Logo
Logo
×

আনন্দ নগর

পঁচিশে যুগান্তর

Icon

সম্পাদকীয়

প্রকাশ: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

পঁচিশে যুগান্তর

সত্য, বস্তুনিষ্ঠ ও নির্ভীক সাংবাদিকতার অন্যতম গণমাধ্যম দৈনিক যুগান্তর পথচলার পঁচিশ বছরে পা দিল আজ। দীর্ঘ আড়াই দশকের এ পথচলায় অন্যদের মতো বিনোদন জগতের সংশ্লিষ্টরাও আমাদের সঙ্গী ছিলেন নিরন্তর। সংগীত, চলচ্চিত্র, নাটক, মঞ্চ, নৃত্য সব মাধ্যমের তারকারাই ছিলেন আমাদের পথচলার প্রিয় সারথি। তাদের শুভেচ্ছা বাণী নিয়ে সাজানো আয়োজনের প্রথম পর্ব ছাপা হলো আজ।

যুগান্তর আমার পরিবারের সদস্য

সিনেমা আর রাজনীতি-এ দুটি নিয়েই পুরো জীবনটা কাটিয়ে দিলাম। কত কিছু দেখেছি, শুনেছি, শিখেছি। দীর্ঘ এ চলার পথে প্রতিষ্ঠার পর থেকে যুগান্তরকে পাশে পেয়েছি সব সময়। এ পত্রিকাটির সঙ্গে আমার বেশ সখ্য। বলা যায় আমার পরিবারের সদস্যের মতো। পত্রিকাটি সব সময় চেষ্টা করেছে, সাধারণ মানুষের পাশে থাকতে। আর এ জন্যই ২৫ বছরে পা দিতে পেরেছে সাফল্যের সঙ্গে। যুগান্তরের জন্য রইল আমার অনেক ভালোবাসা ও শুভকামনা। প্রতিষ্ঠানটির প্রতি আমার প্রত্যাশা থাকবে, যেন এটি সব সময় সত্য ও সুন্দর সংবাদ প্রকাশ করে।

- সোহেল রানা, অভিনেতা

যুগান্তর বেঁচে থাকবে দীর্ঘকাল

আমরা যখন সিনেমার ক্যারিয়ার শুরু করি তখন থেকেই যুগান্তরকে পাশে পেয়েছি। বিশেষ করে বিনোদন বিভাগের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কটা অনেকটা পারিবারিক। পত্রিকাটির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের বলা যায় আত্মিক সম্পর্ক। মালিক পক্ষের সবাই খুব ভালো মানুষ। আমি মনে করি, যে কোনো সৎ সাহস যে কাউকে সামনে এগিয়ে চলার উৎসাহ জোগায়। আমরাও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান চালাই। সেখানে আমরা আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধা নিজেরাই দেখভাল করার চেষ্টা করি। সবার বিপদে-আপদে পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করি। সুতরাং যে কোনো প্রতিষ্ঠানই তার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি সুনজর দিলে সেটি দীর্ঘদিন টিকে থাকে। যুগান্তর কর্তৃপক্ষের সেই সুনজর আছে বলেই পত্রিকাটি এখনো সগৌরবে টিকে আছে। চব্বিশ পেরিয়ে পঁচিশ বছরে যুগান্তর। জন্মদিনে অনেক অনেক শুভেচ্ছা।

- অনন্ত ও বর্ষা, চিত্রতারকা

গণমাধ্যম হিসাবে যুগান্তর আমার পছন্দের একটি পত্রিকা

গণমাধ্যমকে বলা হয় সমাজের প্রতিচ্ছবি। গণমাধ্যমের কাজই হচ্ছে সমাজের বিভিন্ন বিষয়ের ওপর সংবাদ প্রকাশ করে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো। যদিও একই কথা চলচ্চিত্র এবং সংগীতের বেলায়ও প্রযোজ্য। এ দুটি মাধ্যমের দায়িত্ব অনেকটা গণমাধ্যমের মতোই। যুগান্তর আমার পছন্দের একটি পত্রিকা। গত চব্বিশ বছর ধরে এটি সাফল্যের সঙ্গে পথ চলেছে। বিনোদনসহ পত্রিকাটির বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক সংবাদ ভালোই লাগে। যুগান্তর শুরু থেকেই সত্য ও বলিষ্ঠ সংবাদ তুলে ধরার চেষ্টা করছে। আমার চোখের সামনেই তো পত্রিকাটি বেড়ে উঠেছে। শুধু বিনোদন নয়, সব বিভাগের সংবাদকে সমান গুরুত্ব দিয়ে এ পত্রিকাটি সামনে এগিয়ে যাবে এটিই প্রত্যাশা।

