প্রকৃত ধার্মিক বলতে কী বোঝায়
ড. হাসনান আহমেদ
প্রকাশ: ০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
পবিত্র রমজান মাস চলছে। প্রত্যেক মুসলিম পরিবারে এ মাসে ধার্মিকতার আধিক্য আমরা প্রতিবছর দেখি। অনেকে সাধ্যমতো দান-খয়রাত করেন। সামর্থ্যবান অনেকেই এ মাসে ওমরাহ পালন করেন। অনেক সওয়াব হাসিল করাই তাদের মূল উদ্দেশ্য। একজন মুসলমান তার সৃষ্টিকর্তার কাছে পুরো আত্মসমর্পণ করেছে, এটি ভেবে মনটা আনন্দে ভরে ওঠে।
দেশে বসেও সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে যে কোনো ধরনের ভালো কাজ (সৎকর্ম) দেশ, সমাজ ও মানুষের জন্য নিঃসন্দেহে কল্যাণকর। ইবাদত বলতে তো শুধু রোজা রাখা, ওমরাহ পালন, তারাবির নামাজ পড়া বোঝায় না, দুনিয়াদারির সব কাজ ও পেশা ভালোভাবে নির্দেশিত পথে চালিয়ে জীবনকর্ম নির্বাহকেও বোঝায়। ব্যবহারিক অর্থে ধার্মিকতা হচ্ছে আল্লাহভীতি, সত্যের প্রতি সচেতনতা ইত্যাদি। অন্যভাবে সর্বাবস্থায় আল্লাহকে ভয় করে বেঁচে থাকা ও তাঁর হুকুম মেনে চলাই হলো তাকওয়া (আল্লাহ-সচেতনতা)।
আবার সব ধরনের অন্যায় থেকে নিজেকে রক্ষা করে আল্লাহর নির্দেশনা অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করাই তাকওয়া। সম্মানিত মৌলবি-মাওলানাদের কাছে রোজার মাসে ‘শয়তান নাকি বাঁধা থাকে’ বলতেও শুনেছি। কখনো মনে কোনো কোনো ঘটনায় খটকা লাগে, বাঁধা থাকা অবস্থায়ই যদি কপটচারীদের এ অবস্থা হয়, তাহলে অন্য এগারো মাসের অবস্থা কী?
এ মাসেও ফিলিস্তিনের মুসলমানদের পৃথিবীর মানচিত্র থেকে চিরতরে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। এমনকি অধিকাংশ মুসলমান রাষ্ট্রনায়কও গদি রক্ষার তাগিদে মুখে কার্যত কুলুপ এঁটে বসে থাকছেন। কোনো কোনো নেতা মেপে মেপে কথা বলছেন, কপটচারিতা করছেন, তারাও তো নিজেদের মুসলমান বলে দাবি করেন। আমাদের দেশের মৌলবি-মাওলানাদের কাছ থেকে এদেশের মুসলমানদের ধার্মিকতার বিষয়ে অনেক মূল্যবান পথনির্দেশক বক্তব্য ও চিন্তাভাবনা আশা করি। কিন্তু বিধি বাম।
তাদের ওয়াজ-নসিহতের বিষয়বস্তু পালটে গেছে। ধার্মিকতা বলতে আমি নিরাশ হয়ে নিজেই দু-চার কথা না লিখে গত্যন্তর থাকছে না। একটা কথা প্রথমেই বলে রাখা ভালো, এদেশের মৌলবি-মাওলানাদের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব ও অতি ক্ষুদ্র বিষয় নিয়ে অন্তর্বিরোধ ও বিভক্তি, অনেকের ধর্ম বিক্রি করার ব্যবসায়িক মনোবৃত্তি, রাজনৈতিক দলের চাটুকারিতা আমাকে ভীষণভাবে আহত করে।
এতে মুসলমানরা মুসলমানিত্ব থেকে ক্রমেই দূরে সরে যাচ্ছে। প্রকৃত মুসলমানদের জন্য সুস্থ চিন্তাধারাসহ দেশের আইন মেনে চলা আপনাআপনি পালিত হয়ে যায়। আমাদের মতো দেশে শুধু আইন প্রয়োগ করে মানুষকে অন্যায় পথ থেকে বিরত রাখা বাস্তবতার নিরিখে সত্যিই কঠিন। আমরা পদে পদে এর প্রমাণ পাচ্ছি। সামাজিক ও ব্যক্তির সুখ-শান্তি ভীষণভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। প্রতিবছরের রোজা মুসলমানদের জন্য আত্মত্যাগ ও সঠিক পথে চলার একটা ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ। বাস্তবতা হচ্ছে, পুরো মাস প্রশিক্ষণ শেষে যা ছিলাম তা-ই থেকে যাচ্ছি, প্রশিক্ষণ ফলপ্রসূ হচ্ছে না।
তেমনিভাবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে নামাজও ফলদায়ক হচ্ছে না। আজীবন নামাজ পড়ছি, আবার নামাজ থেকে উঠেই অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে যাচ্ছি, সব ধরনের মিথ্যা ও দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে ক্ষমতা ও অর্থ-সম্পদকে প্রাধান্য দিয়ে সমাজ ও রাষ্ট্রকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিচ্ছি। আইনের শাসনহীনতা ঘাড়ের ওপর বিষফোড়া হিসাবে দেখা দিয়েছে।
যদিও নামাজের প্রতি রাকাতে আল্লাহর কাছে কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা করছি, ‘আমরা শুধু আপনারই দাসত্ব করি (আমরা শুধু আপনার দাসত্বের শর্ত পূরণ করে জীবন পরিচালনা করি) এবং শুধু আপনারই কাছে সাহায্য চাই। আমাদের স্থায়ীভাবে সঠিক পথপ্রদর্শন করুন। তাদের পথে, যাদের আপনি অনুগ্রহ দান করেছেন। তাদের, (পথ ব্যতীত) যাদের ওপর (আপনার) গজব পড়েছে এবং তাদেরও (পথ) নয়, যারা পথভ্রষ্ট (হয়েছে)’ (সূরা আল ফাতিহা; ১:৫-৭)।
সুস্থ মন নিয়ে বুঝে প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহা পড়ে সেই মতো দুনিয়াদারি করলেই তো জীবনে সব অন্যায়-অবিচার, কপটচারিতা, হিংসা-বিদ্বেষ, স্বার্থান্ধতা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আমরা অধিকাংশ মুসলমান না বুঝে, নামাজে বলা কথা না পালন করে নামাজকে গতানুগতিক ইবাদত তৈরি করে ফেলেছি, যা দুনিয়াদারির কোনো ভালো কাজে প্রভাব বিস্তার করতে পারছে না। খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখতেও পারছে না। আফসোস!
