ছেলেমেয়েকে ভালো স্পর্শ ও খারাপ স্পর্শের পার্থক্য শেখা জরুরি
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ৩১ আগস্ট ২০২৪, ০১:৪৮ পিএম
আরজি করকাণ্ডে চিকিৎসক পড়ুয়ার মৃত্যুর প্রতিবাদে রাজপথে আছেন বিনোদন জগতের অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। এ ঘটনার পেরিয়ে গেছে অনেক দিন। এতদিনেও কোনো সুরাহা না হওয়ায় টালিউড অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা বলেছেন, ছেলেমেয়েকে ‘ভালো স্পর্শ ও খারাপ স্পর্শের পার্থক্য শেখা জরুরি’।
আনন্দবাজার প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, আরজি করকাণ্ডে মৃত্যুর প্রতিবাদ জানিয়ে মাঠে আছেন বিনোদন জগতের অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। এ ঘটনার বেশ কিছু দিন পেরিয়ে গেলেও কোনো সুরাহা না হওয়ায় রাজপথে থাকার অঙ্গীকার করেছেন তারা। যদিও পুলিশ একজন অভিযুক্তকে আটক করেছে। কিন্তু তারপরও তদন্তে তেমন অগ্রগতি হয়েছে বলে মনে করছে না শহর কলকাতা। এ কদিন দফায় দফায় রাজপথে নেমেছেন মানুষ। রাজনীতিবিদ থেকে সাধারণ স্কুলপড়ুয়া ছাত্রসমাজও মিছিল করেছেন কলকাতার রাস্তায়। মোটামুটি সবাই মনে করছেন— তদন্তে যত দেরি হবে, বিচারে তত সমস্যা হবে। আশঙ্কা প্রকাশ করছেন, ন্যায়বিচার পেতে অসুবিধা হবে নির্যাতিত চিকিৎসক পড়ুয়ার পরিবারের।
আরজি করকাণ্ডে সমাজে নারীদের অবস্থান নিয়ে আলোচনা হচ্ছে বিভিন্ন মহলে। অনেকেই দাবি করছেন, ছোটবেলা থেকেই শিশুদের যৌন শিক্ষার পাঠ দেওয়া উচিত। এ বিষয়ে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কীভাবে ছেলেমেয়েকে ওই বিষয়ে সচেতন করা উচিত তা জানালেন তিনি।
ঋতুপর্ণা বলেন, স্কুলে এখন ভালো স্পর্শ ও খারাপ স্পর্শের পার্থক্য শেখানো হয়। প্রতিটা স্কুলেই কিন্তু এই শিক্ষাটা দেওয়া জরুরি। শুধু মেয়েদের ক্ষেত্রে নয়; ছেলেদেরও এই শিক্ষাটা দেওয়া উচিত। তিনি বলেন, যে পরিস্থিতির মধ্যে আমরা দাঁড়িয়ে, ছেলেদেরও বোঝানো উচিত— তাদের কীভাবে চলা উচিত। সম্মানের সঙ্গে বাঁচতে হলে কী কী করা উচিত আর কী করা উচিত নয়, তা এখনো বলা না হলে অনেকটা দেরি হয়ে যাবে বলে মনে করেন এ অভিনেত্রী।
ঋতুপর্ণা বলেন, ছেলেদের শেখাতে হবে, নারীদের সঙ্গে কেমন আচরণ করা উচিত। তিনি বলেন, ছেলেদের বোঝানো উচিত, তারা যেন সীমা অতিক্রম না করে। ওদের শেখাতে হবে— নারীদের কীভাবে সম্মান করতে হয়, কোন চোখে দেখা উচিত। ছেলেমেয়ে নির্বিশেষে কারও কখনো সীমা অতিক্রম করা উচিত নয়।
মেয়ে ঋষণাকেও সব সময়ে সচেতন থাকার পরামর্শ দেন ঋতুপর্ণা। অভিনেত্রী বলেন, বয়স দেখে তো অঘটন আসে না এখন। পাঁচ বছরের শিশুকন্যা বা ৭০ বছরের বৃদ্ধা— কারও কোনো নিরাপত্তা নেই। তাই নির্দিষ্ট বয়সে পৌঁছলে মেয়েকে সচেতন করব— এমন নয়। জ্ঞান হওয়ার পর থেকেই তাকে এ বিষয়গুলো নিয়ে সচেতন করা প্রয়োজন। কারণ বয়স নির্বিশেষেই অঘটন ঘটতে থাকছে। দুবছরের বাচ্চাকে দেখেও যৌন আকাঙ্ক্ষা হয়? এসব ভেবেই আমি হয়রান হয়ে যাই। মানুষের মানসিকতা কতটা বিকৃত হলে এটি সম্ভব! সমাজটাই কতটা বিকৃত হয়ে গেছে।