বিবিএসের প্রতিবেদন
থ্যালাসেমিয়া বাহক ১১.৪ ভাগ মানুষ
সবচেয়ে বেশি রংপুরে, কম সিলেটে * বিয়ের আগে রক্ত পরীক্ষার পরামর্শ
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
দেশে থ্যালাসেমিয়া বাহকের সংখ্যা ১১ দশমিক ৪ শতাংশ মানুষ। এরমধ্যে নারী ১১ দশমিক ২ শতাংশ এবং পুরুষ ১১ দশমিক ৯ শতাংশ। ১৪ থেকে ৩৫ বছর বয়সি ৮ হাজার ৬৮০ জন (স্যাম্পল সাইজ) বিবাহিত ও অবিবাহিত জনগোষ্ঠীর মধ্যে এ জরিপ পরিচালিত হয়। রোববার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ন্যাশনাল থ্যালাসেমিয়া সার্ভে ২০২৪ এর প্রতিবেদনে এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে রাজধানীর আগারগাঁও বিবিএস সম্মেলন কক্ষে প্রকাশনা অনুষ্ঠান হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিবিএসের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা লিজেন শাহ নঈম। বক্তব্য দেন বিবিএসের উপমহাপরিচালক ওবায়দুল ইসলাম।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, থ্যালাসেমিয়া বাহকের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি রংপুরে-২৭ দশমিক ৭ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা রাজশাহীতে ১১ দশমিক ৩ শতাংশ। তৃতীয় স্থানে থাকা চট্টগ্রাম। সেখানে ১১ দশমিক ২ শতাংশ। এছাড়া ময়মনসিংহে ৯ দশমিক ৮ শতাংশ। খুলনায় ৮ দশমিক ৬ শতাংশ। ঢাকায় ৮ দশমিক ৬ শতাংশ। বরিশালে ৭ দশমিক ৩ শতাংশ। সিলেটে সবচেয়ে কম ৪ দশমিক ৮ শতাংশ।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, দেশে হেপাটাইটিস বি আক্রান্তের সংখ্যা ১ দশমিক ২ শতাংশ এবং হেপাটাইটিস সি আক্রান্তের সংখ্যা শূন্য দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ।
প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার বলেন, বিয়ের আগে রক্ত পরীক্ষা করে বিয়ে করা দরকার। তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এ রোগ থেকে রক্ষা পাবে। থ্যালাসেমিয়ায় যারা আক্রান্ত হন তারাই বোঝেন এর কষ্টটা কত বেশি। বিবিএস গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে একটি সার্ভে করেছে। আজকের ছোট সার্ভে দিয়ে আমরা পরে বড় সার্ভে করতে পারব। অনেক সময় থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুকে নিয়ে মা আমার কাছে সাহায্যের জন্য আসেন। আমি কষ্ট নিবারণ করতে পারি না। ৫ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকা সাহায্য করি। এর চাইতে বেশি করতে পারি না। কিন্তু ওই মায়ের কষ্টটা অনুধাবন করি। এজন্য সচেতনতার বিকল্প নেই।
শহানাজ আরেফিন বলেন, থ্যালাসেমিয়া রোগ নির্মূল করা সম্ভব। যদি বাহক টু বাহক বিবাহ বন্ধ করা যায়। এজন্য একটা নীতিমালা থাকা দরকার। অবশ্যই বিয়ের আগে ছেলে ও মেয়ের রক্ত পরীক্ষা করাটা জরুরি। মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, আমাদের চেষ্টার ত্রুটি নেই। আমরা সরকারি বেসরকারি, জেলা পর্যায়ে সব জায়গাতেই সচেতন থাকার চেষ্টা করছি। এছাড়াও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় এ রোগের জন্য ৫০ হাজার টাকা করে সহায়তা দেয়। কিন্তু এজন্য অনেক রক্তের প্রয়োজন হয়। থ্যালাসেমিয়া যাতে না হয় সেজন্য আগে থেকেই সচেতন থাকতে হবে।