আমি মুসলমানিত্বকে কোনো সাজসজ্জা, লেবাস ও লৌকিকতার মধ্যে সীমাবদ্ধ করতে চাই না। মুসলমানিত্ব সারা জীবনের চিন্তা-চেতনা ও কাজের বৈশিষ্ট্য এবং জীবন পরিচালনার সুনির্দিষ্ট পথধারা, যা কপটচারিতার সম্পূর্ণ বিপরীত, যা ইহকাল ও পরকালের কল্যাণ করে। আজকের লেখায় বেশি ভনিতা না করে চলতি বাস্তবতা অল্প করে লিখছি। এদেশে কপটাচারী যতই মুখের জোর দেখাক না কেন, মনে মনে সে দুর্বল। সত্যের পথ চিরদিনই শক্তিশালী। তবে এদেশে সত্যের পথে টিকে থাকা অনেক শক্ত কাজ, কখনো পিঠে বস্তা বেঁধে রাখতে হয়, নইলে কপটচারীরা পিঠের চামড়া উঠিয়ে ফেলে।
একথা বলছি এ কারণে যে, আমার দেখায় এদেশ থেকে সত্য প্রায় অপসৃত-কোণঠাসা, মিথ্যার জয়জয়কার, মানসিক শান্তির পরিবেশ তলানিতে ঠেকেছে, ধার্মিকতা অনেকটাই আনুষ্ঠানিকতায় ভরা, চোরের মার বড় গলা সর্বত্র, রাজনৈতিক মানসিকতার বিপর্যয় ও সোশ্যাল মিডিয়ার লাগামহীন স্বাধীনতাসহ মনুষ্যত্বহীন সার্টিফিকেটসর্বস্ব শিক্ষা আমাদের এ পর্যায়ে নিয়ে গেছে। গায়কও গেয়ে চলেছেন, ‘মুখ দেখে ভুল করো না মুখটা তো নয় মনের আয়না, মানুষের ভিতরের খবর তো কেউ পায় না, সাধু আর শয়তানে রে ভাই দুনিয়ায় চলেছে লড়াই, কে সাধু কে শয়তান কিছুই বলা যায় না...।’
ছোট্ট দুটো উদাহরণ দিচ্ছি, যা এদেশের বৃহত্তর অপকর্মের ক্ষেত্রেও সমভাবে প্রয়োগযোগ্য। গত সপ্তাহে ইফতার বাজারে গেলাম ইফতার কিনতে। দোকানের সামনে চরম ভিড়। একজন হঠাৎ বলে উঠল ‘পকেটমার’। মানুষ ধর ধর করে উঠল। অমনি টুপি মাথায় পাঞ্জাবি পরা এক লোক ভিড় ঠেলে দৌড়ে পালাতে লাগল। পিছু পিছু তিনজন ধর ধর বলে ধাওয়া করল। পকেটমার তো পগার-পার। যারা ধর ধর করে পিছু ধাওয়া করল, তারাও আর ফিরে এলো না; তারাও যে পকেটমারের সাঙ্গপাঙ্গ নয়, এটা বুঝব কীভাবে! আমরা ভালো মানুষের প্রতিও বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছি।
কপটচারীর সংখ্যা বেশি বলেই হয়তো এরকম হচ্ছে। এতে প্রকৃত ভালো মানুষ পদে পদে অসম্মানিত হচ্ছে। কপটচারীরাও অবস্থাভেদে পার পেয়ে যাচ্ছে। টঙ্গির ইজতেমার ময়দানে টুপি-পাঞ্জাবি পরা এ রকম জোচ্চর তো প্রতিবছরই কিছু ধরা পড়ে পত্রিকার শিরোনাম হয়। একটা দেশে ভালো-খারাপ লোক মিলেই বসবাস করবে এটাই স্বাভাবিক। খারাপ লাগে অন্য জায়গায়। কেউ খারাপ কাজ করলে করুক, কিন্তু ধর্মের নামে ও মুসল্লি সেজে করবে কেন? এরই নাম কি কপটচারিতা? কপটচারিতা
