উন্নতির নামে শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে

আবু আহমেদ
প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

বিগত স্বৈরাচারী সরকার গত ১৫ বছরে শিক্ষাব্যবস্থার উন্নতির নামে যা করেছে, সেটাকে উন্নতি না বলে ধ্বংস বলা যায় নির্দ্বিধায়। অর্থাৎ দেশে শিক্ষার মান তো বাড়েইনি, বরং নিম্নগামী হয়েছে। এতটাই নিম্নগামী হয়েছে যে, আমাদের দেশের স্কুল-কলেজের পরীক্ষার মান এবং বৈধতা ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে পৃথিবীতে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। গত ১৫ বছরে, বিশেষ করে গত ১০ বছরে মানহীন শিক্ষার প্রসার ঘটেছে। প্রথম ৫ বছর শিক্ষাব্যবস্থা মোটামুটি একটা পর্যায়ে ছিল। সরকার পতনের ঠিক আগের কয়েক বছর শিক্ষাব্যবস্থাকে এমনভাবে পচানো হয়েছে, যা বলাই বাহুল্য। কথিত সৃজনশীলতার নামে শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিয়েছে বিগত সরকার। এভাবে চলতে থাকলে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা কোথায় গিয়ে দাঁড়াত, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
কোথাকার কোন দেশের সৃজনশীল ব্যবস্থাকে টেনে আনা হয়েছে, আমার জানা নেই। পৃথিবীর বড় দেশগুলোতে যেরকম উন্নত শিক্ষাব্যবস্থা রয়েছে, সেটাকে বাদ দিয়ে কেন এই সৃজনশীলতার অপপ্রয়াস, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। সৃজনশীলতার নামে আমাদের পড়ালেখাকে একেবারে কবরস্থানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। কারণ, সৃজনশীল শিক্ষাব্যবস্থায় ছাত্রছাত্রীরা কিচ্ছু পড়ত না এবং বিষয়টি এমন দাঁড়িয়েছিল যে, কোনো পড়ার দরকার নেই, শুধু স্কুলে গিয়ে অ্যাক্টিং করলেই হবে! এ ধরনের শিক্ষার নতুন কারিকুলাম শুরু করে বিগত সরকার। বিভিন্ন মিডিয়ায়, বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা গেছে অভিভাবকরা এই সৃজনশীলতার অপপ্রয়োগের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে। কিন্তু এতে টনক নড়েনি কর্তৃপক্ষের। শিক্ষার্থীরা সৃজনশীলতার আবর্তেই থেকে গেছে। অবস্থা এমন হয়েছিল যে ক্লাস ফোর, ফাইভ ও সিক্সের বইগুলো অভিভাবকদের ধরে দেখতেও ইচ্ছা করত না। সেখানে শেখার মতো কিছু ছিল না বললেই চলে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, দেশের অনেক শিক্ষকই এসব সৃজনশীল শিক্ষা পদ্ধতি সম্পর্কে জানেন না এবং বোঝেনও না। এখন প্রশ্ন হলো, শিক্ষকরাই যদি না বোঝেন, তাহলে শিক্ষার্থীদের বোঝাবে কে? শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হবে কীভাবে? এসব কারণে অনেক ছাত্রছাত্রী স্কুলে যাওয়া-আসা বন্ধ করে দিয়েছে। কেউ কেউ স্কুলে শুধু যাওয়া-আসা করেছে মাত্র। ফলে দুটি বিষয় আমাদের মধ্যে প্রতিভাত হয়েছে। প্রথমটি হচ্ছে, যারা গরিব ছাত্রছাত্রী, তাদের বিরাট একটি অংশ স্কুল বাদ দিয়ে মাদ্রাসায় যাওয়া শুরু করে দিয়েছে। এতে প্রাইমারি স্কুলগুলো প্রায় ফাঁকা হয়ে গেছে। আর শহরভিত্তিক যারা রয়েছেন এবং যারা ভালো অর্থকড়ির মালিক, তারা তাদের সন্তানদের ইংলিশ মিডিয়ামে ভর্তি করে দিয়েছেন। ফলে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যে শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে, সেটার মান নিয়ে প্রশ্ন থাকায় এবং এর গ্রহণযোগ্যতা না থাকার কারণে হাজার হাজার ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল গড়ে উঠেছে দেশে। শেষ পর্যন্ত যারা মধ্যবিত্ত, উচ্চমধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত, তাদের জন্য শিক্ষার কোনো অস্তিত্ব আর থাকেনি। এভাবে চলতে থাকলে এই শ্রেণির শিক্ষার্থীরা শিক্ষার ধারা থেকে ক্রমেই হারিয়ে যেত। বৈষম্যবিরোধী ছাত্রছাত্রীদের আমি স্যালুট জানাই। কারণ, তাদের অভ্যুত্থানের কারণেই ধ্বংসের দ্বারপ্রান্ত থেকে রক্ষা পেয়েছে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা।
আরেকটি বিষয় না বললেই নয়, সেটা হলো, চরিত্র গঠনের জন্য ধর্মীয় মূল্যবোধ হচ্ছে আসল ভিত্তি। সেটাকে এ শিক্ষাব্যবস্থায় নড়বড়ে করে দেওয়া হয়েছে। কারণ, রাসূলের (সা.) জীবনী ও আদর্শ বই থেকে উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। সাহাবিদের জীবনী যা কিছু ছিল, সেগুলোও বাদ দেওয়া হয়েছে। তাহলে শিক্ষার্থীরা নীতি-নৈতিকতা শিখবে কোথা থেকে? আদর্শ জীবন ধারণের যে শিক্ষা, সেটা কীভাবে শিখবে? এ সবকিছুই আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর আমরা কলুর বলদের মতো এসব মেনে নিতে বাধ্য হয়েছি। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করার জন্য এসব পরিকল্পনামাফিক করা হয়েছিল। স্কুল টেক্সটবুক বোর্ড এসবের জন্য কাজ করেছে এবং কিছু কথিত বুদ্ধিজীবী, যারা এখন পালিয়ে আছেন, তারাও এ ব্যাপারে কাজ করেছেন। একটা জাতিকে ধ্বংস করার জন্য শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করাই যথেষ্ট। আমাদের বাঙালি জাতিকে ধ্বংসের পাঁয়তারা করা হয়েছে-অবস্থাদৃষ্টে তা-ই মনে হচ্ছে। বিদেশি শক্তি সেটাই করতে চেয়েছিল। সেটা ষড়যন্ত্রমূলকভাবেই হোক বা অন্য কোনোভাবে।
কলেজের কথা ধরা যাক। কলেজগুলোতেও শিক্ষার্থীরা শুধু যাওয়া-আসাই করত। সেগুলোর তেমন কোনো মান ছিল না বললেই চলে। এ অবস্থায় অধিকাংশ ছাত্রছাত্রী খুব সহজে কীভাবে ডিগ্রি নেওয়া যায়, তা খুঁজতে শুরু করল। অর্থাৎ যে বিষয়গুলো সহজে পড়া যায়, সেই বিষয়গুলো নিয়ে পড়তে শুরু করল। ফলে সহজ বিষয়গুলোর শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। বিজ্ঞান, গণিত ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মতো বিষয়গুলো পেছনে পড়ে গেল। শিক্ষার্থীর অভাবে কারিগরি শিক্ষাতেও হোঁচট খেল আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা; যার ফলে দেশের অধিকাংশ কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রায় খালি হয়ে গেছে। পাকিস্তান আমল থেকেই অনেক ভালো মানের পলিটেকনিক্যাল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে দেশে। স্বাধীনতার পর সেগুলোর আরও আধুনিকায়ন করা হয়েছে। তবুও সেগুলো ছাত্রছাত্রী টানতে পারেনি। এসব প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ সিটই খালি পড়ে থাকছে। অথচ হিউমিনিটিস, ফিলোসোফি পড়ার জন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সিট