ব্রহ্মপুত্র নিজেকে ধীরে ধীরে ভেতরে গুটিয়ে নিয়েছে
মা যেমন মৃত্যুর আগে হয়েছিলেন নিজের ভেতর অন্তর্লীন
বাবা যেমন শেষ বিকালে পকেটে তাকিয়ে ছিলেন মগ্নচৈতন্য।
এক সময় জল প্রগল্ভে মুখরিত ছিমছাম এই নদ ছিল লোকালয়মুখী
কেউ পালের নাওয়ে দিনভর রোদ উড়িয়ে মহোৎসব করেছে
কেউ পাটের নৌকা সাজিয়ে এঁকেছে সোনালি স্বদেশ হলুদ বিকাল
কেউ তার জল ছুঁয়ে লিখেছে বেদনা বিরহের নীল কাব্য
যাদের হৃদয়ে প্রেম ছিল না তারাও চাঞ্চল্যে পুলকিত হয়েছে ব্রহ্মপুত্রের উচ্ছলে।
শত শতাব্দীর ইতিহাস বুকে ধারণ করে অনর্গল কথা বলেছে এই নদ
তার বুকের অমৃত ধারা ধুয়ে দিয়েছে দুঃখীজনের চোখ।
এখন নিজের ভেতর কান পেতে অবিরাম শুনে যায় ঝরাপাতার গান
যা দেখার ছিলো রৌদ্রোজ্জ্বলে এবং পূর্ণিমার পাথারে, তা দেখা হয়নি,
তীব্র বিস্ময়ের অসুখ থেকে ফিরে গেছে নিজের দুঃখের কাছে
ফিরে গেছে অবাধ ফুল ভুলে নিজের মৌলিক দহনের ঘরে।