মানে ধূর্ত, মিথ্যাচারী, ঠক, ছদ্মবেশী কার্যকলাপে লিপ্ত থাকা। মনের হীন উদ্দেশ্যকে গোপন রেখে মুখোশ পরে জনসমাজে মানুষ ও নিজের জাগ্রত বিবেককে ঠকানোর জন্য কাছা মেরে নামা। যার গায়ের গন্ধে কাছে ঘেঁষা যায় না, সে আতর আলী বলে নিজেকে দাবি করে। এভাবেই দেশটা চলছে। এ রোগের প্রকোপ এদেশে বেশি, যার ফলে সাধারণ নিরীহ মানুষ প্রতারণার ফাঁদে পড়ে ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
আমার মনে হয়, রোজার মাসে রোজার দোহাই দিয়ে এদের পদচারণা বেড়ে যায়, যেমন অমাবস্যা-পূর্ণিমায় বাত-ব্যথা রোগীদের রোগ বেড়ে যায়; কোথাও নির্বাচন এলেই সবাই জনদরদি সাজার চেষ্টা করে। মঞ্চে দাঁড়িয়ে গলাবাজি করে কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখে ফলাও করে নিজেকে জাহির করে। অথচ আত্মশুদ্ধি ও আত্মজিজ্ঞাসার কোনো নাম-নিশানা নেই। কিন্তু আল্লাহতায়ালা তো সবকিছুই বোঝেন ও মনের খবর জানেন। এটা কিন্তু কপটচারীরাও বোঝে। হয়তো ভাবে, ‘শেষ বয়সে একবার, নইলে দু-বার হজ পর্ব সমাধা করে সবকিছুকেই মাফ করিয়ে শিশুসদৃশ পুণ্যাত্মা হয়ে বিনা বাধায় জান্নাতুল ফেরদাউসে পৌঁছে যাবে। যা হোক, মনে মনে একটা নিদেন বুঝ ও বুদ্ধি ওদের অবশ্যই আছে। আমরা ক্রমেই লোকদেখানো মুসলমান হয়ে যাচ্ছি না তো!
এ ছাড়াও একটা শ্রেণি এদেশে বিদ্যমান। এরা সবকিছুতে গা বাঁচিয়ে চলে। তারা চুপ থেকে সত্য গোপন করে। ঝামেলামুক্ত থাকতে চায়। অন্যের উপকারে সত্যকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে আসতে চায় না। এটা আমাদের স্বভাবে পরিণত হয়েছে। আমাদের মুসলমানি স্বভাব ও বৈশিষ্ট্য ক্রমেই দূরীভূত হচ্ছে। মিথ্যাকে জ্ঞাতসারে মেনে নিচ্ছি, আত্মপ্রবঞ্চনা করছি। সামনাসামনি কথা না বলে গোপনে চোগলখোরি করছি। দুই বিরোধী পক্ষের কাছেই ভালো মানুষ হওয়ার চেষ্টা করছি। অধিকাংশের কথা ও কাজের ওপর ভরসা করা যায় না। এটা আবার কেমন মুসলমানিত্ব? কোনো মৌলবি-মাওলানাকে জিজ্ঞেস করলে কিছু না ভেবেই সোজা উত্তর ‘এগুলো কিয়ামতের আলামত’। উত্তরটা দিয়ে হাত গুটিয়ে বসে থাকে। ‘যতক্ষণ শ্বাস ততক্ষণ আশ’ কথাটা হয়তো তার জানা নেই, অথবা জানা থাকলেও মুখস্থ আছে, অভাবিত রয়ে গেছে।
এসবই আমাদের নিজ হাতে তৈরি সমস্যা। নাস্তিক বাদে সব মুসলমানই কমবেশি পরকালের ভয় করে। যাদের ধর্মীয় বক্তৃতা দেওয়ার দায়িত্ব, তারা কি বিষয়গুলোর গুরুত্ব ও ভুলগুলো বারবার মানুষের সামনে কুরআনের ব্যাখ্যাসহ তুলে ধরতে পারে না? এতে সমাজ থেকে অনেকটাই কপটচারিতা দূরীভূত হয়।
বারবার রমজান আসে, রমজান যায়; প্রশিক্ষণটা অধরাই রয়ে যায়। এটাও আনুষ্ঠানিকতায় রূপ নিয়েছে। প্রতি বছর অন্য মাসগুলোর তুলনায় ইফতার মহফিলেই বেশি খরচ। অন্য কোনো ভিনজাতি দেখলে ‘ফুড ফেস্টিভ্যাল’ বলে ধারণা করবে। অথচ নিজে অল্প খেয়ে, অপচয় না করে সম্পদটা গরিব-দুঃখীকে দান করলে একদিকে ইবাদত, অন্যদিকে গরিবের টিকে থাকার সম্বল বাড়ে। এদেশে যে কোনো ভালো কাজ করার জন্য একদল সুস্থ-মানসিকতাসম্পন্ন লোকের সদিচ্ছা ও প্রচেষ্টাই যথেষ্ট।