পাওয়া যায় না। এর কারণ, অধিকাংশ ছাত্রছাত্রী সহজপাঠ্য, সহজে ডিগ্রি অর্জন করা যায় এমন বিষয়ে পড়াশোনার দিকেই ঝুঁকে পড়েছে। ফলে বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় আমরা বিজ্ঞান, ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা থেকে দূরে চলে এসেছি। ভোকেশনাল ও টেকনিক্যাল শিক্ষা থেকে দূরে চলে এসেছি, আইটি শিক্ষা থেকেও দূরে চলে এসেছি। অধিকাংশ ছাত্রছাত্রী বিএ, বিকম ডিগ্রি, যেটি অতি সহজে পড়া যায়, সেটাতেই আগ্রহী হয়ে উঠেছে। শত শত কলেজ অনার্স ডিগ্রি খুলে বসে আছে, অথচ কোনো শিক্ষক নেই। বলতে গেলে, দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ফেলে দিয়েছে বিগত স্বৈরাচারী সরকার। এমন শিক্ষাব্যবস্থা দেশের জন্য কখনোই মঙ্গল বয়ে আনতে পারে না।
আরেকটি কথা না বললেই নয়, সেটি হলো, দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় ইংরেজি শিক্ষার অনগ্রসরতা। শিক্ষার প্রতিটি ক্ষেত্রে যেখানে ন্যূনতম ইংরেজি থাকা উচিত, সেখানে সেটি নেই, তুলে দেওয়া হয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের ইংরেজিতে দুর্বলতার জন্য বাংলা মিডিয়ামেই পড়তে তারা বাধ্য হয়; যার ফলে উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে একটি নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। কেননা টেকনিক্যাল, সায়েন্স, ইকোনমি বা বিজনেস সায়েন্স-এসব তো বাংলায় পড়ানো হবে না। কারণ, বেশির ভাগ বই ইংরেজি ভার্সনের।
আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা বিশ্বের চোখে মানের দিক থেকে নিম্নগামী। আমাদের দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের শীর্ষ ১০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে নেই। এমনকি ৫০০-এর মধ্যেও নেই। দিনের পর দিন শুধু অবনতিই হচ্ছে। হবে নাই বা কেন, প্রতিটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে দলাদলি বিদ্যমান। বিগত আমলে আমরা দেখেছি, স্বৈরশাসকের পক্ষে রাস্তায় দাঁড়িয়ে সমাবেশ করেছেন শিক্ষকরা। এমনকি সরকারের গুণকীর্তন সংবলিত প্ল্যাকার্ড ধরে দাঁড়িয়েও থাকতে দেখা গেছে। বিষয়টি দৃষ্টিকটু মনে হলেও ওইসব শিক্ষক নির্দ্বিধায় তা করেছেন, যেন সরকারের তোষণ-তুষ্টিই ছিল শিক্ষকদের প্রধান কাজ। এভাবে সরকারের চাটুকারিতা করে অনেকে প্রফেসর হয়েছেন, প্রভোস্ট হয়েছেন, ডিন হয়েছেন। অনেকে সিনেট মেম্বার হয়েছেন, সিন্ডিকেট মেম্বারও হয়েছেন। শুধু তাই নয়, যেখানে পয়সাকড়ি বেশি, টাকা-পয়সার ভাগবাটোয়ারা বেশি, সেসব পদেও অনেকে বসে গেছেন সরকারের তোষণ-তুষ্টির মাধ্যমে। তাহলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা হবে কীভাবে? আর এ ধারা নিয়ে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিশ্ব র্যাংকিংয়ে এগোবেই বা কীভাবে? একসময়কার প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে কতজন ছাত্রছাত্রী যায় এবং কতজন শিক্ষক যায়, সেটি বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরির রেকর্ড বের করলেই জানা সম্ভব। এসব রেকর্ড থেকে দেখা যায়, লাইব্রেরিতে যাতায়াতকারীর সংখ্যা খুবই