Logo
Logo
×

সুস্থ থাকুন

রক্তে চর্বি ও সুস্থ হার্ট

Icon

অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী

প্রকাশ: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

১৯৫০ সাল থেকে এ পর্যন্ত হৃদরোগে মৃত্যুহার উন্নত দেশে কমেছে। হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকে মৃত্যু ছিল শীর্ষে। জীবনশৈলীতে উন্নতি, তামাকের কম ব্যবহার, আর পরিবর্তন যোগ্য ঝুঁকিগুলোর চিকিৎসা সহায়ক হয়েছে। হার্ট অ্যাটাকের ব্যবস্থাপনাতে উন্নতি এসেছে। তঞ্চনপিণ্ড চূর্ণকারী ওষুধ, করোনারি স্টেন্টের ব্যবহার, অন্যান্য চিকিৎসা বিকল্প সবই উন্নত হয়েছে। উন্নয়নশীল দেশগুলোর চিত্র অবশ্য তেমন আশাব্যঞ্জক নয়।

লিপিড নিয়ে বিশেষজ্ঞের পরামর্শক্রমে বদলেছে। ২০০২ সালে ন্যাশনাল হার্টলাং ও ব্লাড ইন্সটিটিউটের পরামর্শ ১৯০ থেকে বেশি এলডিএল মান হলে লিপিড কমানোর ওষুধ শুরু করা উচিত। এলডিএল মান ১৬০-এর বেশি, আর দুটো ঝুঁকিও আছে এমন হলে ওষুধ দিতে হবে, যাতে এলডিএল ১৩০-এর নিচে থাকে। যদি রোগীর তিন বা বেশি ঝুঁকি থাকে তখন ১০০ এলডিএল হলেও ওষুধের কথা ভাবা উচিত।

যাদের করোনারি হৃদরোগ ও ডায়াবেটিস থাকে তাদের এলডিএল লক্ষ্য হবে ৭০-এর কম।

প্রতি বছর লিপিড গাইডলাইন পুনর্বিবেচনা করা হয়। ২০১৩ সালে গাইডলাইনে ছিল প্রত্যেকে স্ট্যাটিন ওষুধ নেয়ার পরামর্শ। পরে প্রকৃত এলডিএল লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে পুনঃবিবেচনা হল। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন এবং আমেরিকান কলেজ অব কার্ডিওলজি ২০১৯-তে প্রত্যেকের হৃদরোগের ঝুঁকি নির্ণয়ের গুরুত্ব আরোপ করলেন।

MACE (Major adverse Cardiovascular event) গণনা করা হল ১০ বছর ঝুঁকি বিবেচনার জন্য। MACE গণনা অনলাইনে পাওয়া যায়। নিজের বয়স, জেন্ডার, ডায়াবেটিস, ধূমপান ইতিহাস, পারিবারিক ইতিহাস, ওজন, রক্তচাপ ও সামান্য ঝুঁকির পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিরোধের বিষয় বিবেচনা করা হয়। ১০ বছর ঝুঁকি বিবেচনা করে লিপিড কমানোর ওষুধ দেয়া হয়। রক্তচাপ কত কমানো উচিত এ নিয়ে বিতর্ক আছে। এক সময় বলা হতো রক্তচাপ লক্ষ্যমাত্রা হওয়া উচিত ১৪০/৯০-এর নিচে। সবাই এক মত হলেন না। ১৩০/৮০-এর নিচে হওয়া উচিত এমন ঐকমত্য হল। এর ব্যতিক্রমও আছে। হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, করোনারি বাইপাস, করোনারি স্টেন্স, প্রান্তিক ধমনি রোগ বা ডায়াবেটিসের ইতিহাস থাকলে ব্যবহার করা উচিত লো ডোজ এসপিরিনি পরবর্তী ঘটনা এড়ানোর জন্য।

কিছু ঝুঁকি আছে যা রোগীর নিয়ন্ত্রণে নেই পারিবারিক ইতিহাস, পুরুষ জেন্ডার, জন্মগত লিপিড বৈকল্য, প্রাক্কলিক রজঃনিবৃত্তি, পিএকলেপসিয়া, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার অধিবাসী।

অন্য ঝুঁকি পরিবর্তনযোগ্য যেমন- নিষ্ক্রিয় জীবনযাপন, তামাক ব্যবহার, অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস, স্থূলতা। ডায়াবেটিস, মেটালিক সিনড্রোম, উচ্চরক্তচাপ এবং উঁচু লিপিডমান চিকিৎসাযোগ্য।

হৃদরোগ প্রতিরোধে রোগীরও করার আছে। ডাক্তারকে দেখান, ঝুঁকি দমনে সাহায্য নিন। হার্ট অ্যাটাকের উপশম আগাম চিহ্নিত করা ও কার্যকর চিকিৎসা শুরু করা খুব গুরুত্বপূর্ণ।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম