সংসদে স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ইউনিক হেলথ আইডি দেওয়া হবে সব নাগরিককে

সংসদ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৬ জুন ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, দেশের সব নাগরিককে ইউনিক হেলথ আইডি দেওয়া হবে। জাতীয় সংসদে মঙ্গলবার মাহমুদ হাসান রিপনের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সব নাগরিককে ইউনিক হেলথ আইডি প্রদানের জন্য হেলথ প্রোফাইল তৈরির উদ্দেশ্যে শেয়ার্ড হেলথ রেকর্ড প্রণয়নের কাজ চলমান আছে। নির্দিষ্ট কিছু হাসপাতালে পরীক্ষামূলকভাবে ইউনিক হেলথ আইডি প্রদানের কাজ শুরু হয়েছে। পরীক্ষামূলক কার্যক্রমের ফলাফলের ভিত্তিতে শিগগিরই এই কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা হবে। পরীক্ষামূলক ইউনিক হেলথ আইডি প্রদান কার্যক্রমের আওতায় এ পর্যন্ত ১৪ লাখ তিন হাজার ৮৮৯টি আইডি দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমআইএস শাখার এইচআইএস অ্যান্ড ই-হেলথ অপারেশন প্যানের আওতায় বর্তমানে ৬৭টি হাসপাতালে অটোমেশন চালু করা হয়েছে। সব হাসপাতালে অটোমেশন চালু করার লক্ষ্যে ডিপিপি প্রণয়ন করা হয়েছে।
ডেঙ্গু মোকাবিলা : তিনি বলেন, দেশের সব সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জেলা সদর হাসপাতালে ‘ডেঙ্গু ফোকাল পারসন’ নির্ধারণ করা হয়েছে, যাদের মাধ্যমে নিয়মিতভাবে সারা দেশের ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসায় ডেঙ্গু টেস্ট কিট, আইভি ফ্লুইড (স্যালাইন) এবং অন্যান্য লজিস্টিকের মজুত এবং চাহিদা সংগ্রহ করা হচ্ছে। ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে দেশের বিভিন্ন জেলার ৫৪টি হাসপাতালে আইভি ফ্লুইড (স্যালাইন) দুই লাখ ১৫ হাজার ৭৫২ লিটার, স্যালাইন সেট ৮ লাখ ৮৭ হাজার ৫৬৯টি, মশারি ২৬ হাজার ১৩৫টি ও ডেঙ্গু টেস্ট কিট ১ লাখ ১ হাজার ১৫৯টি মজুত রাখা হয়েছিল। এছাড়া চীন সরকারের দেওয়া ডেঙ্গু টেস্ট কিট (এনএস-১) ৮ লাখ ৫১ হাজার ৫১৪টি, কম্পো আইজিজি অ্যান্ড আইজিএম টেস্ট কিট ১৬শ’টি এবং ডেঙ্গু আরএনএ ডায়াগনস্টিক কিট ১১০০টি সিএমএসডিতে মজুত রাখা হয়েছিল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহায়তায় ৫৫ হাজার ব্যাগ রিংগারস ল্যাগট্যাট স্যালাইন সিএমএসডিতে মজুত ছিল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মাধ্যমে আরও ২০ হাজার ব্যাগ ৫০০ মি.লি. নরমাল স্যালাইন পাওয়া গেছে। যা সিএমএসডিতে মজুত আছে। ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য ২ লাখ কিট মজুত আছে, যার মধ্যে এক লাখ ১১ হাজার কিট ৬৪ জেলায় সরবরাহ করা হয়েছে। বাকি ৮৮ হাজার কিট মজুত আছে।
মেডিকেলে আসন : ফরিদা ইয়াসমিনের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের ৭২টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে আসন ছয় হাজার ৫৫৭টি। এর মধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত পাঁচটি মেডিকেল কলেজে ২৬০টি আসন রয়েছে। আইন ও নীতিমালা অনুসারে মানসম্পন্ন শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা না করায় চারটি মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম স্থগিত এবং ২ মেডিকেল কলেজের অনুমোদন বাতিল করা হয়েছে। পংকজ নাথের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে ৩৭টি সরকারি মেডিকেল রয়েছে, যাতে আসন পাঁচ হাজার ৩৮০টি। ফরিদা ইয়াসমিনের আরেক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সারা দেশে মোট ১৪ হাজার ৮৯০টি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণের পরিকল্পনা আছে। এর মধ্যে বর্তমানে দেশে মোট ১৪ হাজার ৩২০টি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু আছে।
সেবার মূল্য নির্ধারণ হবে বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের : এম আব্দুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলোর সেবার ফি নির্ধারণের জন্য কার্যক্রম চলমান রয়েছে। প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর রোগ নির্ণয় ফি নির্ধারণ করাসহ তা যথাযথ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।