ছোটপর্দার ললিতা হিসেবে পথচলা শুরু। এরপর লক্ষ্মীমন্ত বউ থেকে বং ক্রাশ হয়ে ওঠেন ঋতাভরী চক্রবর্তী। বাবা, উপলেন্দুর সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নেই ছোট থেকেই। মা শতরূপা বড় করেছেন দুই মেয়েকে। আজ ৩২-এ পা দিলেন ঋতাভরী। জীবনটা ফাটাফাটি ভাবে বাঁচতে জানেন অভিনেত্রী।
প্রকাশ্যে যৌনতা নিয়ে কথা বলতেও কোনো রকম কুণ্ঠা নেই তার। সেক্স শব্দটা আজও ভারতীয় সমাজে ট্যাবু হিসেবেই গণ্য করা হয়। কিন্তু স্রোতের উলটো পথে হাঁটতেই ভালোবাসেন তিনি। একবার নুসরত জাহান সঞ্চালিত এক চ্যাট শো-তে উপস্থিত হয়েছিলেন ঋতাভরী। সেখানেই সেক্স নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন নায়িকা।
তার কথায়, ‘আমার মতে শরীরের খিদেটাও মনের খিদে। কারওকে ভেতর থেকে এতটা চাইছি যে নিজের সঙ্গে এক করে নিতেও কোনো দ্বিধা থাকছে না।’ নিজেকে 'স্যাপিওসেক্সুয়াল' বলে উল্লেখ করেন ঋতাভরী। অর্থাৎ পুরুষের বুদ্ধিদীপ্তার প্রতি আকৃষ্ট হন তিনি।
ঋতাভরীর কাছে নুসরাত প্রশ্ন করেন, ‘সবচেয়ে অদ্ভূত কোন জায়গায় সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছো?’ হাসতে হাসতে নায়িকা বলেন, ‘রান্নাঘরে…তবে নিজের বাড়ির কিচেন নয় অন্যের বাড়ির’।
অভিনেত্রীর এমন উত্তর শুনে চমকে ওঠেন নুসরাত। পাল্টা জিজ্ঞেস করেন, ‘সব জিনিসগুলো ঠিকঠাক ছিল?’ মাথায় হাত রেখে ঋতাভরীর জবাব- ‘একদম নয়’। আবারও হেসে ওঠেন দুজনেই।
পুরুষতান্ত্রিক সমাজে আজও মেয়েদের নিয়ে কাঁটাছেড়া করার প্রবণতা বন্ধ হয়নি, তা ভালোভাবেই জানেন ঋতাভরী। তিনি বলেন, ‘একটা ছেলের একাধিক বান্ধবী থাকলে সেটা নিয়ে সমস্যা হয়না। কিন্তু একজন মেয়ের একাধিক প্রেমিক থাকলে তাকে আজেবাজে তকমা দেওয়া হয়।’
একটা সময় মনোবিদ তথাগতর চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে নিজের সম্পর্কে সিলমোহর দিয়েছিলেন ঋতাভরী। ২০২২ সালে তাদের বিয়ের কথাও পাকা ছিল। আংটি বদলের পর লিভ ইনে থাকার কথাও জানিয়েছিলেন নায়িকা। তবে আচমকাই দূরত্ব তৈরি হয় দুজনের। যদিও গত বছর লক্ষ্মীপুজায় ফের কাছাকাছি দেখা যায় তাদের। গত মার্চে তথাগতর জন্মদিনে আদুরে শুভেচ্ছাও জানান ঋতাভরী। জল্পনা, ভাঙা সম্পর্ক জোড়া লেগেছে। তবে তথাগতর সঙ্গে নিজের সম্পর্ক নিয়ে আপতত একটা শব্দও খরচ করতে চান না অভিনেত্রী। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।