এদেশে যত ধনী আছে, যথাযথ পরিমাণ জাকাত আদায় করে সুষ্ঠু বণ্টনব্যবস্থার মাধ্যমে গরিব-অসহায়দের মধ্যে বণ্টন করলে পাঁচ বছরেই দেশে সাম্যের নীতি বাস্তবায়িত হতে পারে। আমরা ইবাদত করি বটে, টাকা খরচ এড়িয়ে নামাজ-রোজা-তসবিহ তেলাওয়াত বেশি করে পরবর্তী সাত প্রজন্মের জন্য সম্পদ মজুত করি। মানুষ ছাড়া অন্য কোনো জীবের মধ্যে এ প্রবণতা নেই। যেখানে নিজের অধিক ত্যাগের মাধ্যমে ইবাদতের কথা বলা আছে, কুরআনের সেই আয়াতগুলোকে এড়িয়ে যাওয়া হয়। সুবিধাজনক আয়াতগুলো পালনের চেষ্টা করি। আসলেই এগুলো আল্লাহর সঙ্গে মশকরার সমতুল্য।
আমরা দুনিয়ার কল্যাণকর ও ভালো কাজকে ভুলে পরকালের বেহেশত পাওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছি। দুনিয়াতে মানুষ সৃষ্টির পুরো উদ্দেশ্যকে বরবাদ করে দিতে চলেছি। একটা আয়াত লিখে শেষ করব। ‘(সালাত শুধু) মুখ পূর্ব অথবা পশ্চিম দিকে ফেরানোতে কোনো কল্যাণ (সওয়াব) নেই বরং সওয়াবের কাজ সে করে যে আল্লাহ, আখেরাতের দিন, ফেরেশতারা, (আসমানি) কিতাব ও নবিদের প্রতি ইমান আনে এবং আল্লাহর ভালোবাসায় নিজ ধন-সম্পদ আত্মীয়স্বজন, এতিম, মিসকিন, মুসাফির, সাহায্যপ্রার্থী ও আটকানো ঘাড় থেকে (যে কোনো ধরনের দাসত্বের শৃঙ্খল) মুক্তির জন্য দান করে, আর সালাত প্রতিষ্ঠা করে (সালাতের অনুষ্ঠানগুলো নিয়ম-কানুন মেনে নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে প্রতিটি অনুষ্ঠান ও পঠিত বিষয় থেকে দিতে চাওয়া শিক্ষা নিয়ে সে শিক্ষা ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে প্রতিষ্ঠা করে), জাকাত দেয়, অঙ্গীকার করলে তা পূরণ করে, বিপদ-আপদ, অভাব-অনটন ও যুদ্ধের সময়ে ধৈর্যধারণ করে; তারাই সত্যবাদী; আর তারাই হলো আল্লাহ সচেতন ব্যক্তি’ (সূরা আল-বাকারাহ; ২ : ১৭৭)।
আমি আমাদের সম্মানিত মৌলবি-মাওলানাদের অন্তর্দ্বন্দ্ব ও উপরিগত বিদ্যা বিসর্জন দিয়ে ইসলামের প্রকৃত জ্ঞান অর্জন করে সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বেচ্ছায় কুরআনের মর্মবাণী খোলা মনে প্রচার করার জন্য অনুরোধ করব। তাহলে সমাজ ও মানুষের মনের অন্ধকার ও কপটচারিতা অনেকটাই দূরীভূত হবে বলে আশাবাদী।
ড. হাসনান আহমেদ : অধ্যাপক, ইউআইইউ; সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ; প্রেসিডেন্ট, জাতীয় শিক্ষা-সেবা পরিষদ