আগামী নভেম্বরে দেশের আকাশে ডানা মেলতে যাচ্ছে নতুন বেসরকারি এয়ারলাইন্স ‘ফ্লাই ঢাকা’। ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানটি বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) কাছ থেকে অনাপত্তিপত্র (এনওসি) পেয়েছে।
সাশ্রয়ী মূল্যে নিরাপদ ভ্রমণের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে এয়ার ক্রাফট আনার পরিকল্পনা করছে তারা। এ ছাড়া ফ্লাইট পরিচালনার জন্য বাধ্যতামূলক বেবিচকের এয়ার অপারেটর সার্টিফিকেট (এওসি) পেতে কাজ করে যাচ্ছে এয়ারলাইন্সটি।
ফ্লাই ঢাকা সূত্র জানায়, যে কোনো এয়ার লাইন্সকেই ফ্লাইট চালুর পর প্রথম এক বছর অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচল করতে হয়। এসব রুটে এটিআর ৭২-৬০০ মডেলের উড়োজাহাজ দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। পরে আন্তর্জাতিক সেবা দিতে ফ্লাই ঢাকা এয়ারলাইন্স এয়ারবাস অথবা বোয়িং এয়ারক্রাফট সংযোজন করতে চায়।
ফ্লাই ঢাকার মালিক জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ও ব্যবসায়ী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। তিনি বাংলাদেশ ফ্লাইং ক্লাবের সাবেক সভাপতি।
নতুন এই এয়ারলাইন্সটির বিষয়ে জানতে চাইলে ফ্লাই ঢাকার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মোল্লা ফজলে আকবর যুগান্তরকে বলেন, ‘কানেক্টিং ড্রিমস, ইউনিটিং ডেস্টিনেশনস’ স্বপ্নকে সামনে রেখে দুই বছর ধরে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে ফ্লাই ঢাকা এয়ারলাইন্সের কর্মীরা।
ফ্লাই ঢাকার পরিচালক ফ্লাইট অপারেশন (ডিএফও) ক্যাপ্টেন আব্দুল্লাহ। তিনি যুগান্তরকে বলেন, ইতোমধ্যে এয়ারলইন্সটির কেবিন ক্রু নিয়োগ চূড়ান্ত হয়ে গেছে। পাইলট নিয়োগও ৪০ শতাংশ হয়ে গেছে। তিনি আশা করছেন নভেম্বরের মধ্যে সব প্রক্রিয়া শেষ করে তারা অপারেশন শুরু করতে পারবেন। ফ্লাই ঢাকা চালু হলে দেশে পরিচালিত বেসরকারি এয়ারলাইন্সের সংখ্যা দাঁড়াবে চারটি। অন্য তিনটি এয়ারলাইন্স হলো নভো এয়ার, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ও এয়ার অ্যাস্ট্রা।