- সৈয়দ আবদুল হাদী, সংগীতশিল্পী

নিজেদের সেরাটা দিয়ে সবার সেরা হয়ে থাকবে যুগান্তর

দেখতে দেখতে যুগান্তর চব্বিশ বছর অতিক্রম করল। পঁচিশে এসে মনে হচ্ছে এই তো সেদিন শুরু হলো! সময় যে কীভাবে চলে যায় টেরও পাওয়া যায় না। পত্রিকাটিকে পাশে পেয়েছি সেই প্রতিষ্ঠাকাল থেকে। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করে এখনো চলছে নিজস্ব ঢঙে। কাজ থাকুক আর না থাকুক, আমার খোঁজখবর তো সব সময় বিনোদন বিভাগের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়। বিষয়টি খুবই ভালো লাগে। পাশে থাকাটা বড় কথা। কজনইবা থাকতে পারে! সামনের দিনগুলোতেও সব সময় জনগণের পক্ষে কাজ করে যাবে যুগান্তর। আশা করি, নিজেদের সেরাটা দিয়ে সবার সেরা হয়ে থাকবে যুগান্তর। সিনেমার সংবাদ বেশি বেশি পরিবেশন করে সব সময় তারকাদের পাশে থাকবে দেশের শীর্ষ পত্রিকা হিসাবে।

- ববিতা, অভিনেত্রী

গণমাধ্যম হিসাবে যুগান্তর আমার কাছে সব সময়ই ভালোবাসার

প্রতিদিন একাধিক পত্রিকা দেখি আমি। কয়েকটি পত্রিকার বিভিন্ন কিছু ভালো লাগে। তার মধ্যে যুগান্তর অন্যতম। বিনোদন অঙ্গনে এক সময় নিয়মিত কাজ করলেও এখন আমি করপোরেট জগৎ নিয়েই ব্যস্ত। তবু এ মাধ্যমের খোঁজখবর প্রায়ই রাখা হয়। আর সেটার সিংহভাগই যুগান্তর থেকে পাই। তবে প্রিন্ট ভার্সন পড়তে না পারলেও অনলাইন ভার্সনে নিয়মিত পড়া হয়। এগিয়ে যাক যুগান্তর। শুভকামনা যুগান্তরের জন্য। চব্বিশ বছরের সফল পথচলা শেষ করে পঁচিশে পা দিয়েছে এটি। দুই যুগের এ সফল পথচলা অবশ্যই প্রশংসনীয়। পাশাপাশি মার্কেটিং জগতের বৈরী সময় মোকাবিলা করে নিয়মিত প্রকাশের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে যুগান্তর, যা মোটেও সহজ কাজ নয়। এগিয়ে যাক যুগান্তর। শুভ কামনা শুভক্ষণে।

- আদিল হোসেন নোবেল, মডেল ও অভিনেতা

শুরু থেকেই কাছে পাচ্ছি

অনেক ভালোবাসা যুগান্তরের প্রতি। সবচেয়ে বেশি ভালোবাসা যুগান্তরের বিনোদন বিভাগের সবাইকে। শোবিজে আমার পথচলার শুরু থেকেই পত্রিকাটিকে পাশে পাচ্ছি। চব্বিশ পেরিয়ে পঁচিশ বছরে পা দিল যুগান্তর। অনেক দীর্ঘ সময়। যুগান্তরের প্রতি অনুরোধ, আমাদের দেশি সিনেমা নিয়ে যেন ভালো ভালো খবর প্রকাশ করে। যাতে আমরা আগামীতে কাজের আরও উৎসাহ পাই। এখন দেশে অনেক গণমাধ্যম। সবার কাছেই বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ আশা করি। যুগান্তর যেহেতু দেশের প্রথম সারির ও বয়সে বড় দৈনিক তাই এর কাছে প্রত্যাশাও বেশি।

- শবনম বুবলী, চিত্রনায়িকা

যুগান্তর শক্তিশালী গণমাধ্যম

অভিনয় আমার পেশা। এ কাজ নিয়েই বছরের পুরোটা সময় আমি ব্যস্ত থাকি। পাশাপাশি আরও কিছু কাজ থাকে। আমার এসব কর্মকাণ্ড যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে পরিবেশন করে যুগান্তর, যা একজন মিডিয়াকর্মী হিসাবে আমার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সঙ্গে দর্শক কিংবা পাঠকদের অভিনয়ের বাইরে যোগাযোগের মাধ্যম কিন্তু সংবাদপত্র। এ যোগসূত্রের সূত্রধর হিসাবে যুগান্তরের ভূমিকা বেশ শক্তিশালী। এ পত্রিকার বিনোদন বিভাগে দেশীয় নাটক, সিনেমা ও সংগীতের খবরগুলো বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়, যা আমাদের বিনোদন জগতের জন্য একটি বড় অর্জন। গঠনমূলক সমালোচনার কারণে যুগান্তরের প্রতি সবাই আস্থাশীল। পত্রিকাটির পঁচিশত জন্মদিনে শুভেচ্ছা।

