Logo
Logo
×

অটোটেক

নির্বিঘ্নে গাড়ি চালাতে যা করতে হবে

Icon

জাকির হোসেন সরকার

প্রকাশ: ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

গাড়ির অপরিহার্য রক্ষণাবেক্ষণ কৌশলগুলো মেনে চললে গাড়ির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং আকস্মিক সমস্যার ঝুঁকি কমে যাবে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় কিছু পরামর্শ দেওয়া হলো :

০১. গাড়ির কুলান্ট লেভেল নিয়মিত পরীক্ষা করা উচিত। কুলান্ট লেভেল কমে গেলে অবশ্যই তা পূরণ করে নিতে হবে যাতে ইঞ্জিনের অতিরিক্ত তাপমাত্রা বৃদ্ধি না পায়। কেননা ইঞ্জিনে অতিরিক্ত তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে যে কোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। শুধু তাই নয় চলার পথে হঠাৎ করে ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে আপনাকে বিড়ম্বনায় ফেলতে পারে।

০২. গাড়ির রেডিয়েটর নিয়মিত পরিষ্কার রাখা উচিত যাতে করে কুলিং সিস্টেম সঠিকভাবে কাজ করতে পারে। রেডিয়েটরে কোনো ময়লা বা জং জমে গেলে তা পরিষ্কার করা প্রয়োজন।

০৩. ইঞ্জিন এয়ার ফিল্টার নিয়মিত পরিবর্তন করা উচিত। যাতে ইঞ্জিনে পরিষ্কার বায়ু প্রবেশ করতে পারে। প্রতি ১২ হজার থেকে ১৫ হাজার মাইল পর পর ইঞ্জিন এয়ার ফিল্টার পরিবর্তন করা প্রয়োজন। ইঞ্জিনে পরিষ্কার বায়ু প্রবেশ করতে না পারলে বারবার গাড়ির স্টার্ট বন্ধ হয়ে ঝামেলায় পড়তে হবে। এয়ার ফিল্টারের পাশাপাশি কেভিন এয়ার ফিল্টারও নিয়মিত পরিবর্তন করা উচিত, যাতে করে গাড়ির ভেতরের বায়ু পরিষ্কার থাকে।

০৪. ওয়াইপার ব্লেডের কার্যক্ষমতা কমে গেলে অবিলম্বে পরিবর্তন করতে হবে। তা না হলে বৃষ্টির সময় গাড়ি চালাতে গিয়ে আপনাকে ঝামেলায় পড়তে হবে। গাড়ির ওয়াইপার ব্লেড প্রতি ৬ থেকে ১২ মাস পরপর পরিবর্তন করা উচিত। সে সঙ্গে ওয়াসার ফ্লুইড নিয়মিত চেক করে টপ-আপ লেভেলে রাখা উচিত। পরিষ্কার ফ্লুইড ব্যবহার করলে ওয়াইপার ব্লেডের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

০৫. গাড়ির বেল্ট এবং হোজে কোনো ফাটল বা ক্ষয় দেখা দিয়েছে কিনা তা নিয়মিত পরীক্ষা করতে হবে। যদি বেল্ট এবং হোজে কোনো ফাটল বা ক্ষয় দেখা দেয় তাহলে অবিলম্বে তা পরিবর্তন করা উচিত।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম