানান, ২০২১ সালে ভাঁড়ারা ইউনিয়নে সরকারি খাস জমিতে ওই ৬০টি ঘর নির্মাণ করে সেখানে ৬০টি গৃহহীন পরিবারকে বরাদ্দ দেওয়া হয়। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর ৮ আগস্ট থেকে ওই আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো ভাঙা শুরু করে দুর্বৃত্তরা। ঘরগুলো ভেঙে নেওয়ার পর ওই জমিতে আদালতে মামলা রয়েছে মর্মে একটি সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দিয়েছেন কয়েক ব্যক্তি। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী সরকারের পতনের পর সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ওই জায়গার ওপর নজর পড়ে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্রের। এরই ধারাবাহিকতায় সন্ত্রাসীরা গত বছরের ৮ আগস্ট রাতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের অস্ত্রের মুখে ঘর ছাড়তে বাধ্য করে এবং পর্যায়ক্রমে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় আশ্রয়ণ প্রকল্পের সব ঘর। ঘরগুলো ভাঙা শেষে এবং প্রকল্পের বাসিন্দারা জায়গা ছেড়ে চলে যাওয়ার পর সেখানে একটি সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেওয়া হয়। এতে লেখা হয়, ‘এই জায়গা নিয়ে সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা চলমান রয়েছে’। সাইনবোর্ডে বাদী হিসাবে আকরাম প্রামাণিক, ইব্রাহিম প্রামাণিক, নায়েব আলী প্রামাণিক, উম্বর প্রামাণিক, আক্কাস প্রামাণিক, ইসমাইল প্রামাণিক গংয়ের নাম লেখা রয়েছে। এ বিষয়ে বাদী আক্কাস প্রামাণিকের ছেলে আতিক প্রমাণিক জানান, এ জমিটি তাদের পৈতৃক সম্পত্তি এবং আদালতে মামলা থাকা অবস্থায় সেখানে প্রকল্পের ঘর নির্মাণ করা হয়। এদিকে একাধিক এলাকাবাসী জানান, এ জায়গায় যখন ভূমিহীনদের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প করা হয় তখন ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন আ.লীগ নেতা আবু সাইদ। পাবনায় ছাত্র-জনতার ওপর গুলিবর্ষণ করে ছাত্র হত্যার আসামি আবু সাইদ ৫ আগস্টের পর এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেলে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়ে ইট এবং টিন খুলে নিয়ে যাওয়া হয়। ভাঁড়ারা ইউপি চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ খান বলেন, সন্ত্রাসীরা তাণ্ডব চালিয়ে ঘরগুলো ভেঙে নিয়ে গেছে। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েছি। তারা বলেছেন, তদন্ত করে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম বলেন, তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুরো বিষয়টি মন্ত্রণালয়কে চিঠিতে জানানো হয়েছে এবং আমরা এ বিষয়ে তদন্ত করছি। ওপরের নির্দেশ পেলে এবং তদন্তের ভিত্তিতে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াসহ ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম