আরজি করকাণ্ডে গিটার বাজিয়ে প্রতিবাদ জানালেন তৃণমূলের নতুন সংসদ সদস্য ও অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর নেটিজেনদের কটাক্ষের শিকার হন এ অভিনেত্রী। তিনি ঢালিউডে জায়েদ খানের নায়িকা হিসেবে পরিচিত।

আনন্দবাজার অনলাইন সূত্রে জানা গেছে, আরজি করকাণ্ডে গিটার বাজিয়ে প্রতিবাদ জানালে নেটিজেনদের কটাক্ষের শিকার টালিউড অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, গিটার বাজিয়ে বা গান গেয়ে কি এর আগে কেউ প্রতিবাদ করেননি? ইতিহাসে অজস্র উদাহরণ রয়েছে। নতুন করে আমার ব্যাখ্যা দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।

আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে নিজের বিধানসভা কেন্দ্র বরাহনগরে ‘ধর্নামঞ্চ’ তৈরি করেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি সেখানে স্থানীয় নারীরা ‘আগুনের পরশমণি’ গানটি গেয়ে প্রতিবাদ করেন। সমবেত সংগীতে গিটার বাজিয়ে সঙ্গ দেন সায়ন্তিকা। নেটদুনিয়ায় সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই কটাক্ষের শিকার হন এ অভিনেত্রী।
সৎ উদ্দেশ্যে পদক্ষেপ অথচ ট্রোলিংয়ের শিকার হয়েছেন সায়ন্তিকা। এ ঘটনা তার মনে কোনো ছাপ ফেলেছে কিনা— এমন প্রশ্নের উত্তরে তৃণমূলের এ সংসদ সদস্য বলেন, একদম নয়। যারা ট্রোল করেছেন, তার মানে নিশ্চয়ই তারা আমাকে নিয়ে ভাবছেন— আমি এতেই খুশি।

সায়ন্তিকা গিটার বাজাতে পারেন। সামাজিকমাধ্যমে তিনি সেই ভিডিও শেয়ার করে থাকেন। অভিনেত্রী বলেন, আমি তো গিটার বাজাতে পারি। কী হয়েছে তাতে! ট্রোলারদের আরও বুদ্ধিমান হওয়া উচিত।

সামাজিকমাধ্যমে সায়ন্তিকার ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই সেই ভিডিও দিয়ে অজস্র মিম তৈরি হয়েছে। তৈরি হয়েছে নেটিজেদের পাল্টা কটাক্ষের ভিডিওও। সায়ন্তিকার মতে, সুবুদ্ধি থাকলে আসল ও নকলের মধ্যে পার্থক্য বোঝা কঠিন নয়। তাই সঠিক ভিডিও চিনে নিতে অসুবিধা হবে না। তিনি বলেন, ভিডিওর মধ্যে ‘রিমিক্স কাওয়ালি’ বা ‘ও ও জানে জানা’র মতো গান জুড়ে দিলেই তো সেটা সত্যি হয়ে যায় না! শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ ঠিকই বুঝবেন— কোনটা আসল আর কোনটা নকল।

বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত মানুষের প্রতিবাদের ভাষা আলাদা হতে পারে বলেই বিশ্বাস করেন এ অভিনেত্রী। তাই শিল্পী তার শিল্পের মাধ্যমে প্রতিবাদ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। সায়ন্তিকার বলেন, আমি তো একজন শিল্পী! তাই অন্য কোনো উপায়ে প্রতিবাদ না করে আমার শিল্পের মাধ্যমে প্রতিবাদ করেছি। তিনি বলেন, গিটার বাজিয়ে বা গান গেয়ে কি এর আগে কেউ প্রতিবাদ করেননি? ইতিহাসে অজস্র উদাহরণ রয়েছে। নতুন করে আমার ব্যাখ্যা দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।

তিনি আরও বলেন, যারা তাকে নিয়ে ট্রোলিংয়ের উদ্দেশ্যে নকল ভিডিও তৈরি করে ছড়িয়ে দিচ্ছেন, তাদের কোনো বার্তা দিতে নারাজ। এ অভিনেত্রী বলেন, অন্তত একটা প্রতিবাদী গানও ভিডিওতে দিতে পারতেন। ছোট ছোট ভুল করে ফেলছেন ট্রোলাররা। এ ধরনের মিম যে বিরোধী রাজনৈতিক শিবিরের আইটি সেল থেকে বেশি তৈরি করা হয়, সেই সম্ভাবনাও সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিলেন না সায়ন্তিকা।