কোটাবিরোধী আন্দোলন ও রথযাত্রায় ঢাকায় তীব্র যানজট
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
কোটাবিরোধী আন্দোলন ও রথযাত্রার কারণে রোববার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। সকাল থেকে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি মোড় অবরোধ করে সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি বেলা ৩টায় ঢাকার স্বামীবাগ ইসকন মন্দির থেকে সনাতন ধর্মালম্বীদের ধর্মীয় উৎসব রথযাত্রা শুরু হয়ে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে গিয়ে শেষ হয়। এ দুই কারণে রাজধানীর সড়কগুলোতে অস্বাভাবিক যানজট সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় কার্যত রোববার স্থবির হয়ে পড়ে রাজধানীর বড় এলাকা। অফিস শেষে ঘরমুখী মানুষেরা ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েন। বাসসহ অন্যান্য যানবাহন প্রধান সড়কগুলোয় আটকা পড়ে। অনেককে গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে গন্তব্যের উদ্দেশে যেতে দেখা গেছে।
সরেজমিন দেখা যায়, রোববার সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় যানজট ছিল। দুপুরে কোটা ব্যবস্থা বাতিলের দাবিতে আন্দোলনরত ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা সায়েন্স ল্যাব মোড় অবরোধ করলে যানজট আরও বাড়ে। এরপর বিকাল ৪টার দিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা শাহবাগ মোড়, পাশের হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড় ও হানিফ ফ্লাইওভারে ওঠানামার চানখাঁরপুল মোড় অবরোধ করেন। এর সঙ্গে সায়েন্স ল্যাব মোড়ে অবরোধ চলতে থাকায় আজিমপুর নিউমার্কেট থেকে মিরপুর ও গাবতলীর পথে চলাচলের সড়কটি দিয়েও যান চলাচল ব্যাহত হয়। এ ছাড়া বিকাল সাড়ে ৪টায় নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান নেন ইডেন কলেজের ছাত্রীরা, আগারগাঁও মোড় অবরোধ করেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ও পুরান ঢাকার কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থীরাও রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেন।
কোটাবিরোধী আন্দোলনের পাশাপাশি বিকালে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের রথযাত্রা যানজটের মাত্রা আরও বাড়িয়ে তোলে। এ দুই কারণে-পুরান ঢাকার তাঁতীবাজার, রায়সাহেব বাজার মোড়, বংশাল, গুলিস্তান, পুরানা পল্টন, শাহবাগ, কাওরান বাজার, ফার্মগেট, আগারগাঁও, মিরপুরের কাজী পাড়া, শেওড়া পাড়া ও মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর এলাকা, নিউমার্কেট, সায়েন্স ল্যাবসহ রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ অনেক সড়কে যান চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যায়।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মো. হামিদুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, বিকাল ৪টায় যমুনা ফিউচার পার্কে তার কোম্পানির একটি কাজ ছিল। সে উদ্দেশে বেলা ৩টায় মতিঝিল অফিস থেকে রওয়ানা হন। সড়কের তীব্র যানজটের কারণে ৩০ মিনিটে শাপলা চত্বর থেকে দৈনিক বাংলার মোড় পৌঁছান। তখন গাড়িগুলো ঠায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। পরে আর সামনে না এগিয়ে বাসায় ফিরে যান।