- নিরব, চিত্রনায়ক

সত্য প্রকাশে যুগান্তর অন্যতম

যুগান্তরের বয়স আর আমার মিডিয়ায় কাজ করার বয়স প্রায় কাছাকাছি। আমার ভীষণ ভালোলাগার একটি পত্রিকা। ক্যারিয়ারের সত্য সংবাদ প্রকাশে যুগান্তর অন্যতম। আমি যেহেতু অভিনয়ের মানুষ, স্বভাবতই বিনোদন বিভাগের প্রতি নজর বেশি। পত্রিকাটির বিনোদন বিভাগ বেশ পরিচ্ছন্ন। বিশেষ করে নতুন প্রতিভাবানদের যেভাবে সহযোগিতা করে, সেটা অনেক প্রতিষ্ঠিত পত্রিকায়ই দেখা যায় না। সবচেয়ে ভালোলাগার বিষয় হচ্ছে সংবাদ প্রকাশে যুগান্তর সব সময়ই স্বচ্ছ এবং পরিষ্কার। শুরু থেকে যুগান্তরকে যেভাবে পাশে পেয়েছি, ভবিষ্যতেও এভাবে পাব বলে আশা করি। ভালোবাসা নিয়ে এগিয়ে যাক ভালোবাসার প্রিয় পত্রিকা যুগান্তর। শুধু আড়াই দশক নয়, আরও অসংখ্য দশক যেন সৃষ্টিশীল কাজ নিয়ে টিকে থাকে যুগান্তর। জন্মদিনে শুভেচ্ছা।

- আবদুন নূর সজল, অভিনেতা

ভালো কাজের প্রশংসা করে যুগান্তর

ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই আমি যুগান্তরকে পাশে পেয়েছি। হয়তো বিনোদন বিভাগের সাংবাদিক বদলেছে, কিন্তু যারাই যখন দায়িত্ব নিয়েছে, সব সময় আমার খোঁজখবর রেখেছেন। ভালো কাজের প্রশংসা করেছেন। সমালোচনাও করেছেন। সেসব সমালোচনা থেকে আমি অনেক কিছু শিখেছি, নিজেকে শুধরে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছি। সব সময়ই পাঠক ও দর্শকের সঙ্গে আমার সেতুবন্ধ হিসাবে যুগান্তর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। আমার বিভিন্ন কাজের সংবাদ, সাক্ষাৎকার এবং আমার অন্য কাজের সর্বশেষ তথ্য জানিয়ে যাচ্ছে যুগান্তর। তাই আমি এ পত্রিকাটির কাছে কৃতজ্ঞ। নতুন বছর বেশ কিছু ভালো কাজের সঙ্গে যুক্ত হব। এছাড়া আগের কিছু কাজও এ বছর দর্শকের সামনে আসবে। এসব কাজসহ সামনের দিনগুলোয়ও অতীতের মতো যুগান্তরকে পাশে পাব, এ প্রত্যাশা রাখি। যুগান্তরের পঁচিশ বছরে পদার্পণে অনেক শুভ কামনা।

- নুসরাত ফারিয়া, চিত্রনায়িকা

যুগান্তরকে সঙ্গী হিসাবে শুরু থেকেই পেয়েছি

শুরু থেকেই দেখেছি যুগান্তর সংগীতের পাশে ছিল। এখনো এ ধারা চলমান। বিশেষ করে দেশি সংগীতের খবর গুরুত্ব দিয়ে ছাপে পত্রিকাটি। এটা অবশ্যই প্রশংসনীয়। আমাদের সংগীত জগৎটাকে যেন আরও সুন্দরভাবে মানুষের কাছে তুলে ধরে-এটিই যুগান্তরের কাছে আমার চাওয়া। দুই যুগ পার করেছে পত্রিকাটি, পা দিয়েছে পঁচিশে। আমি চাই, এটি যেন আরও অনেক বছর টিকে থাকে এবং মানুষের ভালোবাসা নিয়ে এগিয়ে যায়। যুগান্তর যেন আরও অনেক দিন সত্য ও সুন্দর খবর প্রকাশ করে এগিয়ে যেতে থাকে।

-হৃদয় খান, সংগীতশিল্পী ও সংগীত পরিচালক

 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম