
প্রিন্ট: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:২১ পিএম

সেলিম কামাল
প্রকাশ: ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
আরও পড়ুন
পাশ্চাত্য সংগীতের পপ আইকন ম্যাডোনার বয়স এখন ৬৬ বছর। অন্যদিকে ব্রিটিশ গায়ক, কম্পোজার ও পিয়ানিস্ট স্যার এলটন জনের বয়স ৭৮। এ বয়সে এসেও তারা একসঙ্গে কাজ করার জন্য একমত হয়েছেন। এখনো ‘দুর্দান্ত কিছু’ ঘটানোর জন্য দুজন অপ্রত্যাশিতভাবে এক হয়েছেন। সম্প্রতি স্যাটারডে নাইট লাইভ-এ এসে তারা কুড়ি বছরের দ্বন্দ্বের অবসান ঘটান। ২০০৪ সাল থেকে ম্যাডোনা ও এলটন জনের সঙ্গে ‘দা-কুমড়া’ সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। এরপর থেকে টানা কুড়ি বছর তারা বিভিন্ন শোতে কিংবা কোনো লালগালিচা অনুষ্ঠানে যোগ দিলে পরস্পরের কুৎসা রটনায় লিপ্ত হতেন। কিন্তু ৭ এপ্রিল নিজের ইন্সটাগ্রাম পেজে দীর্ঘ সেই দ্বন্দ্ব অবসানের ঘোষণা দেন। ম্যাডোনা জানিয়েছেন, ‘স্যাটারডে নাইট লাইভে এলটন জনের পারফর্মেন্স দেখতে গিয়েছিলাম’। পোস্টে এলটন জনের সঙ্গে তোলা একটি ছবিও শেয়ার করেন গায়িকা। ম্যাডোনা লিখেছেন, ‘অবশেষে আমরা দ্বন্দ্বকে কবর দিয়েছি। গত কয়েক দশক ধরে আমাদের মধ্যকার পরিস্থিতি আমাকে বেশ কষ্ট দিয়েছে। একজন কণ্ঠশিল্পী আরেকজন কণ্ঠশিল্পীকে ঘৃণা করবে, এটা আমি ভাবতে পারছি না-কীভাবে ঘটল।’ ম্যাডোনা জানান স্যাটারডে নাইট অনুষ্ঠানে অতিথি বাদ্যযন্ত্রী হিসাবে স্যার এলটন জন আসছেন। তখনই তিনি ওই অনুষ্ঠানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। গায়িকা জানান, ‘আমাকে স্টেজে গিয়ে তার মুখোমুখি হতে হয়েছিল।’ তিনি জানান ম্যাডোনার সঙ্গে দেখা হতেই জনের প্রথম বাক্য ছিল, ‘আমাকে ক্ষমা করুন’। তখনই ম্যাডোনা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি লেখেন, ‘আমাদের মধ্যকার দীর্ঘ ও বিষাক্ত প্রাচীরটি সঙ্গে সঙ্গে ভেঙে পড়েছিল। আমরা পরস্পরকে আলিঙ্গন করলাম।’ ওই অনুষ্ঠানে জন জানিয়েছেন তিনি ম্যাডোনার জন্য একটি গান লিখেছেন। তার সঙ্গে কাজ করতে চান। কিংবদন্তি এ জুটির তথাকথিত বিবাদটি বিখ্যাত হয়েছিল ২০০৪ সালে কিউ অ্যাওয়ার্ডের অনুষ্ঠানে। ওই অনুষ্ঠানে ক্লাসিক গীতিকার হিসাবে পুরস্কার নিয়েছিলেন জন। সেখানেই তিনি মন্তব্য করেছিলেন, ‘লাইভ অনুষ্ঠানে ম্যাডোনা লিপ-সিংক করেন।’ এরপর থেকেই তারা পরস্পরের বিষোদগারে প্রতিযোগিতা শুরু করেন। ম্যাডোনা তার সাম্প্রতিক ওই পোস্টে আরো লেখেন, ‘আমি যখন হাইস্কুলে ছিলাম, তখন জনের পারফর্মেন্স দেখে আমার জীবনের গতিপথ বদলে গিয়েছিল। জনও তার পোস্টে মন্তব্য করতে ভুল করেননি। তিনি লিখেছেন, ‘আমাকে ক্ষমা করার জন্য ধন্যবাদ। আমি কৃতজ্ঞ যে, আমরা একত্রে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছি। এ মুহূর্তে বিশ্বের সব বিভাজনে আমি ক্রমবর্ধমানভাবে কষ্ট পাচ্ছি। আপনি আমি মিলে বিশ্বজুড়ে হুমকির মুখে থাকা সম্প্রদায়গুলোকে একসময় আন্তরিকভাবে আলিঙ্গন করেছিলাম। এবার আমরা আবার একত্রিত হয়ে দুর্দান্ত জিনিস ঘটাতে পারব।’