Logo
Logo
×

উপসম্পাদকীয়

প্রতিকূলতার মধ্যে দূরে তাকানো ভাষণ

Icon

হাসান মামুন

প্রকাশ: ২৭ আগস্ট ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

প্রতিকূলতার মধ্যে দূরে তাকানো ভাষণ

ছবি সংগৃহীত

সরকার পরিবর্তন হলেই আশায় বুক বাঁধেন অনেকে। পেশাগতভাবেও কিছু দাবি আদায়ের প্রয়াস দানা বেঁধে ওঠে। এতে শৃঙ্খলা ভঙ্গের প্রবণতাও দেখা যায়। অতীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলেও এমনটা দেখেছি। দলীয় রাজনৈতিক সরকারের আমলে গুরুত্ব না পেয়ে অনেকে হয়তো ভাবেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বেশি সহানুভূতিশীল হবে। তবে এবার যে সরকার এসেছে, সেটি ‘তত্ত্বাবধায়ক’ নয়। এটি গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভাষায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা তাদের ‘প্রাথমিক নিয়োগদাতা’। সরকারটি সেনাসমর্থিতও বটে। আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে সেনাবাহিনীর দায়িত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। তাতে নজিরবিহীন রক্তক্ষয়ী এ আন্দোলনের বিজয় অর্জন কিছুটা সহজ হয় শেষদিকে। তবে এ প্রেক্ষাপটে গঠিত সরকারকে শুরু থেকেই যেভাবে বিভিন্ন গোষ্ঠীর দাবিদাওয়ার মুখে পড়তে হলো, তা দুর্ভাগ্যজনক। দাবিগুলোর বেশির ভাগই হয়তো ন্যায়সংগত। তবে এমন তো নয়, এসব দাবি পূরণই সরকারের প্রাথমিক কাজ; বাকিটা পরে!

দেশের একাংশে এ মুহূর্তে নজিরবিহীন বন্যা চলছে। তাতে প্রাণহানি কম হলেও সম্পদহানি বিরাট। বন্যা-পরবর্তী পুনর্বাসন কাজও মাত্রই দায়িত্বে আসা সরকারের জন্য কঠিন। তার বাজেট সীমাবদ্ধতাও আছে। এ অবস্থায় অবশ্য বন্যা-ত্রাণে নজিরবিহীন জাতীয় জাগরণের সৃষ্টি হয়েছে। অন্যান্য দিক থেকেও সহায়তার আয়োজন চলছে। এমন একটা সময়ে প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে আনসার বাহিনীর কয়েক হাজার ‘অঙ্গীভূত’ সদস্য যে পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছিল, তা দুর্ভাগ্যজনক। বিস্তারিত বর্ণনার প্রয়োজন এখানে নেই। দেশের কোথায় কী ঘটছে, সেটা সচেতন মানুষমাত্রই জানেন। তারা এটাও জানেন, সেদিন রাতে শেষতক কীভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।

পুলিশ যেহেতু পুরোপুরি সক্রিয় হয়নি এখনো; তাই সেনাবাহিনী দিয়ে আগেই আনসার সদস্যদের ওখান থেকে উঠিয়ে দেওয়া উচিত ছিল বলে মনে করি। তাদের দাবিদাওয়া যে শোনা হয়নি, তা তো নয়। প্রধানত চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনরতদের প্রতিনিধিরা সচিবালয়ে গিয়ে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে। একটি দাবি তাৎক্ষণিকভাবে মেনে নিয়ে তাদের ‘চাকরি নিয়মিতকরণের’ সিদ্ধান্তও হয় ওখানে। বাকি দাবি খতিয়ে দেখে সাতদিনের মধ্যে সরকারের কাছে রিপোর্ট পেশের সিদ্ধান্তও হয়। তাদের প্রতিনিধি সচিবালয়ে অবস্থান ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণাও দেন। তারা কার্যত সচিবালয়ের সব গেটে অবস্থান নিয়ে সবাইকে অবরুদ্ধ করে ফেলেছিলেন। কাউকে ঢুকতেও দিচ্ছিলেন না। কোনো রাজনৈতিক সরকারের আমলে এমনটা করার কল্পনাও সম্ভবত তারা করতে পারতেন না।

