প্রতি বছর ধুমধাম করে জগন্নাথদেবের আরাধনায় মাতেন ঢালিউড অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। আর পাঁচজনের মতোই উদযাপনে মেতে থাকেন তারা। আর তাদের উৎসব ছড়িয়ে পড়ে সামাজিকমাধ্যমেও। অভিনেতা-অভিনেত্রীরা রথ দেখা আর পাঁপড় খাওয়ায় ব্যস্ত থাকেন। নিজেদের হাতে রান্না করে দেবতাকে নিবেদন করেন। সুন্দর করে নিজেরাও সাজগোজ করেন। আরাধ্য দেবতাকেও সাজান। এ বছর কীভাবে উদযাপনে মাতলেন শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়, রুক্মিণী মৈত্র, শ্রীময়ী চট্টরাজ, মনামী ঘোষ, স্বস্তিকা দত্ত, শ্রুতি দাসের মতো জনপ্রিয় নায়িকারা।
আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতি বছরের মতো এবারও ধুমধাম করে জগন্নাথদেবের আরাধনায় মাতেন রাজ চক্রবর্তী ও শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। বাড়িতে প্রতিষ্ঠিত দেবতাকে ফুল দিয়ে সাজিয়েছেন তারা। সংকীর্তনের আয়োজন থাকে, আর থাকে ভোগ নিবেদন। এ বছর শুভশ্রী সামাজিকমাধ্যম ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে বলেছেন, ঠাকুর ঘরে বিধি মেনে দেবতার আরাধনা সেরেছেন তিনি। জগন্নাথ, বলভদ্র, সুভদ্রাকে ফুল, মালা ও নতুন পোশাকে সাজিয়ে পুজা করেছেন তিনি।
‘বুমেরাং’ ছবির নায়িকা এ দিন ‘নিশা’র সাজে আত্মপ্রকাশ করেননি। সাবেকি সাজে সেজেছিলেন— সোনালি সিফন শাড়িতে ঝলমলে রুক্মিণী মৈত্র। হাতখোঁপায় জুঁইয়ের মালা আর গলাতেও তাই-ই। গায়ে উত্তরীয় জড়ানো ছিল। এই সাজে তিনি উপস্থিত রথযাত্রায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। রথের রশিতে টান দিয়ে তিনি মমতা সঙ্গে পোজ দেন ফটোসাংবাদিকদের সামনে। তিনি বলেন, আমি বড় হয়েছি মায়াপুর ইস্কনে। আমার নাম শ্রীকৃষ্ণের স্ত্রী রুক্মিণীর নামে। ছোট থেকে সপরিবার ইস্কনের আজীবন সদস্য।
একই আয়োজন ছিল নবদম্পিতর ঘরেও। কাঞ্চন মল্লিক-শ্রীময়ী চট্টরাজও রথে দেবতার মূর্তি দেখা গেছে। সদ্য মালদ্বীপ থেকে মধুচন্দ্রিমা সেরে ফিরেছেন তারা। নিজেদের মতো করে পুজার আয়োজন করেছিলেন বাড়িতে। ছোট্ট একতলা রথে তিন দেবতার মূর্তি। আলোয়, মালায় সাজিয়ে ফল-মিষ্টি নিবেদন করেছেন তারা। পরিবারের সঙ্গে সেই রথও টেনেছেন তারা। শ্রীময়ী বলেছেন, পুজার সব আয়োজন কাঞ্চন নিজের হাতে করেছে। ঠাকুর, রথ— সব নিজে সাজিয়েছে। রান্না করেছে মা।
এদিকে অভিনেত্রী স্বস্তিকা দত্তের কাছে জগন্নাথদেব গোপালের আরেক রূপ। তাই ফুল-মালায় সাজিয়ে দেবতাকে তিনি চকোলেট নিবেদন করেছেন। যে কোনো পুজাতেই অংশ নেন স্বস্তিকা। তাই রথযাত্রাও বাদ পড়েনি। তার ওপর এ দিনটি ‘চকোলেট ডে’। সে উদযাপন থেকে দেবতাই বা বাদ পড়বেন কেন? একইভাবে পুজার আয়োজন করেছিলেন শ্রুতি দাসও। ধুপধুনোয় ঠাকুরঘর ফুল-মালা দিয়ে মাতিয়ে রাখেন তিনি। ভোগ হিসেবে ছিল ফল-মিষ্টি।
নিজের হাতে পুজা করেছেন মনামী ঘোষও। লাল শাড়িতে সুন্দরী নায়িকা দেবতাকে ভোগ নিবেদন করেছেন। ভোগ রান্নায় মনামীর মা সহযোগিতা করেছিলেন তাকে। নায়িকা তার পর জগন্নাথদেবের আরাধনায় ব্রতী।