নগণ্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের আধুনিকায়ন করা যেত, কিন্তু সেটা করার কোনো অগ্রাধিকার নেই কর্তৃপক্ষের। যেভাবে চলছে চলুক না, বিষয়টি এখন এমনই হয়ে দাঁড়িয়েছে। অবসর গ্রহণের পর আমি মাঝেমধ্যে লাইব্রেরিতে গেয়েছি। দেখেছি, সবচেয়ে দুর্বল ও জরাজীর্ণ বিল্ডিং হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি। অথচ এটাই হওয়া উচিত ছিল সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিল্ডিং; কিন্তু সেটি হয়নি। এ লাইব্রেরির চারদিকে রয়েছে কতগুলো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দোকান। ঠেলাগাড়ির ওপর দোকান, টংয়ের মতো দোকান ইত্যাদি। পরিবেশটাও ঠিক নেই। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয় মানে গবেষণা, বিশ্ববিদ্যালয় মানে মনোযোগ দিয়ে পঠন এবং পাঠদান করা, সেটা এখন আর সেখানে নেই। ক্লাস শেষ করে সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ছাত্ররা লাইব্রেরিতে আসবে, শিখবে, গবেষণাগারে কাজ করবে, পড়বে-সেসব এখন বিলীন হয়ে গেছে। শিক্ষকরা প্রফেসর হয়ে যাচ্ছে পাবলিকেশন বাদে। নিজের ডিপার্টমেন্টে নিজেরা একটা জার্নাল বের করে বসে। এ জার্নালে লেখে একজন, অ্যাপ্রুভ করে আরেকজনে। এটি তো আছেই, তাছাড়া পিএইচডি ডিগ্রিও এখন ছেলের হাতের মোয়া হয়ে গেছে। কারণ, এমফিলের জন্য যে থিসিস লেখা হয়েছে, সেটিকেই একটু রদবদল করে পিএইচডির থিসিসের জন্য দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আর এভাবেই পিএচডি ডিগ্রি হয়ে যাচ্ছে। সুপারভাইজাররা এসব কাজের জন্য কিছু পয়সা পাচ্ছে। এক্ষেত্রে এমনসব পরীক্ষককে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে যে, সুপারভাইজার যা বলবে, সেটাই তারা শুনবে-সেটি অন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হোক বা নিজের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। আর কিছু থিসিস তো নীলক্ষেতে কিনতেই পাওয়া যায়। মানে পিএইচডি ডিগ্রিটাকেও এখন খেলো বানিয়ে ফেলা হয়েছে। আমলাদের এবং বিভিন্ন সার্ভিসের লোকজনদের নামের পেছনে যে পিএইচডি ডিগ্রি দেখা যায়, সেগুলোর বেশিরভাগই ওই নীলক্ষেত থেকে কেনা। তাছাড়া কিছু নামসর্বস্ব বিশ্ববিদ্যালয় বের হয়েছে, সেগুলোতে পয়সা দিলেই পিএইচডি ডিগ্রি কিনতে পাওয়া যায়। এসব সনদ কিনে তারা ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করছে। এভাবে নকল পিএইচডি সনদধারীদের কাছ থেকে দেশ কী-ই বা আশা করতে পারে। অথচ অক্সফোর্ড, হার্ভার্ড, এমআইটির মতো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটা পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করতে চার, পাঁচ বা ছয় বছর মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কাজ করতে হয়। সেসবের কোনো বালাই নেই এখানে। এভাবে চলতে দেওয়া যায় না। দেশ ও সমাজের কল্যাণের জন্যই হোক বা দেশ গঠনের জন্য, শিক্ষাব্যবস্থাকে অন্তত দুর্নীতির ঊর্ধ্বে রাখা উচিত। তা না হলে পুরো জাতিকেই এর মাশুল দিয়ে যেতে হবে। অন্ধকার ভেদ করে আলো আসবে, আমরা সেই প্রত্যাশায় রইলাম। (অনুলিখন)
লেখক : শিক্ষাবিদ ও অর্থনীতিবিদ