যা হোক, একটি বড় দাবি মেনে নেওয়া এবং সমঝোতা হওয়ার পরও তারা সেখান থেকে সরেননি। রাতেও সেখানে থাকার ঘোষণা দেন। এ অবস্থায় কাছেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের ডাকে হাজার হাজার ছাত্র চলে আসে সচিবালয় অবরুদ্ধ করা লোকজনকে হটিয়ে দিতে। এ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। তবে দেশে যেহেতু একটা বিশেষ পরিস্থিতি চলছে; এ অবস্থায় সেটাকে ওই প্রেক্ষাপটেও বিচার করতে হবে। সাধারণভাবে এটা রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলা বাহিনীর কাজ। কিন্তু পুলিশ কোন পরিস্থিতিতে সক্রিয়ভাবে কাজ এখনো করছে না, সেটা আমরা জানি।

সেজন্যই পুলিশের কাজে সেনাসদস্যদের ডাক পড়ছে। তারাও বিতর্ক এড়িয়ে যথাসাধ্য ভূমিকা রাখতে সচেষ্ট। দেরিতে হলেও তাদের ওখানে কার্যকর ভূমিকা রাখতে আমরা দেখেছি। সচিবালয় অবরুদ্ধ করে রাখা আনসার সদস্যদের একটা অংশকে আটক করা হয়েছে। অন্যদের পালিয়ে যেতে দিয়েছে ছাত্ররাই।

আনসারের পোশাক পরে তাদের পলায়নের দৃশ্যটি দুঃখজনক। নির্ভেজাল দাবি নিয়েই হয়তো তাদের সিংহভাগ ওইদিন এসে জড়ো হয়েছিলেন। কিন্তু সবকিছু দেখে ও জেনে মনে হচ্ছে, কোনো মহল এদের উসকিয়েও থাকতে পারে। এরকম ঘটনায় নানা অভিযোগ ওঠে স্বভাবতই। সেগুলো এখন খতিয়ে দেখতে হবে। এটা হয়ে গেল সরকারের বাড়তি কাজ। এতে ‘গোয়েন্দা ব্যর্থতার’ অভিযোগও কেউ কেউ তুলছেন।

মাত্র তো একটি অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়েছে চরম অরাজক পরিস্থিতির মাঝে। এ অবস্থায় তার নানারকম ব্যর্থতা থাকতেই পারে। সেগুলো ‘অ্যাড্রেস’ করতে দেরি করাও চলবে না। ছাত্রদের সঙ্গে সংঘর্ষ চলাকালে আনসারদের ভেতর থেকে গুলি ছোড়ার অভিযোগও উঠেছে। তাদের মধ্যে ঢুকে কোনো মহল এসব ঘটিয়েছে কি না, সেটাও খতিয়ে দেখা জরুরি। তবে সবকিছুর পরও অঙ্গীভূত আনসারদের দাবি ন্যায্য হলে সে অনুযায়ী কাজ করতে সরকার যেন বাধা অনুভব না করে। ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ফেসবুকে অনেক দাবিই উঠবে। সেটা দ্বারা পরিচালিত হওয়ার সুযোগ নেই। তবে ৫০ হাজারেরও বেশি অঙ্গীভূত আনসারের ‘চাকরি জাতীয়করণ’ চাট্টিখানি কথা নয়। রাজস্ব বাজেট থেকে তাদের পেছনে খরচ তাহলে বেড়ে যাবে।

হাসিনা সরকার যে বাজেট দিয়ে গেছে, সেটা তো ছোট করে ফেলতে হবে এখন। আগের সরকার থাকলেও এটা তারা বাস্তবায়ন করতে পারবেন না বলে তখনই কথাবার্তা হয়েছিল। যা হোক, নতুন পরিস্থিতিতে সরকারকে রাজস্ব বাজেটও কমাতে হবে। এটা বাড়ানোর কোনো সুযোগ অন্তত নেই। এ অবস্থায় কীভাবে কী করা হবে, সেটা জটিল প্রশ্ন। একটি গোষ্ঠীর দাবি বিশেষ সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করলে তাতে আবার অন্যান্য গোষ্ঠী উৎসাহিত হবে।

তখন দেখা যাবে, সরকারকে এসব করতেই হয়রান হতে হচ্ছে। কিন্তু ড. ইউনূস নেতৃত্বাধীন সরকারটি তো এসব করতে আসেনি। তারা এসেছে স্বৈরাচারী ব্যবস্থার সংস্কার করে এমন পরিস্থিতি তৈরি করতে, যার ভেতর দিয়ে গণতন্ত্র ও সুশাসন আসবে। দায়িত্ব গ্রহণের কিছুদিনের মধ্যেই তাই সরকারের উচিত ছিল সোজা বলে দেওয়া যে, তারা কী করতে এসেছেন এবং কী কী কাজে হাত দেবেন না। এটাও ঠিক, এক নজিরবিহীন পরিস্থিতিতে দায়িত্ব নিয়েছেন তারা।

আগে থেকে অনেক কিছু অনুমান করা তো সম্ভব নয়। আর সরকারের বাইরে থেকে উপদেশ দেওয়া সহজ। যে দেশে বিতাড়িত সরকারের সঙ্গে পুলিশও লাপাত্তা হয়ে যায়, সেখানে সুষ্ঠুভাবে সরকার পরিচালনা তো কঠিন। স্বাভাবিক পরিস্থিতি থাকলে ওইদিন পুলিশই এসে অঙ্গীভূত কয়েক হাজার আনসার সদস্যকে সচিবালয়ের গেট থেকে তুলে দিত। তারা হয়তো এতটা করার সাহসও পেত না।

সচিবালয়ে ওই পরিস্থিতি চলাকালে প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন বলে খবর প্রচার হলে কিছুটা উদ্বেগও ছড়ায় অনেকের মনে। অবশ্য দেখা গেল, তিনি অনেক বিষয়েই কথা বললেন। এটা তো ঠিক, প্রান্তিক দাবিদাওয়া আদায়ে রাস্তায় নেমে চাপ সৃষ্টির বিষয়ে খোদ প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ দেওয়ার কথা নয়। এসব ইস্যু ‘অ্যাড্রেস’ করতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাই যথেষ্ট। তবে ভাষণের একপর্যায়ে তিনি বিভিন্ন গোষ্ঠীর দাবি আদায়ের চেষ্টা নিয়েও কথা বলেছেন।

দীর্ঘদিন ধরে নানারকম ‘দুঃখ-কষ্ট’ যে জমা হয়েছে, সেটা সহানুভূতির সঙ্গেই উল্লেখ করেছেন ড. ইউনূস। কিন্তু চটজলদি সেটা আদায়ে তারা যদি গুরুত্বপূর্ণ পথঘাট বন্ধ করে দেন, তাহলে একটা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কাজ করবে কীভাবে? এ প্রশ্ন তিনি সংগতভাবেই তুলেছেন। নিজ কার্যালয়ের পাশাপাশি সচিবালয়ের নাম উল্লেখ করায় বোঝা যায়, তিনি আনসারদের অবরোধ কর্মসূচির বিষয়টিও বোঝাতে চাইছিলেন।

এ ভাষণ প্রচারের পরও আনসার সদস্যরা কোনো সাড়া না দেওয়ার ঘটনাকে কিন্তু হালকাভাবে নেওয়া যায় না। ওখানে দায়িত্ব পালনরত সেনাসদস্যদের কারও কারও ওপরও তারা হামলা করেছে বলে জানা গেল। এগুলো নিছক ঘটনাতাড়িত না পরিকল্পিতভাবে ঘটনা বাড়ানোর চেষ্টা, সেটাও খতিয়ে দেখা জরুরি। কারও গায়ে রং চড়ানোর দরকার নেই; তবে ঘটনা খতিয়েও দেখতে হবে। হাসিনা সরকারের পতন যেভাবে হয়েছে, সেটা তাদের নির্বিবাদে মেনে নেওয়ার কারণ তো নেই।

তাদের ভেতর থেকে ‘অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির’ নানারকম প্রয়াস থাকবে। সরকারকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। যে ছাত্রসমাজের আন্দোলনের ভেতর দিয়ে তারা এসেছেন, তাদেরও সদাসতর্ক থাকা চাই। অতি-উৎসাহও কাম্য নয়। সেনাবাহিনীরও আরও জোরালো ভূমিকা প্রয়োজন, যাতে সরকার পরিপূর্ণভাবে প্রশাসন চালানোর সুযোগ পায়।

সচিবালয়ের ঘটনার পর সেখানেসহ কিছু স্পর্শকাতর স্থানে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এমন সিদ্ধান্ত আরও আগেই আসতে পারত। কেননা দেখা যাচ্ছিল, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের আশপাশে নিয়মিতভাবে ‘দাবিদাওয়া আদায়কারীরা’ সমাবেশ করছিলেন। ড. ইউনূস এনজিও করে আসা মানুষ। সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করে কাজ করতেই অভ্যস্ত। তিনিই হয়তো এ ব্যাপারে কঠোর না হতে বলেছিলেন প্রশাসনকে।

কিন্তু সরকার পরিচালনা তো সহজ নয়। নজিরবিহীন গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সরকার পরিচালনা আরও কঠিন। সরকারকে শেষতক কঠোর হতেই হচ্ছে। এটা যে একটা পরিপূর্ণ সরকার, তা সংশ্লিষ্ট সবাইকে বুঝিয়ে দিতে হবে বৈকি। স্বাভাবিক পথে না এলেও এ সরকারের যে বিরাট জনভিত্তি রয়েছে এবং তার পেছনে আছে অসাধারণ প্রত্যাশা, এর জোর কি কম? সেটা অবশ্যই প্রকাশ পেতে হবে সরকারের কাজকর্মে। তবে ড. ইউনূসসহ উপদেষ্টা পরিষদের সবার বক্তব্য আবার হতে হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক। এ ধারায় অবশ্য শুরু থেকেই বক্তব্য দিয়ে আসছেন ড. ইউনূস। দূরে তাকিয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন তিনি।

রোববার দেওয়া ভাষণেও প্রকাশ পেয়েছে তার সেই দৃষ্টিভঙ্গি। অনুরোধের সুরে কঠোর বার্তা তিনি দিয়েছেন প্রান্তিক দাবি নিয়ে আন্দোলনকারীদের। হাসিনা সরকারের রেখে যাওয়া বাস্তবতায় কী কী করতে তারা এসেছেন, এর তালিকাও দিয়েছেন। এর সঙ্গে কেউ দ্বিমত করবেন বলে মনে হয় না। হয়তো তালিকা আরও বড় করতে চাইবেন কেউ কেউ। এ অবস্থায় ‘নিুতম’ কাজ কী, সেটা জানতে চেয়েছেন তিনি। জনগণের কাছেই জানতে চাওয়া হয়েছে। আর সরকার কতদিন থাকবে, সেটাও ছেড়ে দিয়েছেন ‘রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের’ ওপর।

এ নিয়ে রাজনৈতিক দল ও পক্ষগুলোর মধ্যে ‘আলোচনা’ হোক, সেটাই তিনি চান। এটা অস্বাভাবিকও নয়। কেননা দেশ রয়েছে একটা নজিরবিহীন পরিস্থিতিতে। এখন অনেক কিছুই নজিরবিহীন। নইলে কয়েক হাজার অঙ্গীভূত আনসার সদস্য প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র অবরুদ্ধ করে রাখে? একদল এইচএসসি পরীক্ষার্থী সচিবালয়ে ঢুকে গোলযোগ করে এমন দাবি আদায় করে নেয়, যার সঙ্গে সিংহভাগ মেধাবী ছাত্রছাত্রী একমত নয়! এমন উদাহরণ দেখেও আনসার সদস্যরা হয়তো উৎসাহিত হয়েছে। রাতারাতি চাকরি জাতীয়করণের দাবি আদায়ে দলবেঁধে চলে এসেছে সচিবালয়ে।

তবে এর সবই হলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মূল্যবান অভিজ্ঞতা। আশা করা যায়, নজিরবিহীন বন্যা মোকাবিলা করেও তারা শক্তিশালী হবেন। সরকারের কাজ নিয়ে সামনের দিনগুলোয় হবে আরও বিতর্ক। আলাদা করেই লিখতে হবে নিবন্ধ। অনেক টকশো হবে। চট করে কিছু বুঝে ফেলার সুযোগ এখানে নেই। বাজারে নানা কথা রয়েছে হাসিনা সরকার পতনের সময় থেকে। রাজনীতিসচেতন সব মহলকে তাই চোখ-কান খোলা রেখেই এগোতে হবে। শত-সহস্র মানুষের রক্তের বিনিময়ে যে অসাধারণ সুযোগ আমরা পেয়েছি, এর সুফল যতটা সম্ভব নিতে হবে। এজন্য রাজনীতিসচেতন ব্যক্তিবিশেষেরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের প্রয়োজন রয়েছে।

হাসান মামুন : সাংবাদিক, বিশ্লেষক

Jamuna Electronics
wholesaleclub

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম